লিওনেল মেসি, আনহেল দি মারিয়া ও সের্হি আগুয়েরোকে ছাড়া খেলতে নামা আর্জেন্টিনা দাঁড়াতেই পারেনি স্পেনের সামনে। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে হুয়ান লোপেতেগির শিষ্যরা।
চোটের জন্য দলেই ছিলেন না আগুয়েরো। ইতালির বিপক্ষে আগের ম্যাচে চোট পাওয়া দি মারিয়ার স্পেনের বিপক্ষে না থাকা নিশ্চিত ছিল। ইতালির বিপক্ষে সেই ম্যাচে না খেলা মেসি খেলতে চেয়েছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে। চোটের জন্য নামা হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। স্ট্যান্ডে বসে দেখেন দলের দুঃস্বপ্নের পরাজয়।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে প্রীতি ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতেছে স্পেন। হ্যাটট্রিক করেছেন ইসকো। বিপরীতে মাত্র একটি গোল শোধ করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
শুরুর দিকেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। মাক্সিমিলিয়ানো মেসার দারুণ ক্রস খুজে পায় গনজালো হিগুয়াইনকে। কিন্তু ইউভেন্তুসের স্ট্রাইকার বল পাঠান ক্রসবারের ওপর দিয়ে। তার কিছু পরেই এগিয়ে যায় স্পেন। জিওভানি লো সেলসো নিজেদের ডি-বক্সের একটু সামনে বল হারান। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পায়ে লেগে বল পেয়ে যান মার্কো আসেনসিও। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের ডিফেন্স চেরা পাসে ছুটে গিয়ে বাকিটা সারেন দিয়েগো কস্তা।
সেই গোল ঠেকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে চোট পান সের্হিও রোমেরো। ২২তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। নামেন চেলসো গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়েরো।
২৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। গোলরক্ষক উইলি কাবায়েরোকে পরাস্ত করেন ইস্কো আসেনসিওর নিচু ক্রস থেকে। ৩৯ মিনিটে এভার বানেগার সহায়তায় নিচু হেডে একটি গোল শোধ দেন ওতামেন্দি। ৫২ মিনিটে নিজেদের পাস থেকে ৩-১ করেন ইস্কো। তিন গোলে থাকা স্পেন তাদের তৃতীয় গোলের তিন মিনিট পর রিয়াল তারকা আলকান্তারাকে দিয়ে করান নিজেদের চতুর্থ গোল। আর খেলার ৭৩ মিনিটে আসপাস পঞ্চম গোল করার পরের মিনিটেই হ্যাটট্রিক করেন ইস্কো।
লজ্জাজনক এ হারের পরে হোর্হে সাম্পাওলি বুঝতে পেরেছেন তার সামনে অপেক্ষা করছে কতটা চ্যালেঞ্জ। তবে আর্জেন্টিনার এ কোচের এখন আশা একটাই। মেসি ফিরবেন এবং ফেরাবেন আত্মবিশ্বাস।