তিনশ প্লাস রান তাড়া, বাংলাদেশের বড় সমস্যা!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা

বিশ্বকাপে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা

  • Font increase
  • Font Decrease

এককথায় প্রায় সবার বিশ্লেষণ শেষ হচ্ছে এক জায়গায় এসে-এবারের বিশ্বকাপ হবে রান উৎসবের বিশ্বকাপ! প্রতি ম্যাচেই প্রচুর রান হবে। আগে ব্যাটিং করলে তিনশ’র বেশি রান তুলতে হবে। পরে ব্যাট করলে তিনশ প্লাস স্কোর তাড়া করে ম্যাচ জিততে হবে।

বিশ্বকাপের আগেভাগে সেই তিনশ প্লাস রান করা অথবা এমন রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার প্রস্তুতিটা বেশ কয়েকটা দলের হয়ে গেলো। সাম্প্রতিক সময়ে এই শক্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালোভাবে উত্তীর্ন হয়েছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে চার ম্যাচের প্রতিটিতেই আগে ব্যাট করতে নেমে তিনশ প্লাস রান তুলেছে। অথবা রান তাড়ায় নেমে তিনশ’র বেশি রানের টার্গেট টপকে গেছে। সেই সিরিজে পাকিস্তান কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও তাদের ব্যাটসম্যানরা তিনশ প্লাস স্কোর ঠিকই গড়েছে।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কাও এই অভ্যাসটা দেখিয়েছে। আফগানিস্তান তাদের প্রথম ওয়ানতে আয়ারল্যান্ডের কাছে হারলেও পরের ম্যাচেই তিনশ’র বেশি রান তুলে ম্যাচ জিতেছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্ব সাম্প্রতিক ওয়ানডে রেকর্ড তেমন ভালো নয়, কিন্তু বড় স্কোর গড়ার অভ্যাস ঠিকই দেখিয়েছে তারাও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতেই ৩৬৫ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে তারা। ম্যাচে তুলেছে ৩৮১ রান। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

বাংলাদেশ তাদের সর্বশেষ চারটি ওয়ানডেতে দাপট দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে ঠিকই। প্রতিটি ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছে। এবং বেশ বড় রানও বটে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯২ রান তাড়া করেছে সহজেই। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২৪ ওভারে ২১০ রান পেরিয়ে গেছে সাত বল হাতে রেখেই।

তবে ক্রিকেটে একটা চিরসত্য হলো যখন দল জিততে থাকে তখন দুর্বলতাগুলো ঠিক চিহ্নিত হয় না। চোখে পড়ে না। আয়ারল্যান্ডের তিনজাতি ক্রিকেটে ট্রফি জয়ের সাফল্য বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বিষয় যখন তিনশ বা তারচেয়েও বেশি রান তোলা অথবা সেটা তাড়া করে জেতা-তখন সেই তালিকায় বাংলাদেশ ব্যাকবেঞ্চার!

এখন পর্যন্ত খেলা নিজেদের ৩৬২টি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র ১৩ বার তিনশ বা তারচেয়ে বেশি রান তুলেছে। সর্বোচ্চ রান ৩২৯। তবে বাংলাদেশের তিনশ’র বেশি রান তুলেও বাংলাদেশ ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি-এমন নজিরও আছে দুটো। ঢাকার মাঠে ৩২৬ রান তুলেও পাকিস্তানের কাছে সেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৫ রানের সঞ্চয় নিয়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি দল। ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওভালে সেই ম্যাচ ইংল্যান্ড অনায়াসে ৮ উইকেটে জিতে নেয়।

-আর তিনশ বা তারচেয়ে বেশি রান তাড়া করে বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের রেকর্ড খুঁজতে হ্যারিকেন বাতিতে অনেক তেল ঢালতে হবে! রেকর্ড বলছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ তিনশ বা তারচেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিতছে মাত্র তিন খানা।

তাও আবার সর্বশেষটা চার বছর আগের। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে, ১১ বল বাকি থাকতে। তারও আগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর ফতুল্লায় নিউজিল্যান্ডের ৩০৭ রান টপকে যায় বাংলাদেশ ৪ উইকেট হাতে রেখে। আর সর্বপ্রথম তিনশ বা তারচেয়ে বেশি রানের টার্গেট টপকে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিলো ২০০৯ সালের ১৬ অগাস্ট।

পরিসংখ্যানেই প্রমাণ তিনশ বা তারচেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ে বাংলাদেশ খুব একটা অভ্যস্ত নয়। আর আফগানিস্তান ছাড়া বিশ্বকাপের অন্যান্য দলগুলোর তিনশ রান তোলা এবং তারচেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধ।

১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে আজকের তারিখ পর্যন্ত ওয়ানডেতে সাড়ে তিনশ বা তারচেয়ে বেশি রানের ম্যাচ হয়েছে ১২৭টি। এর মধ্যে চারশর ওপর রানই হয়েছে ২০টি ম্যাচে। আর ওয়ানডেতে চারশ রান তোলায় সবচেয়ে বেশি মুন্সীয়ানার পরিচয় দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে ক্রিকেটে চারশ রান তুলেছে সর্বোচ্চ ৬ বার। ভারতের এই রেকর্ড আছে পাঁচবার। ইংল্যান্ড চারশ রানের হাসিতে স্কোরবোর্ড সাজিয়েছে ৪বার। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া দু’বার করে এবং নিউজিল্যান্ডের নাম এই তালিকায় মাত্র একবার।

মজার রেকর্ড হলো অস্ট্রেলিয়া তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৪৩৪ রান তুলেও কিন্তু ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। ২০০৬ সালের ১২ মার্চ জোহানেসবার্গের সেই ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়!

-তাহলে কি বুঝলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪৩৪ রানও নিরাপদ কোনো সঞ্চয় নয়!

চারশ রান তোলার দক্ষতার প্রশ্নে ইংল্যান্ডও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করতে পারে। রেকর্ড তো তাদের পক্ষেই। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দুটি স্কোর ৪৮১/৬ ও ৪৪৪/৩ রানের মালিক যে তারাই!

কি জানি বাপু, এই বিশ্বকাপে এমন বিশাল সব স্কোরের রেকর্ডও অক্ষুণ্ন থাকে কিনা?

   

ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারাল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আটটায় চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী রাত আটটার কিছু সময় পরই হাজির হয়েছে বৃষ্টি। তাতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর শুরু হয় ম্যাচ। কিছু সময় পর আবার বৃষ্টির হানা। দুই দফায় বৃষ্টির বাগড়া সয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সিকান্দার রাজার দলকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৮ উইকেটে।

জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। তবে অন্য ওপেনার তানজিদ তামিম এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দুই দফায় বৃষ্টির মধ্যেও ৫২ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন।

দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি-বাধার পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকেন তামিম ও শান্ত। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় দুইবার জীবন পেয়ে ৩৬ বলে ফিফটির দেখা পান তামিম। ফিফটির পর আরও একবার জীবন পান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৭ রান করে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই ব্যাটার।

শান্ত অবশ্য ততটা ‘ভাগ্যবান’ ছিলেন না। ব্যক্তিগত ২১ রানে লুক জংওয়ের বলে ডিপ মিডউইকেটে শন উইলিয়ামসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাওহিদ হৃদয়। তাদের ব্যাটে চড়ে ২৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ১২৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এক রান বেশি খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাইফউদ্দিনও। দুই উইকেট পান স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান।

ব্যাটিং ধসে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজার লড়াকু জুটিতে। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সফরকারীরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে উইকেটকিপার-ব্যাটার মাদান্দের ব্যাটে।

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে বড় চমক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শামার জোসেফের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা পোশাকে তার পারফরম্যান্স শিগগিরই তার নাম ভুলতে দেবে না আপনাকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দেন এই পেসার। 

এবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পেয়েছেন জোসেফ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অবশ্য এখনো তার অভিষেক হয়নি। এছাড়া অল্পের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিস করা ব্যাটার শিমরন হেটমায়ারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন।

আজ (শুক্রবার) উইন্ডিজ ক্রিকেটের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান দলটির হয়ে বিশ্বকাপে অবসরে যাওয়া সুনীল নারাইনকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নারাইন কয়েকদিন আগে জানিয়ে দেন, অবসর ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই তার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ ড্যারেন স্যামি বিশ্বকাপ দল ঘোষণার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, নারাইনকে দলে ফেরাতে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তবে যেহেতু নারাইন জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছে, তাই তাকে রাজি করানোর কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।

নারাইন না থাকলেও তার আইপিএল দল কলকাতার সতীর্থ আন্দ্রে রাসেল বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন। এবার বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের নেতৃত্ব দেবেন রোভম্যান পাওয়েল, সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন পেসার আলজারি জোসেফ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’তে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গ্রুপসঙ্গী নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল

রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মোটি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড

;

বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত আটটায় চট্টগ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী ঠিক রাত আটটার কিছু সময় পরই হাজির হয়েছে বৃষ্টি। তাতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির খেলা এখন বন্ধ রয়েছে।

বৃষ্টির আগে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০ রান তোলে বাংলাদেশ। জাতীয় দলে ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। ৩ বলে ১ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ক্রিজে রয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম (৩*) এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৪*)।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ১২৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। এক রান বেশি খরচ করে ৩ উইকেট ঝুলিতে পোরেন সাইফউদ্দিনও।

ব্যাটিং ধসে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় অষ্টম উইকেটে ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজার লড়াকু জুটিতে। তাদের ৭৫ রানের জুটিতে সম্মানজনক স্কোর পায় সফরকারীরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে উইকেটকিপার-ব্যাটার মাদান্দের ব্যাটে।

আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফল পাওয়ার জন্য দুই দলেরই অন্তত পাঁচ ওভার করে ব্যাট করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ বৃষ্টি শুরুর আগে মোটে ৩ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে, তাই বৃষ্টিতে খেলা আর শুরু করা না গেলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হবে।

;

জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। জয়ের জন্য ১২৫ রান চাই বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ - এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।

;