মাঠে খেলা না থাকায় শুধু ক্রিকেটাররাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তা কিন্তু নয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাও। করোনাভাইরাসের তেমন বাজে একটা প্রভাব পড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ওপর।
৩৮০ মিলিয়ন পাউন্ডের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ইসিবি। সংস্থার প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও স্পোর্ট কমিটি’কে। আর দেশটির মেজর তিন খেলা ক্রিকেট, ফুটবল ও রাগবি’র সবমিলিয়ে ক্ষতি হতে পারে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড।
১ জুলাই’র আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো ধরনের পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচ গড়াবে না। আর ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেডের অভিষেক আসর একবছর পিছিয়ে চলে গেছে ২০২১ সালে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হ্যারিসন আরো জানান, করোনাভাইরাস সঙ্কটে সকল পেশাদার ক্লাব ও ইসিবি মিলে প্রায় ৮০০ দিনের ক্রিকেট হারিয়ে ফেলতে পারে।
চলতি গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলার কথা রয়েছে ইংল্যান্ডের। আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রয়েছে সীমিত ওভারের সূচি।
ইসিবি এখনো আত্মবিশ্বাসী, কিছু ক্রিকেট ম্যাচ হয়তো তারা আয়োজন করতে পারবে। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলার পরিকল্পনা করছে এখন তারা। তার পরই ইংল্যান্ড সফরে যাবে পাকিস্তান।