সাকিব আল হাসানের পথে বাড়ান নি তামিম ইকবাল। একইভাবে বাংলাদেশ ওপেনারকেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিক্রম আগারওয়াল। কিন্তু আলোচিত সেই ভারতীয় জুয়াড়ির ফাঁদে পা দেন নি তামিম। ফিক্সিং টোপ পেয়ে চটজলদি এই তারকা ক্রিকেটার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন বিভাগে জানিয়ে দেন।
এ কারণেই ক্যারিয়ারে কলঙ্ক লাগেনি তামিমের। ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আইসিসি তদন্তে ২০১৭ সালের নভেম্বরে উঠে আসে তামিম ইকবালের নাম। জানা যায় তখন দীপক আগারওয়াল প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাকে। সাকিবের মতো তাকেও হোয়াটস অ্যাপে ফিক্সিং করানোর বার্তা দেয় ভারতীয় এই বাজিকর। কিন্তু শুরুতেই সতর্ক হয়ে যান তামিম।
বিসিবি দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব) মোর্শেদের সঙ্গে তখন যোগাযোগ করেন তামিম।
অথচ জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিনবার ফিক্সিংয়ের অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন রেখেছিলেন সাকিব। যে কারণে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এরমধ্যে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। এক বছর পর মাঠে ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর থেকে ফের মাঠে নামতে কোনো বাধা থাকবে না তার।
ভিক্টর আগারওয়াল বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচিত জুয়াড়ি। চেন্নাইয়ের এই হোটেল ব্যবসায়ী থেকে ক্রিকেটের নামকরা বাজিকর তিনি। তার ফাঁদে তামিম পা না দিলেও বিষয়টা অল্পতে শেষ হয়নি। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখেছে আইসিসি।
আইসিসির দুর্নীতি দমন কর্তাদের মুখোমুখি হতে হয় তামিমকে। রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে ডাকা হয় তামিমকে। তখনই টাইগার ওপেনার জানান, ম্যাচ ফিক্সিং করানোর প্রস্তাব এসেছে তার কাছে। বিসিবি আইসিসিকে জানিয়ে দেয়, তামিমের তথ্য সঠিক। এরপরই তাকে ‘ক্লিয়ারড’ বলে তাকে ছেড়ে দেয় আইসিসি।