চট্টগ্রাম বন্দর ‘তিন’ বছর ভুল পথে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের আগামীর বন্দর হিসেবে পরিচিত বে টার্মিনাল। নগরীর ইপিজেডের পেছন থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় সাগরের ভেতরের অংশে ২৩০০ একর ভূমিতে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বে টার্মিনাল। দিন রাত ২৪ ঘন্টা নেভিগেশন সুবিধার সম্ভাবনার এই টার্মিনালের ভূমি বরাদ্দ প্রক্রিয়া ঘুরছে তিন বছর ধরে। ২০১৫ সালে ভূমি বন্দোবস্তের আবেদন করার পর এখন আবার তা অধিগ্রহণের আওতায় যাচ্ছে।

বন্দোবস্ত হিসেবে আবেদনের তিন বছর পর একই ভূমি বরাদ্দের জন্য আবার অধিগ্রহণে কেন যেতে হচ্ছে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চট্টগ্রামের নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াসের কথা।

দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে কর্মরত থাকা মোহাম্মদ ইলিয়াস চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য ভূমি বরাদ্দের জন্য আবেদন করা বন্দোবস্তের পরিবর্তে অধিগ্রহণের আওতায় আবেদন করার পরামর্শ দেন।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের জন্য ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু আরো ৮২০ একর ভূমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে বরাদ্দ পেতে আবেদন করা হয়েছিল। এখন এই ভূমিও অধিগ্রহণের আওতায় আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের পরামর্শে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছিলাম, মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন দিয়েছে অধিগ্রহণের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য।’

কিন্তু তিন বছর পর আবার প্রথম থেকে শুরু করতে কেন হলো জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, বে টার্মিনালের এই জায়গাটি আগে অনেককে ইজারার মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এসব জায়গা নিয়ে মামলাও রয়েছে। তাই ভূমি আইন অনুযায়ী এগুলো বন্দোবস্তে যাওয়ার সুযোগ নেই। এজন্য বন্দোবস্তের পরিবর্তে অধিগ্রহণে গেলে দ্রুত ভূমির বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এজন্য অধিগ্রহণের মাধ্যমে বরাদ্দ পেতে বন্দরকে বলেছিলাম।

এদিকে বন্দর সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। জেলা প্রশাসন তা বরাদ্দের অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপিত হবে।

জানা যায়, ২২ বছর আগে পতেঙ্গা থেকে দক্ষিণ কাট্টলী পর্যন্ত সাগরের উপকূলের খাসজমিগুলো প্রায় ৫০টি ব্লকে ভাগ করে জেলা প্রশাসন বরাদ্দ দিয়েছিল। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে চিংড়ি চাষের জন্য ৯৯ বছরে মেয়াদে ইজারা হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয় এসব ভূমি। কথা হয় বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ একর জায়গা বরাদ্দ পাওয়া মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সাথে।

তিনি বলেন, ‘আমরা টাকা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে ভূমি বরাদ্দ নিয়েছি। সরকার রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে আমাদেরকে তা বরাদ্দ দিয়েছে। এখন এই জমি জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কিভাবে বরাদ্দ দেবে? এক জমি কি দুই জায়গায় বরাদ্দ দেয়া যায়?’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে বন্দরকে বরাদ্দ দেয়া হলে আমাদের আপত্তি নাই। তবে বর্তমান মৌজামূল্যে আমাদেরকে ভূমির মূল্যবাবদ অর্থ বুঝিয়ে দেয়া হউক।‘

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিশহর ও দক্ষিণ কাট্টলী উপকূলে এধরনের প্রায় অর্ধশত লোককে এসব ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কাউকে পাঁচ একর আবার কাউকে ১০ একর করে ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে সাগরের ভেতরের এসব ব্লকেই গড়ে তোলা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের মাছের খামার।

এবিষয়ে কথা হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ( অধিগ্রহন-১) মির্জা তারিক হিকমতের সঙ্গে। উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন,‘ সরকারের কোনো একটি সংস্থার জন্য এক হাজার একর ভূমি প্রয়োজন। যদি এই এক হাজার ভূমির সবটা সরকারের খাস জমি হয় তাহলে তা বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ নিতে হবে। আর যদি ৯৫০ একর জমি খাস ও ৫০ একর জমি ব্যাক্তি মালিকানাধীন, অথবা অল্প পরিমান জায়গাও ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকে তাহলে পুরো জায়গাটি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।’

তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বে টার্মিনালের জন্য ৮২০ একর জায়গা প্রথমে বন্দোবস্ত ও এখন অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানকার কিছু জায়গা জেলা প্রশাসন ৯৯ বছরের ইজারা দলিলের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছিল। তাই এখন আর এখানে বন্দোবস্ত হবে না, এই ভূমি বরাদ্দ পেতে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।’

এদিকে বে টার্মিনালের নির্মাণের সম্ভাব্যতা জরিপের কার্যক্রম শেষ করে জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান বন্দরের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের মাধ্যমে বে টার্মিনাল গড়ে তোলবে। বে টার্মিনালে তিনটি টার্মিনাল থাকবে। একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ও দুটি কনটেইনার টার্মিনাল। প্রাথমিকভাবে সবার আগে বে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনারগুলো ডেলিভারি দেয়ার জন্য স্পেস তৈরি করা হবে। এতে বন্দরের জেটিতে প্রবেশ করা প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজার ট্রক নগরীতে প্রবেশ করতে হবে না।

উল্লেখ্য, ইপিজেড থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত সাগরের ভেতরের প্রায় ২৩০০ একর জায়গায় নির্মিত হবে বে টার্মিনাল। জোয়ার-ভাটা, দিন-রাত, বাঁকা চ্যানেল কিংবা ড্রাফটের বিবেচনা কর্ণফুলী নদীর জেটিতে জাহাজ ভিড়তে হলেও বে-টার্মিনালের ক্ষেত্রে সেই সীমাবদ্ধতা নেই। বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর জেটিতে পৌছাতে একটি জাহাজকে ১৫ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু বে টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে তা শূন্য কিলোমিটারের মধ্যেই বার্থিং করতে পারবে।

বে টার্মিনাল নির্মাণ হলে যেকোনো দৈর্ঘ্য ও প্রায় ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ এখানে ভিড়তে পারবে। বিপরীতে বর্তমান চ্যানেলে মাত্র ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ কর্ণফুলীতে প্রবেশ করতে পারে। সেইক্ষেত্রেও জাহাজকে দুটি বাঁক অতিক্রম করতে হয় এবং দিনের মাত্র চার ঘন্টা সময় পাওয়া যায়। কিন্তু বে টার্মিনালে ২৪ ঘন্টা জাহাজ পরিচালনা করা যাবে। বিদ্যমান জেটিতে একসাথে ১৬টি জাহাজ বার্থিং করা গেলেও বে-টার্মিনালে গড়ে প্রায় ৫০টি জাহাজ একইসাথে বার্থিং করা যাবে। বন্দরের জেটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার হলেও বে টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। ল্যান্ড লর্ড পদ্ধতিতে চালু হতে যাওয়া বে টার্মিনাল চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্র বন্দরের অভাব গোচাবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টদের ধারনা।

পতেঙ্গা ইপিজেডের পেছন থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত সাগরের অংশে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে বে টার্মিনাল। এই বে টার্মিনালের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বরাদ্দ পেতে এবং ৮২০ একর ভূমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়য় বরাদ্দ পেতে ২০১৫ সালে আবেদন করা হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি অনুমোদন দেয়। সরকারের বিধি অনুযায়ী মৌজা মূল্যের তিনগুণ মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে এই ভূমি বরাদ্দ পাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সে অনুযায়ী ফিল্ড বুক তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু টাকা পরিশোধের চিঠি ইস্যু বাকি রয়েছে। কিন্তু আটকে থাকে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় আবেদন করা ৮২০ একর ভূমির বরাদ্দ পেতে।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;