সড়ক দুর্ঘটনা: চালকরা এতো বেপরোয়া কেন?



মুজাহিদুল ইসলাম,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
গাড়ি না থামতেই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারী, ছবি: বার্তা২৪

গাড়ি না থামতেই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কে মৃত্যুর ‍মিছিল। ঘাতক বাস কেড়ে নিল পথচারীর প্রাণ। থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। এই কথাগুলোই প্রতিনিয়তই খবরের শিরোনাম হচ্ছে। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ, মানববন্ধন, রাজপথ অবরোধ। তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকার। কিছুদিন যেতেই হ-য-ব-র-ল ট্রাফিক ব্যবস্থা। অবস্থা যা তাই থেকে যায়।

সড়কে নামলেই শুরু হয় অসুস্থ প্রতিযোগিতা। চালক যেমন ব্যস্ত ওভারটেকিং করে আগে যাত্রী উঠাতে, একইভাবে যাত্রী কিংবা পথচারী নিয়ম সিগনালের তোয়াক্কা না করে হাত ‍তুলে দৌড় দিচ্ছেন চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়েই। ফলাফল, প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানী যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দুটি বাসের রেষারেষিতে নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।

তার মৃত্যুতে আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীসহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। দাবি একটাই নিরাপদ সড়ক চাই।

রাজীব, দিয়া, মিমের ধারাবাহিকতায় আবরার, একের পর এক ঝরছে তাজা প্রাণ। এছাড়া সারাদেশে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

 

চালকরা কেন এতো বেপরোয়া? পথচারীইবা কতটা সচেতন? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজেছে বার্তা২৪.কম।

বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্স ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে জানান, দুর্ঘটনার বড় কারণ হলো একই কোম্পানির অনেক বাসের একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। আবার ঢাকা শহরে ফুটপাতগুলো চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় মানুষজন রাস্তায় নেমে পড়েন। এতে গাড়ির সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

করণীয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্ত বাসগুলোকে একীভূত করতে হবে। চালকদের মাসিক বেতন ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে যাতে যাত্রী তোলার বিষয়ে তাড়াহুড়া না থাকে। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা যেন লাইসেন্স নেয় সে বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে হবে। যাতে করে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকে। একইসঙ্গে যারা পথচারী তাদেরকেও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার, জেব্রা ক্রসিং, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে অভ্যস্ত করতে হবে। তবেই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।’

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধন পরিবহনের চালক মো. ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার ১২ আনা হয় পথচারীর কারণে। ফুটপাত ছেড়ে সড়কে যেসব লোক হাঁটে তাদের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের কোন কারণ নেই। আমাদের কিছু ভুল হয়, কিছু দোষও আছে। তবে দুর্ঘটনার পিছনে ১২ আনায় দায়ী পথচারী। তার দায় ড্রাইভারের না।’

‘অনেক কোম্পানির গাড়িতে টার্গেট দেয়া হয়। যে, এত টাকা তুলে দিতে হবে। তখন একই রুটের বা একই কোম্পানির দুটি গাড়ি একত্রে হলে ওভারটেকিং করে, যাত্রী উঠানোর জন্য প্রতিযোগিতা করে।’ এসব কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান ইকবাল।

শীতল পরিবহনের চালক আসাদুল ইসলাম জানান, পথচারীরা ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও নিচ দিয়ে সড়ক পার হয়। পথচারীদের সমস্যা আছে, চালকেরও অসচেতনতা রয়েছে। চালকরা ইচ্ছে করে পিঁপড়াও মারে না। হাজার হাজার গাড়ি চলে। তবে কিছু চালক আছে যাদের অভিজ্ঞতা কম। অভিজ্ঞতা ও লাইসেন্স ছাড়াই মালিকরা ছোট ছোট বাচ্চাদের স্টেয়ারিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনায় ড্রাইভার এবং পথচারী উভয়েরই সচেতনতার অভাব রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে ড্রাইভারদের সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশিক্ষিত ড্রাইভার ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো বা দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।’

ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চালকদের মধ্যে এক ধরনের ট্রেন্ড হয়েছে যে আগে গেলে আগে যাত্রী উঠানো যাবে। বেশি যাত্রী পাওয়া যাবে। বেতনের বাইরে বাড়তি আয় করা যাবে। ঢাকায় যে পরিমাণ জনগণের বসবাস ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী তার তুলনায় সীমিত। তাই শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে চালকদের নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই বিআরটিএ, সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি চালক ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

   

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;

ভালুকায় ছেলের হাতে বাবা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ছেলের হাতে মজিবুর রহমান পান্না (৫৫) নামে এক শিক্ষক খুন হয়েছে। এ ঘটনা ছেলে মারুফ আহমেদ রাব্বীকে (১৮) আটক করছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 

নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত সরকারের ছেলে এবং সে একই এলাকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।

ভালুকা মডেল থানা ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানায়, নিহত মজিবুর রহমান পান্না পরিবারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি কারণে কিছুদিন পূর্বে তালাক দেন। এর পর থেকেই পরিবারে কলহ বাঁধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে কলেজ পড়ুয়া মারুফ আহমেদ রাব্বির সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মজিবুর রহমান পান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক ছেলে রাব্বীকে আটক করেন।

ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর ছেলে রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ।

;