ফাইনালে আম্পায়ার ধর্মসেনা ইংল্যান্ডকে ১ রান বেশি দিয়েছেন!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
আলোচনায় ফাইনালের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা

আলোচনায় ফাইনালের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আগে সেই দৃশ্যের বর্ণনা:

ফাইনালের মূল ম্যাচের শেষ ওভার চলছে। ট্রেন্ট বোল্টের চতুর্থ বল মিড উইকেটে খেললেন বেন স্টোকস। প্রথম রান সহজেই নিলেন। দ্বিতীয় রান নেয়ার জন্য দৌড়ালেন। মার্টিন গাপটিল বল কুড়িয়ে থ্রো করলেন উইকেটকিপারের দিকে। রানআউট থেকে বাঁচতে পুরো শরীর শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ডাইভ দিলেন স্টোকস। তখনো ক্রিজে পৌছাতে পারেননি তিনি। ঠিক সেই সময় বল তার ডাইভ দেয়া ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারি লাইন পার করে। উঠে দাঁড়িয়ে দু’হাত তুলে বেন স্টোকস জানান-আমি ইচ্ছে করে এটা করিনি। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেন। খানিকটা সময় নেন তিনি। শেষে ৬ রানের জন্য ঈশারা করেন। দুই রান বেন স্টোকস দৌড়ে নিয়েছেন সেজন্য। আর ওভার থ্রো বা ডিফ্লেকসান হয়ে ব্যাটের কানায় লেগে ফিল্ডারের ছোঁড়া বল বাউন্ডারিতে যাওয়ায় চার রান।

মূলত এভাবে পাওয়া ছয় রানই শেষ ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যা শেষ পর্যন্ত টাই হয়। এবং ফাইনাল গড়ায় সুপার ওভারে।

এখন প্রশ্ন হল-আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা সেই ডেলিভারিতে যে ছয় রান দিয়েছিলেন সেটা ক্রিকেট আইনে সঠিক ছিল কিনা?

এই প্রশ্নের উত্তরে আইসিসির আরেক সাবেক বিশ্বসেরা আম্পায়ার সাইমন টোফেল বলছেন-‘ওটা পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আম্পায়াররা অবশ্যই ভুল করেছেন। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী সেটা ছয় রান নয়, পাঁচ রান হবে। সেই ডেলিভারিতে ইংল্যান্ডের স্কোরকার্ডে পাঁচ রান জমা হওয়ার কথা। ছয় রান নয়। এটা বড় ভুল হয়েছে। টিভি রিপ্লেতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে বলটা যখন বোল্টের ব্যাটে লেগেছে তখনও দ্বিতীয় রান পুরো হয়নি। আদিল রশিদ তখনও ননস্ট্রাইক প্রান্তে নিজের ক্রিজে পৌঁছাননি। তাই এমসিসি’র ক্রিকেট আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় রানটা কমপ্লিট হয়নি। তাই ওখান থেকে এক রান পাবে ইংল্যান্ড। আর ডিফ্লেকসান থেকে পাওয়া চার রান-সবমিলিয়ে সেই ডেলিভারি থেকে পাঁচ রান মিলবে ইংল্যান্ডের। কিন্তু আম্পায়াররা দিলেন ছয় রান!’

এখন দেখি ক্রিকেট আইন এই বিষয়ে কি বলে?

আইসিসির ক্রিকেট আইনের হ্যান্ডবুকের ১৯.৮ ধারায় ওভারথ্রো বা ডিফ্লেকসান সর্ম্পকে ব্যাখায় বলা হয়েছে-‘ওভার থ্রোর রান ব্যাটসম্যানের নামের পাশে যোগ হবে। ব্যাটসম্যান যে রান পুরো করেছেন সেটাও যোগ হবে।  সেই সঙ্গে থ্রো ব্যাটসম্যানের শরীর, ব্যাট বা অন্যকিছুতে এসে লাগার আগে যে রান পুরো হয়েছে সেটাও যোগ হবে।’

এই আইন মানলে এটা পরিষ্কার যে স্টোকসের দ্বিতীয় রানটা পুরো হয়নি। টিভি রিপ্লেতে সেটা আরও পরিস্কার। গাপটিলের থ্রো যখন স্টোকসের ব্যাটে ডিফ্লেকসান হয় তখনও তিনি ক্রিজের বাইরে। অপরপ্রান্তে আদিল রশিদও তাই। অর্থাৎ সেটা কোনোমতেই কমপ্লিট রান নয়। কিন্তু মাঠের আম্পায়াররা সেটাকে পুরো রান হিসেবে রায় দেন।

এই রান না দিলেই যে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিততো না-এমনকিছু নয়। আবার এই রান না হলে নিউজিল্যান্ডও বিশ্বকাপ জিতে নিতে পারত। কারণ ওই ডেলিভারিতে জোড় সংখ্যার রান না হলে স্ট্রাইকে থাকতেন আদিল রশিদ। ট্রেন্ট বোল্টের পরের দুই ডেলিভারি সামার দেয়াটা তখন তার জন্য সহজ কোনো কাজ হতো না!

ফাইনাল ম্যাচের শেষাংশ উত্তেজনার শিহরণ ছড়িয়েছে ঠিক। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারদের এমন আরও কিছু বাজে সিদ্ধান্ত আনন্দ নষ্টও করেছে!

   

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;

শেখ রাসেল বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ও চট্টগ্রাম



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত হয়েছে ষষ্ঠ শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫। তিন দিন ব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল শুক্রবার। যেখানে বালক বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘শেখ রাসেল ফুটবল বীচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

;