একতরফা নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে অ্যাকর্ড



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বিজেএমইএ‘র সংবাদ সম্মেলন

বিজেএমইএ‘র সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

সমঝোতা চুক্তি না মেনে এক তরফা নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে ইউরোপের ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড বলে অভিযোগ করেছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

শনিবার (০৩আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ড. রুবানা হক এ অভিযোগ করেছেন। পোশাক শিল্পে ফায়ার সেফটি ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক ওয়ার্কশপে  বিজিএমইএ নেতা ও অ্যাকর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএর চুক্তি অনুসারে কারখানাগুলোতে নতুন শর্ত আরোপের আগে বিজিএমইএর সঙ্গে কথা বলতে হয়, কিন্ত কারখানাগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে অ্যাকর্ড আমাদের ওপর নতুন নতুন শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশের পর চলতি বছর সমঝোতা চুক্তি হয়।

নতুন নতুন শর্তের কারনে বিপদে আছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। কারখানাগুলোর নকশা, বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটির পরও টেস্টিং-এ ফেল দেখানো হচ্ছে। তবে নানা প্রতিকূলতার মাঝে আমরা পিছিয়ে নেই। তাদের সঙ্গে নতুন চুক্তির পরই থেকেই তারা একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

রুবানা হক বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই ৪০০ কারখানাকে সর্তক (এক্সেলেটেড) করেছে। তাতে রফতানি আদেশ ও কারখানার ব্যবসা কমছে। শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছে।

তিনি বলেন, অ্যাকর্ড ১৬০০ কারখানা নিয়ে কাজ করছে এর মধ্যে গত ছয় বছরে মাত্র ২০০ কারখানাকে সনদ দিয়েছে, এর মধ্যে ৪০০ কারখানাকে তারা সতর্ক করেছে। চুক্তির শর্তভঙ্গের কারণে আমাদের বিনিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি বড় সংখ্যক কারখানার শ্রমিকরা বেকার হতে পারে। এতে আমাদের যে লক্ষ্য সেখান থেকে আমরা আরও দূরে চলে যাব।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, অ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করলেও এখন তাদের জুড়ে দেয়া শর্ত আমাদের জন্য বিপদের কারন হতে পারে। তারা আমাদের ভালোর জন্য কাজ করতে এসেছেন, তবে সেটি হতে হবে সবার সমন্বয়ে। যে কাজটি তারা পাঁচ বছর আগে করার কথা ছিলো সেটি তারা এখন করছে। অ্যাকর্ডের এসব একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া বন্ধ হওয়া উচিত।

   

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ।

তিনি বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেয়া হবে।

ঋণ পাওয়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মূলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

এর আগে বেশ কিছু লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে ছাড় করা হবে এই ঋণ।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ছাড় করে। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড় করা হয় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

;

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সংস্থাটির ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আইএমএফ প্রতিনিধি দল অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ঋণের শর্ত ও সংস্কারে কতটা অগ্রগতি ও আরও কতটা করতে হবে সেই সুপারিশের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন আইএমএফ প্রতিনিধি দল সরকারের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। তার সারমর্ম নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে সফররত প্রতিনিধি দলটি।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ঋণের শর্ত ও সংস্কারের কতটা অগ্রগতি এবং আরও কতটা করতে হবে সেই সুপারিশের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে, তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কি? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ভোগান্তি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।

আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে এদিন কথা বলেন অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারও। তিনি জানান, ১০টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ পক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।

;

টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার

টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল রয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্ট লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ২৪ টাকা। যা আগে ছিল ১০৩ দশমিক ৭৫ টাকা।

টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ১০৪ দশমিক ৭০ টাকা।

অপর এক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ছয় হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং খুলনার শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাছ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০১ দশমিক ৪০ টাকা। যা আগে ছিল ১০২ দশমিক ৯০ টাকা।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক-ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের র‌্যাফেল-ড্র অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। র‌্যাফেল ড্র-তে ভাগ্যবান বিজয়ী হন ব্যাংকের মুন্সীরহাট শাখার রেমিট্যান্স গ্রাহক মোঃ শাহজালাল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল অপারেশন্স ম্যানেজার শিহাব হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন, চিফ রেমিট্যান্স অফিসার মাজহারুল হক এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি জাফর আলম ভাগ্যবান বিজয়ীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং তাকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তার ও তার পরিবারের খোঁজখবর নেন, কুশল বিনিময় করেন।

;