পুরোদস্তুর স্পিন উইকেট হচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্টে। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক যে ধরনের উইকেটের চাহিদা দিয়েছিলো, তাই পাচ্ছে তারা এক ম্যাচের এই সিরিজে।
যেহেতু খেলা স্পিন স্বর্গের উইকেটে। তাই একাদশে থাকছে স্পিনারের আধিক্য। সাকিব-মিরাজ-তাইজুল ও নাঈম হাসান; এই চার স্পিনার স্পিন তূণে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মমিনুল হকের স্পিনও কাজে লাগতে পারে। চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য ম্যাচের আগের দিনই ১২ জনের নাম জানিয়ে দেয়া হয় দলের বাকিদের। তবে কোন সেই ১২ জন সেটা মিডিয়ার কাছে ঘোষণা করা হয়নি।
বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম সেই ১২ জনের নাম জেনেছে। এই ১২ জনের দলে পেসার থাকছেন মাত্র একজন—এবাদত হোসেন। একাদশে তিনি যদি খেলেন তবে দলের দ্বাদশ সদস্য হবেন মোসাদ্দেক হোসেন।
অবশ্য এক পেসার হিসেবে চট্টগ্রাম টেস্টে এবাদত হোসেনের খেলাও নিশ্চিত নয়। অন্য এক ভাবনাও আছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। যেহেতু উইকেট পুরো স্পিন টার্নার। তাই এমন উইকেটে পেসারের তেমন কোনো ভূমিকাই নেই। সেই বিবেচনায় শুধু শুধু পেসার এবাদতকে একাদশে রাখার যৌক্তিকতাই বা কী? বরং একাদশে মোসাদ্দেককে রাখলে দুটো লাভ। বাড়তি একজন ব্যাটসম্যানও পাওয়া গেলো। আবার মোসাদ্দেকের অফস্পিনও কাজে লাগলো।
তাছাড়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেনই-‘চট্টগ্রাম টেস্টে দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ব্যাটসম্যানরা।’ তাই বাড়তি ব্যাটসম্যান একাদশে খেলানোর পক্ষের যুক্তি বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
শেষের এই পরিকল্পনার পক্ষেই টিম ম্যানেজমেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পড়ছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম টেস্টেও তাহলে বাংলাদেশ খেলতে নামছে একাদশে কোনো জেনুইন পেসার ছাড়া।
কোনো পেসার ছাড়া একাদশ গঠন—দেশের মাটিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো ফর্মুলা নয়। গেল বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঢাকার মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছিলো কোনো পেস বোলার ছাড়াই।
বলা বাহুল্য সেই টেস্ট বাংলাদেশ জিতেছিল ইনিংসের ব্যবধানে।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু হবে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায়।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সাদমান, সৌম্য, মমিনুল, মুশফিক, সাকিব, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক/ এবাদত, মিরাজ, তাইজুল, নাঈম হাসান।