ক্রিকেটার মাশরাফির শেষের তাহলে শুরু!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মাশরাফি বিন মর্তুজা

মাশরাফি বিন মর্তুজা

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ বা সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলন মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্য নতুন কিছু নয়। সেই ক্যারিয়ারের শুরুর দিন থেকেই সাংবাদিকদের কাছ থেকে উড়ে আসা সহজ প্রশ্ন, কঠিন প্রশ্ন, হাসিতে উত্তর দেয়া প্রশ্ন, ক্যামেরার ফ্লাশলাইট, শাটারের শব্দ, ভিডিও ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল বদল; এমন অনেককিছুই দেখে আসছেন। তবে শনিবার ৮ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলনটা কি একটু অন্যরকম নয়?

যেভাবে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ক্রমশ শেষের দিকে যাচ্ছে এবং রাজনীতিতে নতুন ব্যস্ত জীবনের সূর্যরেখা উদীয়মান হচ্ছে তাতে প্রায় নিশ্চিত যে ঘরের মাঠে এটাই মাশরাফির শেষ ক্রিকেট সিরিজ। কারণ সামনের বছর বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত দেশের মাটিতে বাংলাদেশের আর কোন ঘরোয়া ক্রিকেট সিরিজ নেই। আর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপকে মাশরাফিও তার ‘গুডবাই ক্রিকেট’ হিসেবেই দেখছেন।

ওয়ানডে অধিনায়ক নিজেও কিছুদিন আগে বলেছেন-‘২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার একটা মাইন্ড সেটআপ আছে আমার। তারপরও রিভিউ করার সুযোগ আছে, আমি যদি সেই অবস্থায় না থাকি তাহলে অবশ্যই আমাকে কুইট করতে হবে।’

আর মাশরাফির ক্রিকেট ক্যারিয়ার কতদুর বিস্তৃত হবে সেই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন- ‘...বড়জোড় বিশ্বকাপের পরে হয়তো সে অবসরে যাবে।’

এমনসব সমীকরণ মিলিয়েই শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের প্রথম প্রশ্নটাই মাশরাফিকে শুনতে হলো-‘এটাই কি ঘরের মাঠে আপনার শেষ সিরিজ কিনা’?
বিদায় বলাটা সবসময় কঠিন। বিদায় বলে আবার ফিরে আসাটাও ঠিক মাশরাফির ধাঁতের সঙ্গে যায় না। অধিনায়ক সম্ভবত সেজন্যই নিজের সিদ্ধান্তকে একটু শূণ্যতার সুতোয় ঝুলিয়ে রাখলেন-‘বলা কঠিন, আসলে ভবিষৎতের কথা তো বলা যায় না! আমার কোনকিছুই মাইন্ড সেট থাকে না। মাইন্ড সেট করে কিছু করি না। দেখা যাক সামনে কি হয়।’

সরাসরি শেষ না বললেও মাশরাফি কিন্তু বিশ্বকাপ পরবর্তী তার ক্যারিয়ার আর লম্বা যে হচ্ছেই সেই নিশ্চয়তাও কিন্তু দিলেন না। তবে বাস্তবতা, সামনের দিনের ব্যস্ততা ও ক্রিকেট থেকে অর্জন, সাফল্য এবং সময়; এই অনুষঙ্গগুলোকে যুক্তির নিক্তিতে নিলে যা মিলছে তার যোগফল একটাই-ক্রিকেটার মাশরাফির বিদায় বলার ক্ষণ গননার শুরু যে হয়ে গেল!

আর তাই সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির প্রতিটি নড়াচড়া। অনুশীলনে কাটানো ব্যস্ত সময়। বোলিং মার্কে দৌড়ানো। উইকেট শিকারের পর আনন্দ উল্লাস। ক্যাচ ধরার পর মুষ্ঠিবদ্ধ হাত। ম্যাচ জয়ের তৃপ্তিতে সতীর্থকে বুকে জড়িয়ে ধরা। ক্যামেরার ফ্লাশলাইটের আলো ও শাটারের অবিরাম শব্দে, আবৃত্তিতে যেন অধিনায়কের শেষের শুরুর প্রতিটি মুর্হূতকে ধরে রাখার সুতীব্র আকুতির ছন্দ!

শেষের শুরুর এই লগ্নে দারুণ এক সংখ্যার দেখা পাচ্ছেন মাশরাফি। রবিবার, ৯ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা মাশরাফির আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০০ নম্বর ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে এই ক্লাবের সদস্য হচ্ছেন মাশরাফি। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের ১৯৯ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ১৯৭টি মাশরাফি খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। বাকি দুটি ম্যাচে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এশিয়া একাদশের জার্সি গায়ে। নিজের এই অন্যরকম ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচ প্রসঙ্গেও মাশরাফি কিছুটা উদাসীন ভঙ্গিতেই বললেন-‘ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার আসলে খেয়াল ছিলো না। তবে এমনসব সংখ্যা, এগুলো আমাকে তেমন স্পর্শ করে না। আমার কাছে এগুলো এত গুরুত্বপূর্ণও নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা জেতা। তবে একটা বিষয় ভাল লাগছে যে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে কেউ অন্তত ২০০তম ম্যাচ খেলছে। মানুষ যখন বলবে, তুমি বাংলাদেশের হয়ে দুশোটা ওয়ানডে খেলেছো, এটা তখন অবশ্যই একটা অর্জন মনে হবে। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভাল লাগবে। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।’

দুই হাঁটুতে সাতবার অস্ত্রোপচার নিয়েও দৌড়াতে থাকা মাশরাফির ক্রিকেট ক্যারিয়ার সেটাই শেখাচ্ছে আমাদের-‘জিততে হবেই, জেতার আগে হারতে নেই!’

   

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমাকে উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;