প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে কি দাপটই না দেখিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। ফরহাদ রেজা, ফজলে মাহমুদ, এনামুল হক ও শামসুর রহমানের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৪৮৬ রানের পাহাড় গড়ে তুলে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পুরো উল্টো দিকে হেঁটেছে ক্যাপ্টেন আব্দুর রাজ্জাকের দল। আবু হায়দারের পেস ঝড় সামাল দিতে গিয়ে বিসিএলের ফাইনালে রীতিমতো খাবি খেয়েছেন তাদের ব্যাটসম্যানরা।
দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে হঠাৎ এমন ছন্দপতন অবাক করেছে ক্রিকেট প্রেমীদের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৫ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। কিন্তু প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের সুবাদে টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্নই বুনে চলেছে রাজ্জাকরা। কেননা তৃতীয় দিন শেষে ৩৩৮ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে দক্ষিণাঞ্চল। হাতে এখনো রয়েছে দুই উইকেট।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪১ রান নিয়ে মেহেদী হাসান এখন উইকেটে টিকে আছেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ ২০ রানও তুলতে পারেননি। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ টেস্ট দল থেকে ছিটকে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সংগ্রহ মাত্র ১৭। পূর্বাঞ্চলের আবু হায়দার শিকার করেন ৪ উইকেট। এজন্য তাকে দিতে হয় ৫১ রান। দুটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও রুয়েল মিয়া। দুজনেরই খরচ সমান ২২ রান করে।
তার আগে ঘূর্ণি জাদুতে আব্দুর রাজ্জাক একাই ফেলে দেন পূর্বাঞ্চলের ৭ উইকেট। তবে রান দেন ১০২টি। তার সঙ্গে শফিউল উইকেট নেন দুটি। ফলে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দল প্রথম ইনিংস থেমে যায় ২৭৩ রানে।
প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের মাঝেও অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান যুব বিশ্বকাপ জয়ী তানজিদ হাসান। ৮৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৮২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি। এতে একটি রেকর্ডও হলো তার। টি-টোয়েন্টি, লিস্ট এ এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট- এ তিন সংস্করণের অভিষেকেই হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি গড়লেন তানজিদ। তার সঙ্গে আফিফ হোসেন যোগ করেন ৪৭ রান।
প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে পূর্বাঞ্চল।