আইসিসি সাকিব আল হাসানকে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে সবমিলিয়ে তিনটি অভিযোগ এনেছে আইসিসি। সাকিব এই তিনটি অভিযোগই স্বীকার করে নিয়েছেন।
শাস্তি শোনার পর সাকিব জানিয়েছেন-‘এই নিষেধাজ্ঞা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। এই খেলাটা আমি ভালবাসি। তবে আমাকে যে শাস্তিটা দেয়া হয়েছে সেটা আমি মেনে নিয়েছি।’
দুই বছরের শাস্তি পেলেও এই শাস্তি কমিয়ে আনার একটা সুযোগ আছে সাকিবের সামনে। প্রথম বছর শাস্তি কাটানোর সময়কালে যদি তার আচরণে আইসিসি সন্তুষ্ট হয় তবে দ্বিতীয় বছরের শাস্তিটা তার মওকুফ হতে পারে। আর সেটা হলে সাকিব ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার সব ধরনের ক্রিকেটে ফিরে আসতে পারবেন।’
বছর দুয়েক আগে একজন চিহ্নিত ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে সাকিব ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান। তিনি তখন সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেন। তবে জুয়াড়ির কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়ে তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) কে জানাননি। সেটাই তার বড় ভুল। আর সেই ভুলের ফাঁদে পড়েই সাকিব আজ ক্রিকেট দুনিয়ায় নিষিদ্ধ হলেন।
এই নিষেধাজ্ঞা সাকিব মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন-‘জুয়াড়ির কাছ থেকে আসা প্রস্তাবের বিষয়টি আমি আকসুকে না জানানোর কারণে যে শাস্তি পেয়েছি সেটা মেনে নিয়েছি। আইসিসি ও আকসু ক্রিকেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি তাৎক্ষণিকভাবে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন-