ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর কোমরে টাইম বোমার রিমোট
উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত যুবকের কোমরে টাইম বোমার রিমোট থেকে বারবার টাইম রিকল হচ্ছে। বিমানের বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হচ্ছে বোমা। যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে রানওয়ে থেকে সরানো হচ্ছে বিজি-১৪৭কে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাত ৯টায় সামরিক বাহিনী অভিযান শেষ ঘোষণা করলেও নতুন করে আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে বিমান বন্দরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও বিমান বাহিনী আবার অভিযান শুরু করেছে।
তবে রানওয়ে থেকে বিজি-১৪৭কে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আবার বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার সারওয়ার ই জাহান।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিজি-১৪৭কে রানওয়ে থেকে সরিয়ে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। বিমান বন্দর সচল করে দেওয়া হবে কিছুক্ষণের মধ্যে।’
চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে বিজি-১৪৭ ফ্লাইট ছিনতাইকারী অভিযানে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। তার নাম মাহাদীর (২৬)। তার বাড়ি চট্টগ্রামে । সে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিমানের ভেতরে অভিযান চালানোর সময় ঐ ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়, কিন্তু সে অস্বীকৃতি জানায়। নিয়মানুসারে তাকে বিমানের ভেতরে কথোপকথনের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে বিমান বাহিনী ও কেবিন ক্রুরা। পরে জরুরি ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি।’
জিওসি বলেন, ‘বিমানে ক্রুসহ ১৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে বের হয়ে এসেছেন। অভিযান শেষ হয় রাত ৯টায়। বিমানটির সব যাত্রী ও ক্রু সুস্থ রয়েছেন।’
রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। এক ব্যক্তি পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটি জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। এর পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সামরিক বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ঐ ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে বলে সূত্র জানায়। এরপরে বিমানবন্দরে যায় সোয়াত ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও।
বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা। কিন্তু উড্ডয়নের পরপরই এ ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, যাত্রীদের নামিয়ে আনলেও সাগর নামে একজন ক্রু ও ছিনতাইকারী প্লেনের ভেতরে অবস্থান নেন।
বিমানটিকে রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তাৎক্ষণিক সেখানে বিমান উঠা-নামা বন্ধ করা হয় । তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর চালু করে দেওয়া হয় বলে জানান ম্যানেজার সরওয়ার ই জাহান।