ওয়ানডে সিরিজ জিতে উড়তে থাকা পাকিস্তান এবার মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখল। জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৬৬। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কোনো ব্যাপারই নয়। কিন্তু সহজ এ লক্ষ্যটাও স্পর্শ করতে পারল না অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের দল। দ্বিতীয় সারির শ্রীলঙ্কার নুয়ান প্রদ্বীপ ও ইসুরু উদানার পেস ঝড়ে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলটি রীতি মতো উড়ে গেছে ৬৪ রানে।
দুরন্ত এ জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ক্যাপ্টেন দাসুন শানাকার দল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ হাসনাইনের হ্যাটট্রিকের পরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাচ সেরা দানুস্কা গুনাথিকালা। আভিস্কা ফার্নান্ডো ৩৩ ও ভানুকা রাজাপাকসে করেন ৩২ রান।
পাকিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন হাসনাইন। ১৬তম ওভারের শেষ বলে শিকার করেন ভানুকা রাজাপাকসেকে। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে নেন দাসুন শানাকা ও শেহান জয়াসুরিয়ার উইকেট। সুবাদে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নবম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক পেলেন হাসনাইন। এবং সব চেয়ে কম বয়সে পেলেন এ কৃতিত্ব (১৯ বছরে)।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নুয়ান প্রদ্বীপ ও ইসুরু উদানার পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ১৭.৪ ওভারে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিক পাকিস্তানের ইনিংস। ইফতিখার আহমেদ ২৫, সরফরাজ আহমেদ ২৪ ও বাবর আজমের সংগ্রহ ১৩। আসা যাওয়ার মিছিলে সামিল হয়ে বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি।
লঙ্কানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন নুয়ান প্রদ্বীপ ও ইসুরু উদানা। দুটি উইকেট শিকার করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১৬৫/৫, ২০ ওভার (গুনাথিকালা ৫৭, ফার্নান্ডো ৩৩, রাজাপাকসে ৩২; হাসনাইন ৩/৩৭)।
পাকিস্তান: ১০১/১০, ১৭.৪ ওভার (ইফতিখার ২৫, সরফরাজ ২৪ ও বাবর ১৩; উদানা ৩/১১, প্রদ্বীপ ৩/২১ ও হাসারাঙ্গা ২/২০)।
ম্যাচ ফল: শ্রীলঙ্কা ৬৪ রানে জয়ী।
সিরিজ ফল: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ সেরা: দানুস্কা গুনাথিকালা।