কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী নাঈম

ক্রিকেট, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মিরপুর থেকে | 2023-08-21 23:13:33

মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের উইকেট দেখে বিস্মিত ছিলেন সবাই। সবুজের ছোঁয়া। দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি যেভাবে বল করছিলেন, মনে হচ্ছিল গতিতেই কাবু হবে জিম্বাবুয়ে। যদিও সূর্যের তেজ বাড়তেই বদলে গেছে দৃশ্যপট। অনেকটা মানিয়ে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। তবে তাদের স্বস্তি দেননি নাঈম হাসান। এই স্পিনারের ঘূর্ণিতেই ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে অন্তত হাসিমুখ থেকেছে টাইগারদের।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শনিবার দিন শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬ উইকেটে ২২৮। সফরকারীদের চারটি উইকেটই নিয়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান। বিস্ময়কর হলেও সত্য ৩২ ওভারের লম্বা স্পেলে দেখা গেছে এই তরুণকে।

সব মিলিয়ে ৩৬ ওভারে ৭ মেডেনসহ ৬৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দিন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা কমই বললেন তিনি। আসলে কথার চেয়ে কাজ করতেই যেন বেশি স্বাচ্ছন্দ্য তার। বলছিলেন, ‘শুধু জায়গায় বোলিং করে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমার।’

কিছুদিন আগেই বিসিএলের দুই ম্যাচে নেন ২১ উইকেট। সেই সাফল্যের পথ ধরেই টেস্ট একাদশে। জানাচ্ছিলেন, ‘ওই পারফরম্যান্স অনেক সহায়তা করছে। অনেক বোলিং করেছি, অনেক উইকেট পেয়েছি আমি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। অনুশীলনের চেয়ে ম্যাচ খেললে বেশি আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়।’

শেষ বিকেলে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকেও ফেরান তিনি। ১০৭ রানে তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন তরুণ নাঈম। এই সাফল্যের পর বলছিলে, ‘দেখুন, দিনের শেষ দিকে উইকেট পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওর উইকেট পাওয়ার পর আর থাকছে ৪ উইকেট। বেশির ভাগই নিচের দিকের ব্যাটসম্যান। এখন ভালো জায়গায় বোলিং করে দ্রুত ওদের অলআউট করতে চেষ্টা করব।’

একপ্রান্তে নাঈম সফল হলেও অন্যপ্রান্তে তাইজুল ২১ ওভার বল করেও উইকেট শূন্য। তারপরও সতীর্থকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন নাঈম। বলেন, ‘প্রথম দিন তাইজুল ভাই উইকেট পাননি বলছেন। তিনি অন্য প্রান্তে ভালো বোলিং করেছেন বলেই আমি উইকেট পেয়েছি। কাল আমি যদি এক প্রান্তে ডট দিতে থাকি আরেক প্রান্তে হয়তো তাইজুল ভাই পাবেন। এভাবেই গড়ে ওঠে বোলিংয়ের জুটি।’

কথা ভুল বলেননি। এমন টিম ওয়ার্কেই আসলে মেলে সাফল্য। টাইগার সমর্থকরাও এমন একটা দিনের আশায়। সকালে চটজলদি বাকি উইকেট তুলে নিতে পারলে ঢাকা টেস্টের লাগাম আসবে বাংলাদেশের হাতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর