ভোক্তা অধিকারকে হটলাইন চালুর নির্দেশ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্য কিনে প্রতারিত ভোক্তাদের অভিযোগ জানাতে ২ মাসের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে ২৪ ঘণ্টার হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ হটলাইন চালু রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে আদালতের আদেশ বাস্তায়ন না করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে শর্ত সাপেক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৬ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ  ও রাজিব আল জলিলের সম্বনয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ভোক্তারা অধিদফতরের ০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি ৯৯৯ এবং ৩৩৩ নম্বরে কল করেও অভিযোগ করা যাবে।

একইসঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় ওঠে আসা নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেয়ার আদেশ প্রতিপালন না করায় আদালতে হাজির হওয়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে আদালত অবমাননার হাজিরা থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

সকালে আদালতে হাজির হয়ে নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদনে মাহফুজুল হকের পক্ষে জানানো হয় নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিত করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

অব্যাহতির শর্তে বলা হয়েছে ‘বিশেষ কোন উপলক্ষ্য ও মাস ঘিরে নয়, সারাবছরই ভেজাল ও মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রাখতে হবে, ভবিষ্যতে আদালতের আদেশ ভঙ্গ করবেন না এবং জনবল কম থাকলে তা বৃদ্ধি করে অভিযান চালাতে হবে।’

এরআগে গত ২৩ মে ভেজাল ও নিন্মমানের পন্য বাজার থেকে সরানোর আদেশ প্রতিপালন না করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হককে তলব করে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আদেশে তাকে ১৬ জুন হাজির হতে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হন তিনি।

আদালত বলেছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) সারাবছরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া মানহীন ৫২ পণ্যের মধ্যে পুন:পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ ১৬টি পণ্যের পাশাপাশি বাজারে থাকা সকল পণ্য র‌্যান্ডম টেস্ট ও রিটেস্ট করতে হবে। আগামী ১৯ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আদালতের আদেশ প্রতিপালনের বিষয়টি অবহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম ও বিএসটিআই এর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আর হাসান মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

শুনানিতে বিএসটিআই আইনজীবী এম আর হাসান মামুন বলেন, মানহীন ৫২ পণ্যের মধ্যে ৪২টি পণ্যের মান যাচাইর প্রতিবেদন দিয়েছে বিএসটিআই। এর মধ্যে ২৬টি পণ্য উত্তীর্ণ হলেও ১৬টি ব্যর্থ হয়েছে। আইন অনুযায়ী পুন:পরীক্ষায় তাদের উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, ৯৬টি পণ্যের মধ্যে ৫৩টি মানসম্মত। ২২ টির মান ভাল না হওয়ায় তাদেও কারণ দর্শতে বলা হলে ২ টি পণ্যেও পক্ষে জবাব দেয়া হয়নি। ৮ টি পন্য বিএসটিআইর অনুমোদন নেয়নি। তারা পুনপরীক্ষার সুযোগ পাবে না। আজ থেকে আমাদের সার্ভিলেন্স টিম কাজ শুরু করেছে।

আদালত বলেন, আপনাদের কাজ চলমান রাখতে হবে। আমরা বারবার আদেশ দিতে চাই না।

এ পর্যায়ে রিট আবেদনের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, বিএসটিআইর নমুনা পরীক্ষার কোনো সময়সীমা নেই। পরীক্ষার জন্য এক মাস সময় নিলে এ সময়তো পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকবে না। এখানে বিএসটিআইর ঘাটতি রয়েছে।

তখন আদালত বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি পণ্যের মান পরীক্ষার আগে লেনদেন হয়। এ অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে দুদকে পাঠাবো না, সোজা কারাগারে পাঠাবো।

আইনজীবী বলেন, নমুনা পরীক্ষা ন্যূনতম স্বচ্ছতা থাকা দরকার।

আদালত বলেন, পণ্যের মান পুনপরীক্ষায় দুর্নীতিবাজদের রেট আরও বেড়ে যাচ্ছে।

শুনানি শেষে আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের আগের প্রতিবেদনে ভুল ছিল। এবার সম্পুরক আবেদন দিয়ে বলেছি সারা দেশে ভেজাল পণ্যেও বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আদালত অবমাননার অভিযোগ মার্জনা করেছেন।

এর আগে গত ১২ মে বিএসটিআইর পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য বাজার থেকে যত দ্রুত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ পালন করে ১০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত।

পাশাপাশি পণ্যগুলোর বিষয়ে যথাযথ আইন অনুসারে তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ভেজাল পণ্যের মান উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত তা উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের ওই আদেশ প্রতিপালন না করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেন হাইকোর্ট।

   

ঢাকা ফিরেই গ্রেফতার ‘কাচ্চি ভাই’র মালিক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেই গ্রেফতার হয়েছেন ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল সিরাজ।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে বেইলি রোডের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির হাতে তুলে দেয়।

ভবনে আগুন লাগার পরপরই তিনি দেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যান। সিরাজকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ওই ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো।

বুধবার (৭ মে) সকালে সোহেল সিরাজকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় সিআইডি। শুনানি শেষে বিচারক তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের আটতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। ওই ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।

;

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ারের নামে পেইজ হ্যাক, মামলা করতে এসে ধরা বাদী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাবের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নামে একটি ফেইসবুক পেইজ খোলেন নরসিংদীর রায়পুরা থানাধীন এলাকার এক যুবক আইয়ুব খান। সেই পেইজটি হ্যাক করে ‘সেলিব্রেটিং জিন রডেনবেরি: স্টার ট্রেক'স ব্রিজ অ্যান্ড নাসা’ নামে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান। এতে বাদির ৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে ঢাকার একটি আদালতে মামলার আবেদন করেন আইয়ুব।

বুধবার (৮ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। মামলার জবানবন্দি দেওয়ার সময় বিচারকের কাছে ধরা খান আইয়ুব খান।

মামলায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় বিচারক বাদীকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি (বাদী) কি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম? জবাবে বাদী বলেন, না। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, তবে কেন আপনি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নামে পেইজ খুললেন। তখন সে এ প্রশ্নে জবাব না দিতে পেরে আমতা আমতা করতে থাকেন। এরপরই বিচারক একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নামে পেইজ খুলে প্রতারণার অভিযোগে বাদী আইয়ুব খানকে আসামির কাঠগড়ায় ঢোকানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী তাকে আসামির কাঠগড়ায় ঢুকিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে আটক রাখা হয়। শেষমেষ আদালত মামলা গ্রহণ না করে তা খারিজের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম নামে একটি প্রফেশনাল ফেইসবুক পেইজ তৈরি করেন আইয়ুব খান। পেইজ গ্রুপের বিভিন্ন পোস্ট দেখা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় এবং ওই পেইজে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল। যার কারণে আসামি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার এবং পেইজের একক পরিচালক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার অসৎ উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ নানামুখী ষড়যন্ত্র করে আসছিল।

২০২১ সালের ১৯ আগস্ট দুপুর ২ টা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার মাহমুদাবাদে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম পাবলিক পেইজ গ্রুপের বিভিন্ন পোস্ট দেখার সময় আসামি CELEBRATING GENE RODDENBERRY: STAR TREK'S BRIDGE AND NASA ওই পেইজে স্বেচ্ছায় যুক্ত হয় এবং সাথে সাথে বাদীর তৈরিকৃত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম নামের পাবলিক পেইজটি হ্যাক হয়ে যায়।

;

এবার আফতাবনগরে বসনো যাবে না পশুরহাট: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এবার সেখানে পশুর হাট বসছে না।

বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আফতাবনগর আবাসিক এলাকা হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। ফলে কোরবানির ঈদে সেখানে পশুর হাট বসানো যাবে না।

এর আগে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি অফিসারসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়।

;

পরিবেশরক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরিবেশ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ৫ মে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।

তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যার কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারা দেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

;