ফুটবল আর জীবন আগের মতো থাকবে না- মেসি

ফুটবল, খেলা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 05:18:41

করোনাভাইরাস মহামারি এখনো দূর হয়নি। তবে ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠতে শুরু করেছে ইউরোপ। এই পরিস্থিতিই তাদের নতুন সাহস যোগাচ্ছে। স্থগিত হয়ে পড়া ফুটবল  ফের মাঠে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপ। এরই মধ্যে গত ১৬ মে থেকে জার্মানিতে বুন্দেসলিগা শুরু হয়েছে। স্পেনের লা লিগা শুরু হচ্ছে ১২ জুন থেকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর তারিখ ১৮ জুন। ইতালিতে সেরি এ লিগ ২০ জুন থেকে শুরু হওয়ার অপেক্ষায়।

মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন লিওনেল মেসিও। তবে এবারের ফেরা নিয়ে আরো অনেকের মতো মেসিও দুঃশ্চিন্তায়। করোনাভাইরাস পরবর্তী ফুটবল আর আগের মতো থাকবে না। জীবন ধারনে পরিবর্তনের মতো ফুটবলও বদলে যাবে অনেককিছুতে। সবসময় নাকে লাগানো মাস্ক ও হাতে পরা গ্লাভসের মতো ‘নিউ নরম্যাল’ এর ধারণা তাহলে ফুটবলেও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে!

এই প্রসঙ্গে স্পেনের বিখ্যাত এল পাইস পত্রিকায় এক সাক্ষাতকারে জানান-‘ আমার তো মনে হয় ফুটবল আর আগের মতো একইরকম থাকবে। শুধু ফুটবল নয়, জীবন এবং জীবন ধারণও সম্ভবত আর আগের মতো থাকছে না। এই সময়ের অভিজ্ঞতা আমাদের সবার মনে থাকবে।’

লম্বা সময় ধরে ফুটবল নেই। মাঠে অনুশীলন নেই। বাইরে গিয়ে ছুটি কাটানোর উপায় নেই। বাসার চার দেয়ালে আটকে আছে জীবন। তাও স্বস্তি যে পরিবার সঙ্গে আছে। করোনাভাইরাস কালীন নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মেসি বলছিলেন-‘চারধারে এত মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতি দেখে আমিও দুঃখ, হতাশায় কাতর। কোন সন্দেহ নেই করোনাভাইরাসের এই ধাক্কার প্রভাব ফুটবলসহ সব ধরনের খেলাধুলার পড়বে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতার সামনে আমাদের পড়তে হচ্ছে।’

শুধু মাঠের বাইরে নয়, মাঠের খেলায়ও বড় প্রভাব ও পরিবর্তন আসছে বলে আশঙ্কা করছেন মেসি-‘অনুশীলন ও প্রতিযোগিতর মধ্যে আগে যেসব বিষয় খুব স্বাভাবিক ছিল, সেই অভ্যাসগুলোতে এখন পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তিত এই আশ্চর্যজনক পরিস্থিতিতে অনুশীলন করে অ্যাথলিটদের মানিয়ে নেয়াটাও সহজ হবে না। রোজকার অনুশীলনও বদলে গেছে।’

কঠিন এই সময়টায় যারা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসি বলেন-‘হাসপাতালে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কেয়ার হোমে যারা এখন এই ভাইরাসের বিপক্ষে লড়াই করছে তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। করোনাভাইরাস পরবর্তী পৃথিবী কেমন হবে সেই বিষয়ে এখন আমরা সবাই সন্দিহান। লকডাউনের সময়টায় অনেক মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য এই সময়টা অনেক কঠিনভাবে কেটেছে। অনেকে তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। কিন্তু তাদের শেষ বিদায়ও জানাতে পারেননি। নিজ পরিবারের কাউকে চিরতরে হারানোর মতো বেদনা আর কিছুতেই নেই। যখনই সেই চিন্তা মাথায় আসে তখনই আরো বেশি হতাশা পেয়ে বসে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর