৩৫৩ রানের লিড নেওয়ার পরই বোঝা গিয়েছিল। জয়টা হাতছানি দিয়ে ডাকছে দক্ষিণাঞ্চলকে। বাস্তবে সেটাই হলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ফাইনালে পূর্বাঞ্চলকে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল ক্যাপ্টেন আব্দুর রাজ্জাকের দল। এবং সেটা একদিন হারে রেখেই।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুরন্ত এ জয় দিয়ে টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিসিএলের শিরোপা ঘরে তুলল দক্ষিণাঞ্চল।
প্রথম ইনিংসে দাপট দেখালেও দ্বিতীয় ইনিংসে হতাশ করেন দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় দিন ১০৫ রানেই হারিয়ে ফেলে তারা ৮ উইকেট। ১২৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাকি দুই উইকেট হারিয়ে রাজ্জাকরা দলীয় স্কোরে যোগ করে মাত্র ১৫ রান।
হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৩ নিয়ে ফেরেন সাজঘরে। সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসটা ১৪০ রানে থামলেও দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে থাকে ৩৫৩ রানে। কারণ ফরহাদ রেজার সেঞ্চুরির (১০৩*) সঙ্গে ফজলে মাহমুদ (৮৬), শামসুর রহমান (৭৯) এবং সিরিজ সেরা প্লেয়ার ও ব্যাটসম্যান এনামুল হকের (৭৬) ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৪৮৬ রানের পাহাড়সম পুঁজি গড়েছিল তারা।
পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও আবু হায়দার। এজন্য দুজনে খরচ করেন যথাক্রমে ৩৫ ও ৫২ রান। ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
জয়ের জন্য ৩৫৪ রানের অসম্ভব লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায় পূর্বাঞ্চল। মাহমুদুল হাসান ১০৪ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৮১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেও দলের হার এড়াতে পারেননি। তার সঙ্গে জাকির হোসেন ৪২ ও আফিফ হোসেন ৩১ রান যোগ করেন।
দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে শফিউল ইসলাম ও মেহেদী হাসান তিনটি করে উইকেট তুলে নেন। তাদের খরচা যথাক্রমে ৫৬ ও ৬৬ রান। ৫১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়েন ম্যাচ সেরা ফরহাদ রেজা।
তার আগে সিরিজ সেরা বোলার আব্দুর রাজ্জাক একাই ৭ উইকেট উপড়ে দেওয়ায় প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দলের সংগ্রহ থেমে যায় ২৭৩ রানে।
টুর্নামেন্টের সব ম্যাচটি চার দিনে হলেও ফাইনালের জন্য নির্ধারিত ছিল পাঁচ দিন। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়াল না। চতুর্থ দিনেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল দক্ষিণাঞ্চল।