করোনাকালের এই সময়টায় ক্রিকেট মাঠে ফেরার জন্য কিছু পূর্বশর্ত তৈরি করেছে আইসিসি। সামনের সময়ের ক্রিকেট ম্যাচে এই শর্তগুলো পূরণ করেই মাঠে নামতে হবে। আপাতভাবে শর্তগুলো পড়তে এবং শুনতে বেশ ভালই লাগছে। কিন্তু খেলার মাঠে এমনসব শর্ত পূরণ আদৌই করা সম্ভব হবে কিনা- সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এই প্রসঙ্গে আরো বড় কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। সেইসব প্রশ্নের আরও পরিস্কার উত্তর চেয়েছেন তিনি আইসিসির কাছ থেকে।
আইসিসি এই সময়টায় ক্রিকেট মাঠের ফেরানোর পূর্বশর্তের লম্বা-চওড়া গাইডলাইন বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সাকিব নিজেও পড়েছেন সেই গাইডলাইন। তবে সেসব বিধি বিধান প্রসঙ্গে সাকিব নিজেও অনেক বিষয়ে স্পষ্ঠ কোন ধারণা পাননি। সেই কারণে তিনি এসব বিষয়ে আইসিসির কাছ থেকে আরও পরিস্কার ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
সাকিবের এই জিজ্ঞাসা নিয়ে গালফ নিউজ একটি রিপোর্ট করেছে। আরব আমিরাতের স্বনামধন্য সেই পত্রিকার ক্রীড়া সম্পাদক ম্যাথু স্মিথ বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট লিখেছেন।
আইসিসির গাইডলাইন প্রসঙ্গে সাকিব তাকে জানান-‘ খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের আরো অনেক প্রশ্নের পরিস্কার উত্তর জানতে হবে। এখন আমরা শুনছি করোনাভাইরাস তিন ফুট বা ছয় ফুট দূর থেকে নয়, ১২ ফুটের দূরত্ব থেকেও ছড়ায়। তার মানে কি দাঁড়ায়, ওভার শেষে কি দুই প্রান্তের ব্যাটসম্যান এসে কাছাকাছি দাঁড়াতে পারবেন?’
সাকিবের আরো প্রশ্ন আছে-‘নাকি তারা তাদের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকবেন? গ্যালারিতে দর্শক থাকবে কি থাকবে না? উইকেটকিপারকে কি খুব বেশি দূরে দাঁড়াতে হবে? ক্লোজ- ইন ফিল্ডারদের ক্ষেত্রে তাহলে কি হবে?’
সাকিব বলছিলেন-‘এই বিষয়গুলোর আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। আমার মনে হয় না এসব বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার আগে আইসিসি মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর কোন সুযোগ নিবে। মনে রাখতে হবে, জীবন আগে। আর আমি নিশ্চিত যে তারাও (আইসিসি) সবার আগে নিরাপত্তা-এমন চিন্তাই করবে।’
সাকিব আল হাসান বর্তমানে ক্রিকেটে একবছরের জন্য নিষিদ্ধ। ক্রিকেট জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব তিনি আইসিসির কাছে রিপোর্ট না করায় এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছেন। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি কোন ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না।
পরিবারের সঙ্গে এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। লকডাউনের আগেই দেশ ছাড়েন এই তারকা ক্রিকেটার।