ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে ছিলেন না তিনি। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় অনুশীলন করতে নেমেই সর্বনাশ। আঙুলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। স্লিপে ভারতের চেতেশ্বর পূজারা ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা মুঠোবন্দী করতে গিয়েই হাতে ব্যথা পান সাঈফ হাসান। ডান হাতের কনিষ্ঠায় পাওয়া সেই আঘাতের কারণে মাঠের বাইরেই ছিলেন তিনি।
দলের সঙ্গে থাকা এই ক্রিকেটার বুধবার শুনেছেন আরেক দুঃসংবাদ! কলকাতা টেস্ট থেকেও ছিটকে গেলেন এই ব্যাটসম্যান। এখানে অতিরিক্ত ক্রিকেটার হিসেবেও মাঠে নামার সুযোগ নেই তার। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেও দলের সঙ্গে থাকবেন সাঈফ। কলকাতা থেকেই চলবে তার চিকিৎসা।
বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে টাইগার ক্রিকেটার সাঈফের আঙুলের চিকিৎসা আপাতত চলবে কলকাতাতেই। এখানেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো হবে তাকে। এখান থেকেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে সাঈফ হাসানের।
ইডেন গার্ডেন্সে বুধবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু দেখেছেন সাঈফের চোটাক্রান্ত আঙুল। পাশাপাশি জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান কালেফাতোও পর্যবেক্ষণ করেছেন এই ক্রিকেটারের ডান হাতের কনিষ্ঠা।
দু'জনই একমত হয়েছেন আঙুলের অবস্থা বেশ নাজুক। এখন তার মাঠে নামার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সুস্থ হয়ে উঠতে বিশ্রামে থাকতে হবে কিছুদিন। তেমনটাই জানালেন সপ্তর্ষি বসু। এই চিকিৎসক ইডেনে দাঁড়িয়ে জানাচ্ছিলেন, 'আমি সাঈফের আঙুলটা দেখলাম। এর আগেই দুটো সেলাই দেওয়া হয়েছিল। এখন যা দেখছি নিচের দিকে ফাঁকা হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ওই ফাঁকা জায়গায় সাধারণত সেলাই যাবে না। কারণ ও পাঁচ দিন আগে আঘাতটা পেয়েছিল।'
এরইমধ্যে স্থানীয় ডাক্তারদের সঙ্গেও সাঈফের ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের অ্যাপয়নমেন্ট নেওয়া আছে। তার পরামর্শ মেনেই চলবে সাঈফের চিকিৎসা।
কলকাতা টেস্ট চলাকালীন পুরোটা সময়ই দলের সঙ্গে থাকবেন সাঈফ। ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলে ভারতের সঙ্গে লড়াই শুরু ২২ নভেম্বর। পিঙ্ক বলে প্রথম টেস্ট ম্যাচটা ড্রেসিংরুমে বসেই দেখতে হচ্ছে সাঈফ হাসানকে। যদিও আগের টেস্টে সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েসের ব্যর্থতার পর এই টেস্টে তার খেলার সম্ভাবনাটাও ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে!