মেসি ফিরলেন কিন্তু আর্জেন্টিনা হারলো



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচে লিওনেল মেসি, ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচে লিওনেল মেসি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনকিছুর জন্য অপেক্ষায় ছিল না আর্জেন্টিনা। আশা ছিল, মেসি ফিরবেন তাদের 'মসিয়া' হয়ে। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির ফিরে আসা ম্যাচেই দল হারলো। হোক না সেটা প্রীতি ম্যাচ, তাতে কি? ফিফার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তো আছে এই ম্যাচে।

ভেনেজুয়েলার কাছে ৩-১ গোলে হারে আর্জেন্টাইন ফুটবলের সাম্প্রতিক সমস্যা আরও প্রকট হলো। মেসির ফিরে আসার খবরের আনন্দ নিয়ে এই ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। ম্যাচ শেষ করলো তারা একরাশ হতাশা নিয়ে। মাঠে মেসি ঠিকই একক নৈপুণ্যের ঝলক দেখালেন। কিন্তু অনভিজ্ঞ আর্জেন্টিনার এই দল এখনো 'বড় লড়াইয়ের' জন্য ঠিকমতো প্রস্তুত হয়নি, সেটাই বোঝা গেল বড় এই হারে।

মাদ্রিদে ম্যাচের ৬ মিনিটের সময় প্রথম গোল পায় ভেনেজুয়েলা। সেন্টার লাইন থেকে উড়ে আসা বল ধরতে সামনে থাকা ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে সামনে বাড়েন সলোমন রেন্ডন। ডান পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বল নামান। মুহূর্তের মধ্যেই একই পায়ে পোস্টে শট নেন। গোলকিপার সেই শট আটকাতে পারেননি, গো..ও..ল!

প্রথমার্ধে মেসির ঝলকে ভেনেজুয়েলার রক্ষণভাগ বারকয়েক কেঁপে ওঠে। রক্ষণের তিনজন ফুটবলারকে বাম পায়ের জাদুতে মুগ্ধ রেখে পেনাল্টি বক্সে থ্রু বাড়ান মেসি। হেডও হয় সেই বলে। কিন্তু পোস্টে ভেনেজুয়েলার গোলকিপার চমৎকার কায়দায় ফিস্ট করে গোল বাঁচান। সতীর্থদের কাছ থেকে বাকি সময়টায় তেমন সহযোগিতাও পাননি মেসি।

ভেনেজুয়েলার রক্ষণভাগে আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকবার আক্রমণে যায়। তবে উভয় পাশ থেকে বাড়ানো থ্রুগুলোর কোনটাই গোলে রূপান্তর হয়নি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে ম্যাচে দ্বিতীয় ধাক্কা খায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বামদিকের মোচড় থেকে বাঁকানো শটে দ্বিতীয় পোস্টে শট নেন জন মুরিল্লো। আর্জেন্টাইন গোলকিপার ডানদিকে ঝাঁপিয়েও বলে হাত ছোঁয়াতে পারেননি। বল জালে। ম্যাচে ২-০ গোলের লিড নিয়ে ভেনেজুয়েলা প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে।

শুরুর এই ৪৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার খেলা দেখে মনে হচ্ছিলো আন্তর্জাতিক ফুটবলে একেবারে নবীন কোন দল খেলতে নেমেছে। এমনই নার্ভাস, এমনই পরিকল্পনাহীন পুরো দল।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য আর্জেন্টিনা উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু থার্ড জোনে বল নিয়ে ফিনিশারের বড্ড অভাব যে আর্জেন্টিনার এই দলে। ৫৯ মিনিটের সময় দ্রুতগতির একটা আক্রমণ থেকে গোল পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে আসা লং বলের পাস ধরে পোস্টে শট নেন লাউতারো মার্টিনেজ। সেই শটে গোল।

ভেনেজুয়েলার হয়ে ম্যাচের শেষ গোল করেন জোফেস মার্টিনেজ। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে পেনাল্টিতে এ গোল করেন তিনি। মেসি পুরো ৯০ মিনিট খেলেও আর্জেন্টিনার হার বাঁচাতে পারেননি। গোলমুখে তাকে কড়া পাহারায় রাখে ভেনেজুয়েলার রক্ষণভাগ।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন কোচ লুইস স্কলানি বলেন, ‘ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে আমরা ইতিবাচক অনেক কিছু পেয়েছি। এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। মেসির সঙ্গে দলের বাকিদের কিভাবে মানিয়ে নিতে হবে সেটা বুঝতে পেরেছি।'

   

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;

শেখ রাসেল বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ও চট্টগ্রাম



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত হয়েছে ষষ্ঠ শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫। তিন দিন ব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল শুক্রবার। যেখানে বালক বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘শেখ রাসেল ফুটবল বীচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

;

০ রানে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী টি-টোয়েন্টিতে ০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ইন্দোনেশিয়ান অফ স্পিনার রোহমালিয়া। সেরা বোলিং পরিসংখ্যানের এই কীর্তি রোহমালিয়া গড়েছেন নিজের অভিষেক ম্যাচেই। তার বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ২৪ রানেই আলআউট হয়ে গিয়েছে মঙ্গোলিয়া। যাদের মধ্যে সাতজনই খুলতে পারেননি রানের খাতা। আর সেই সাত জনের পাঁচজনই আবার তার শিকার।

বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হওয়া সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫১ রান তুল স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে রোহমালিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ২৪ রানেই গুঁটিয়ে যায় মঙ্গোলিয়া। ম্যাচ হারে ১২৭ রানের ব্যবধানে। তবে সেই ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় এখন ১৭ বছরের কিশোরী রোহমালিয়া।

এর আগে নারী টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং পরিসংখ্যানটি ছিল নেদারল্যান্ডসের পেসার ফ্রেডেরিক ওভারডিকের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এই কীর্তি আছে আর্জেন্টিনার অ্যালিসন স্টকসেরও।

পেরুর বিপক্ষে ৩ রানে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তারও। সেই ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এবার রোহমালিয়াও। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেও আগের দুইজনকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এর আগে ০ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি অবশ্য ছিল নেপালের অঞ্জলি চাঁদের।

;