পিঙ্ক বল ঠিক কেমন আচরণ করে- সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর কারোরই জানা নেই। না বোলারের না ব্যাটসম্যানের। বলা যায় এ এক অনিশ্চিত যাত্রা! তবে পরীক্ষায় মূলত প্রথমে পড়তে হয়েছে ব্যাটসম্যানদেরই। ইডেনে সেই শুরুর পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন ‘মহামান্য পিঙ্ক বলকে’ বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
কিন্তু বিপদের শুরু হলো ইনিংসের সপ্তম ওভারে। ইশান্ত শর্মার চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ওপেনার ইমরুল কায়েসকে কট বিহাইন্ড আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ইমরুল। রিভিউতে দেখা গেল বল তার ব্যাটে না প্যাডে লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়েছে। আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত বদলান। ইমরুল রক্ষা পেলেন। কিন্তু সেই ওভারের তৃতীয় বলেই ইমরুল আবার পরাস্ত। এবার বল লাগলো তার প্যাডে। এলবি’র আবেদন উঠল। এবারো আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে সায় দিলেন। সাদমানের সঙ্গে পরামর্শ শেষে ইমরুল আরেকবার রিভিউ নিলেন। কিন্তু এবার আর রক্ষা হলো না। রিভিউতে পরিষ্কার দেখাল বল ইমরুলের স্ট্যাম্পে লাগছে। ৪ রানে ফিরলেন ইমরুল। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড তখন ১ উইকেটে ১৫ রান। সফরে তৃতীয়বারের মতো ব্যর্থ ইমরুল কায়েস। ইন্দোর টেস্টের উভয় ইনিংসে তিনি সমান ৬ রান তুলে আউট হয়েছিলেন। ইডেনে ফিরলেন আরো কম, ৪ রানে!
সিরিজ শুরুর আগে ইডেনের পিঙ্ক বল টেস্ট নিয়ে ভীষণ রোমাঞ্চিত ছিলেন ইমরুল কায়েস। ঐতিহাসিক এই টেস্টে তার প্রথম ইনিংসের সেই রোমাঞ্চ শেষ মাত্র ৪ রানে!