বাংলাদেশের জয়ে ‘এক্স’ ফ্যাক্টর মাশরাফি



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নতুন মিশনের সামনে মাশরাফি বিন মর্তুজা

নতুন মিশনের সামনে মাশরাফি বিন মর্তুজা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুটি প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। সেরা অলরাউন্ডার ও সেরা অধিনায়ক কে? এই দুই প্রশ্নে ভোটাভুটি হলে নিশ্চিত থাকুক সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মতুর্জা যে ভোট পাবেন, রাজনীতিতে তাকে বলে ভূমিধস বিজয়!

তাদের এই জয় যে শুধুমাত্র আবেগের ছড়াছড়িতে তা কিন্তু নয়, ক্রিকেটীয় রেকর্ডই তাদের হয়ে কথা বলছে। তারা নিজেকে তৈরিই করেছেন অনেকের চেয়ে একটু ভিন্নতায়।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির মেয়াদটা সবচেয়ে বেশি দীর্ঘ। অধিনায়ক হিসেবে শুরু করেছিলেন সেই ২০১০ সালে। মাঝে কিছুদিন ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকায় সাকিব আল হাসান ও মুশফিক রহিম সেই দায়িত্বটা সামাল দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগে ভাগ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে এখনো মাশরাফি সেই সিংহাসনে। এই সময়কালে টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়কও মাশরাফিই ছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় হঠাৎ টি-টুয়েন্টি দল থেকে সরে দাড়ান। আর্ন্তজাতিক টি-টুয়েন্টিকে বিদায় জানান। ক্রিকেট বোর্ড অনেক সাধাসাধি করেও তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি। তবে এবার বিশ্বকাপে যাবার আগে স্পষ্ঠ করেই মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছেন-‘এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ।’

খেলাটাও এখানেই ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা সেটা এখনো চুড়ান্ত করেননি। খুব বেশি দুরের চিন্তা করার চেয়ে কাছের পরিকল্পনা সফল করতেই বেশি আনন্দ তার।

২০০১ সালের ৮ ডিসেম্বর ওয়ানডে দলে যখন মাশরাফির অভিষেক হয় তখন আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিয়মিত হারতো। এমনকি জিম্বাবুয়েও তখন চোখ রাঙাতো! খেলোয়াড়ি জীবনে ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ ওয়ানডেতে টানা হার দেখেছেন মাশরাফি। ১৩ নম্বর ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পান। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে সেটা ছিলো তার খেলা ম্যাচে প্রথম জয়। তারিখটা ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। প্রতিপক্ষ ভারত। ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।

নিজের প্রথম জয়ের সেই ম্যাচে মাশরাফিই ব্যাটে-বলে সেরা পারফর্মার। ম্যাচ সেরা। অপরাজিত ৩১ রানের সঙ্গে ২ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ১৫ রানের জয়ে তার পারফর্মেন্সটাই সেরা। ১৩ নম্বর সংখ্যাকে সাধারণত অনেকেই ‘আনলাকি’ ভাবেন। কিন্তু নিজের সেই ১৩ নম্বর ম্যাচেই মাশরাফি বদলে দিলেন নিজের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাগ্যকে।

সেসময় যে বাংলাদেশ শুধু টানা ম্যাচ হারতো। সেই গর্ত থেকে দলকে বের করে আনলো মাশরাফির পারফরমেন্স। ভারতকে হারানোর সেই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ পেলো ক্রিকেটের নতুন ‘এক্স ফ্যাক্টর’! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেটাই ভারতের বিপক্ষে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয়।

অবাক করা তথ্য হলো- ভারতকে হারানো বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়েও নায়ক সেই একইজন; মাশরাফি। তিনবছর পরে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মাশরাফিই ম্যাচ সেরা!

‘এক্স ফ্যাক্টরের’ আরো তালিকা খুঁজছেন? জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৭৭টি আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। জিতেছেনও বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪টি ম্যাচ। জয়ের শতকরা রেকর্ড বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে তারই সর্বোচ্চ ৫৮.৬৬!

পেছনের চার বছরে দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ৯টি ওয়ানডে সিরিজ জয়। অধিনায়ক হিসেবে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মতো হারানো। টানা দুই বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেয়া। পুরো দলকে বন্ধুর স্নেহে বাঁধেন, আবার অভিভাবকের মতো পাশে দাড়ান। দুই পায়ে সবমিলিয়ে ছয়টা অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারপরও শুরুতে, নয়তো মাঝে অথবা ডেথ ওভারে-দলের যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে নিংড়ে দিতে চলে আসেন। এখনো যে কায়দায় ফিল্ডিং দেন, ঝাঁপিয়ে পড়ে মাটির ইঞ্চিখানেক ওপর থেকে একহাতে ক্যাচ ধরেন, পুরোটা সময় জুড়ে যে এনার্জি খরচ করেন, সেই দুরুন্তপনায় পুরোদুস্তর গ্রামের কিশোরের চঞ্চল বিচরণ যেন!

নড়াইলের মেঠোপথ, বন-বাদাড়, তরতরিয়ে ডাব গাছে উঠে পড়ার সেইসব দিন, চিত্রা নদীর ঢেউয়ে কুল পেরুনো সাঁতার-নিজের সব সুন্দর স্মৃতি, সব সাহসকে সঙ্গে করে ক্রিকেট মাঠে নামেন বলেই তো মাশরাফি যেমন জিতছেন ২২ গজের লড়াই, ঠিক তেমনি মানুষের মনও!

অধিনায়ক মাশরাফির মানেই তার কথায়, উপস্থিতিতে এবং পারফরমেন্সে পুরো দলের চনমনে চাঙা হয়ে উঠা। ঝিমিয়ে পড়া দলকে কিভাবে তাতিয়ে তুলতে হয়, দলের প্রত্যেকের ভেতর থেকে সেরা খেলাটা বের করে আনার তাগিদ জাগিয়ে তুলতে হয়- সেটা অধিনায়ক মাশরাফির চেয়ে বেশি আর কারো জানা নেই সম্ভবত।

কটা উদাহরণ।

শেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাস যখন হাফসেঞ্চুরি করলেন, ড্রেসিংরুমের দরজায় এসে দাড়িয়ে মাশরাফি ডানহাত বুকের সঙ্গে লাগিয়ে জানালেন-‘বুক চিতিয়ে খেলো!’ পরমুর্হূতে দুই হাত প্রশসারিত করে লিটনের দিকে ঈশারা করলেন-‘ইনিংস লম্বা করো’।

লিটন সেই ম্যাচে ইনিংসটা লম্বা করলেন, সেঞ্চুরি করলেন!

সবাই যখন সাব্বির রহমানের বিপক্ষে। তখনই তার কাঁধে অধিনায়কের হাত। অনেক সমালোচনা সত্তে¡ও তাকে দলে নিলেন অধিনায়ক। সেই সাব্বির নিউজিল্যান্ড সফরে ঠিকই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ফিরলেন! সাত নম্বরে একজন মারকুটো ব্যাটসম্যান খোঁজার সমস্যা কাটলো।

ক্রিকেট মাঠে টিম ম্যানেজমেন্ট বলে একটা কথা আছে। সেই ম্যানেজমেন্টে মাশরাফি ওস্তাদ ক্রিকেটার।

বাংলাদেশের সাফল্য মানেই তাতে মাশরাফির কিছু না কিছু ভুমিকা অবশ্য থাকবে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফি যেসব ম্যাচে তিন বা তারচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন, এমন ৩৩টি ম্যাচের ২২টিই বাংলাদেশ জিতেছে।

-কি ‘এক্স ফ্যাক্টর’ পেলেন তো!

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;