এই ম্যাচে নামার আগে দুই দলের সামনে হিসেবটা পরিষ্কার- সেমিতে খেলতে হলে জিততেই হবে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের এমন সমীকরণের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়েছে। ১৭ মিনিটে স্ট্রাইকার মতিন মিয়ার গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রোববার, ১৯ জানুয়ারির এই ম্যাচে প্রথম ২৫ মিনিট পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা দল মূলত একটাই কাজ করে-ডিফেন্স! আক্রমণের পর আক্রমণের ঢল বইয়ে দেয় বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে তিনজন স্ট্রাইকার নিয়ে নামে। আক্রমণভাগ শক্তিশালী করার সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। শুরুর আধ-ঘণ্টায় পুরোটা সময় জুড়ে বল থাকে শ্রীলঙ্কার সীমান্তে।
বাংলাদেশ দলের গোলকিপারকে এই সময় বল ধরতেই হয়নি!
টানা আক্রমণের ফসল তুলে নেয় বাংলাদেশ ম্যাচের ১৭ মিনিটের সময়। পেছন থেকে আসা থ্রু পাস ধরে মতিন মিয়া আরেকটু সামনে বাড়েন। সঙ্গে থাকা দুজন মার্কার পাশাপাশি দৌঁড়ালেও বল ছাড়েননি মতিন মিয়া। ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে প্রচণ্ড জোরে কোনাকুনি শট নেন। বিপদ বুঝতে পেরে শ্রীলঙ্কান গোলকিপার হেরাথ বেরিয়ে এলেও বলে হাত ছোঁয়াতে পারেননি। বল দূরপোস্টের জালে গিয়ে জড়ায় গো...ও...ল (১-০)।
মতিন মিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দল ম্যাচে গোল বাড়িয়ে নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেয়। গুটিয়ে না খেলে আরো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। ২২ ও ২৬ মিনিটে নিশ্চিত আরো দুটি গোল থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
২২ মিনিটের সময় ইব্রাহিম একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে সামনে বাড়েন। শ্রীলঙ্কার ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। সামনে গোলকিপার ছাড়া আর কেউ নেই। কিন্তু ইব্রাহিম সেই শট শ্রীলঙ্কার গোলকিপার হেরাথের শরীরে মারেন! বল জালে না গিয়ে কর্নার হয়।
২৭ মিনিটের সময় মাহবুবুর রহমানও পেনাল্টি বক্সের সামনে থেকে কোনাকুনি শট নেন। কিন্তু পোস্টে রাখতে পারেননি। বাইরে মারেন। আধঘণ্টার এই সময়ে পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের দাপট ছিল। কিন্তু গোল করার সঙ্গে সঙ্গে গোল মিসের সংখ্যাও কম ছিল না!