‘বিশ্বকাপ দলে সবাই অটোমেটিক চয়েজ নয়’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আকরাম খান : বিসিবি’র টিম অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান

আকরাম খান : বিসিবি’র টিম অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান

  • Font increase
  • Font Decrease

-আকরাম ভাই, বিশ্বকাপ দল কবে ঘোষণা হবে?

‘‘অবশ্যই ২২ এপ্রিলের আগে। কয়েকজন খেলোয়াড়ের ফর্ম নিয়ে আমরা কিছুটা দুঃশ্চিন্তায় আছি। সেই এক-দুজনের ফর্ম সামনের ঘরোয়া ম্যাচগুলোতে আমরা দেখবো। সুপার লিগের কয়েকটি ম্যাচেও তারা পারফর্ম করার সুযোগ পাবে। আশা করছি বিশ্বকাপের দলটা আমরা ১৯ এপ্রিল সবাইকে জানাতে পারবো।’’

-বিশ্বকাপ দল গঠনের কোন বৈশিষ্ঠ্য বা ক্রাইটেরিয়া কি নির্ধারণ করা আছে?

আকরাম খানের পরিস্কার জবাব-‘বিশ্বকাপে সবাই কিন্তু অটোমেটিক চয়েজ নয়। আমাদের মুল পারফর্মার বিশেষ করে যারা সবচেয়ে সিনিয়র, সেই তারাই শুধুমাত্র অটোমেটিক চয়েজ। এই তালিকার বাইরে যারা আছে তারা যদি পারফর্ম করতে না পারে তবে বিশ্বকাপে তারা অটোমেটিক চয়েজ নয়।’

-তাহলে কারা অটোমেটিক চয়েজ?

সেই উত্তর জানতে খুব বেশি জ্ঞান খরচের প্রয়োজন নেই। নামগুলো প্রায় জানা সবার। মজার বিষয় হলো সেই অটোমেটিক চয়েজে থাকা অনেকেই আবার এখন পর্যন্ত চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও খেলেননি! তবে যারা খেলছেন তাদের মধ্যে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজনের পারফরমেন্স নির্বাচকদের চিন্তায় রেখেছে।

বিসিবি’র টিম অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও সেই চিন্তার কথাই জানালেন-‘সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে খেলে এসেছে জাতীয় দল। কন্ডিশন বিবেচনায় ক্রিকেটের জন্য নিউজিল্যান্ড বেশ কঠিন জায়গা। সেখানে খেলে আসার পর তো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এখানে দেশের মাটিতে ভাল খেলার, আরো ভাল পারফর্ম করার কথা। কিন্তু দুভার্গ্যজনক বিষয় হলো আমরা যে ধারণা করেছিলাম তারা সেটা করতে পারছে না। ক্রিকেটে ফর্ম অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ।’

-তাহলে যে বলা হয় ফর্ম ইজ টেম্পেরারি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট!

আকরাম খান কোন বিতর্কে না গিয়ে নিজের ব্যাখায় বললেন-‘ওয়ানডে ক্রিকেটে ক্রিকেটারের ফর্ম না থাকলে বা রান করতে না পারলে দলের জন্য ম্যাচ জেতাটা কঠিন হয়ে দাড়ায়। সেজন্যই আয়ারল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপের জন্য দল গঠনে আমরা ক্রিকেটারদের ফর্মকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। যারা ফর্মে নেই তাদের ব্যাপারে আমরা অবশ্যই চিন্তিত। তবে আশা করছি ঢাকা লিগের সামনের সুপার লিগে এই ক্রিকেটাররা ফর্মে ফিরে আসবে। তারা ফর্মে ফিরলে সেটা বাংলাদেশ দলের জন্যই ভালো।’

একটা বিষয়ে আকরাম খান পরিস্কার বার্তা দিয়েছেন-‘যারা অটোমেটিক চয়েজ তালিকায় নেই, তাদের জায়গায় যদি অন্য কেউ পারফর্ম করে তবে পারফর্মারদের দলে চলে আসার সুযোগ থাকছে। নির্বাচকরাও এই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবেন। সেজন্যই আমরা লিগের আরো দুই তিনটা ম্যাচ দেখবো। ১১ জনের দলের তিনজন খেলোয়াড় যদি অফফর্মে থাকে তবে সেটা পুরো দলের জন্য সমস্যার তৈরি করে। তখন দলে বড় শূন্যতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচকদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলেছি। আর তাই বিশ্বকাপের দল ঘোষণার জন্য ঘরোয়া লিগের আরো দুই-তিনটা ম্যাচ দেখবো আমরা।’

   

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;