রঙে আনন্দে দেশজুড়ে বর্ণিল বৈশাখ



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ, ছবি: বার্তা২৪.কম

উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যবাহী নানা অনুষ্ঠান আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ঢাক-ঢোল, বাদ্য  নাচ-গানের মধ্য দিয়ে মহা ধুমধামের সঙ্গে বছরের প্রথম দিনটিকে পালন করছেন দেশবাসী।

পুরাতন গ্লানিকে মুছে ফেলে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ নতুন বাংলা বছরের প্রত্যাশায় নতুনকে বরণ করে নিয়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের বৈশাখের আগমনী রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ সুরের মূর্ছনায় শুরু বৈশাখী উৎসবের। রমনার বটমূলের মতো দেশের প্রতিটি বিভাগ জেলা উপজেলায় নানা আয়োজন পালিত হচ্ছে বৈশাখ। কোথাও বসেছে মেলা, কোথাও বা আয়োজন চলছে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555240908102.jpg

 

চট্টগ্রাম
মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিরায়ত বৈশাখী মেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে বাংলা ১৪২৬ সালকে বরণ করছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ। রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় নগরীর সার্কিট হাউজ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

ডিসি হিলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা আয়োজন করেছে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জিমনেশিয়াম মাঠে এবং সিআরবি শিরিষ তলায় চলছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ঢোলক বাদন, গান, আবৃত্তি, নৃত্য, নাটক, কবিগান, লালনগীতি, মাইজভান্ডারী ও মরমী গান, উপজাতীয় শিল্পীদের পরিবেশনা,সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় দলীয় সঙ্গীত, বৃন্দ আবৃত্তি, কবিতা পাঠ, সম্মাননা প্রদান এবং বৈশাখী মেলা।

ডিসি হিলের আশপাশে এক কিলোমিটার এলাকায় বসেছে চিরায়ত বৈশাখী মেলা। নজরুল স্কয়ারকে ঘিরে লাখো মানুষের ঢল। সকাল ১০ টায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের বর্ষবরণ ও বিদায় উপলক্ষে মঙ্গলশোভাযাত্রা বের হয়।

রংপুর

সারাদেশের মতো রংপুরেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের আয়োজন চলছে। নববর্ষ উদযাপনে বাঙালি সংস্কৃতির রঙে ঢঙে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে উত্তরের প্রাচীণতম জেলা রংপুর।

সকালের সূর্যের আলো চারদিক ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাক-ঢোলের আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে উঠে নগরীর আশপাশ। পহেলা বৈশাখের ডাকে ছড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে রুখে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির বার্তায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার।

সকাল ১১টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক আনন্দ র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রংপুর মহানগরী থেকে একটু দূরের গ্রামগঞ্জে চলছে নাগর দোলা, পুতুল নাচ, লাঠি খেলা, পাতা খেলা, হা-ডু-ডু, ঘুড়ি উৎসবসহ বৈচিত্রময় সব আয়োজন। আবার কোথাও বসেছে বৈশাখী মেলা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555244652334.jpg

গোপালগঞ্জ

সারাদেশের ন্যায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনে আনন্দ উচ্ছাসে মেতে ওঠে গোপালগঞ্জবাসী। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে গোপালগঞ্জে সকালে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসন, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উদীচী,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ত্রিবেনী একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাক ঢোল, বিভিন্ন রং-বেরংয়ের ব্যানার ফেস্টুন, গ্রামীন নানা উপকরন নিয়ে এবং মেয়েরা গ্রামীন সাজে সেজে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে এবং জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলিতে আলাদাভাবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালন করে।

খুলনা

পহেলা বৈশাখে ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই খুলনায় শুরু হয় বৈশাখ আবাহন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা ও লোকজ সাংস্কৃতিক বিভিন্ন আয়োজন। হরেক সাজে সেজে আনন্দ-উৎসবে মেতেছে সবাই। নেচে-গেয়ে, রং লাগিয়ে একে অন্যের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছে খুলনাবাসী।

প্রতিবছরের ন্যায় ভোরের সূর্যোদয়ের পর পরই উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী খুলনা জজকোর্টের সামনের সড়কে এসা হে বৈশাখ গানের মাধ্যমে খুলনার প্রথম বৈশাখী উৎসব শুরু করে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের অয়োজনে বৈশাখী গানের আয়োজন হয় নগরীর বিভাগীয় জাদুঘরের বকুল তলায়। নানা রংয়ের ফেস্টুন, ঘোড়া, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজের সাথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাসহ শোভাযাত্রাটি যখন কেডিএ এভিনিউ অতিক্রম করছিলো তখন আশপাশের মানুষ হাত নেড়ে অভিনন্দন জানায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555242138889.jpg

মেহেরপুর

মাথাল মাথায় চাষী, জাল ঘাড়ে নিয়ে জেলে, কামার, কুমার আর ঋষি সবাই যেন একই সুতোয় গাঁথা। ঐক্যবদ্ধ যাত্রার মধ্য দিয়ে জানান দিলেন আমরা সবাই বাঙালি। আবহমান বাংলার এমনই চিরায়ত দৃশ্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলা জুড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষ বরণ করা হয়।

নড়াইল

আজকের দিনে সবশ্রেণির মানুষ যেরুপে সেজেছে তার মতো রঙিন সাজে নড়াইলকে সাজাতে চান সকলে। নিজ জেলাকে গড়তে চান স্বয়ং সম্পূর্ণ জেলা হিসেবে।  নববর্ষের এই দিনে কাধে কাধ মিলিয়ে নড়াইলকে একটি মডেল জেলা হিসাবে গড়ে তুলব। দুর্নীতি, মাদক, বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানিকে না বলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নড়াইলবাসী। নববর্ষ উপলক্ষে ছয়দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

রাঙামাটি

মঙ্গল শোভাযাত্রার  মধ্য দিয়ে নববর্ষকে-১৪২৬ বরণ করলো রাঙামাটিবাসী। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বাংলা নববর্ষকে পালন করে সর্বস্তরের জনসাধারণ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙামাটিতে দিনব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজন করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555243079408.jpg

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ ১৪২৬ উদযাপিত হয়েছে। রোববার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের হয়।  পরে বের হয় আনন্দ র‌্যালি। র‌্যালিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা ঐহিত্যবাহী পোশাক পড়ে অংশ নেয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা ভাতের আয়োজন করা হয়।

ফরিদপুর

দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ সালকে বরণ করছে ফরিদপুরবাসী। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে ফরিদপুর শহরের কোর্ট চত্বরে বর্ষবরণের আয়োজন করে ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিক উন্নয়ন সংস্থা। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়র খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বণার্ঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে বাংলার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খেলা হা ডু ডু, লাঠি খেলা ও সাপ খেলাসহ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলায় একযোগে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555243465294.jpgময়মনসিংহ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা নেমেছে মানুষের ঢল। আনন্দ র‌্যালির সব পথ এসে মিলেছে ব্রক্ষপুত্র নদঘেষা জয়নুল উদ্যান বা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে। 

সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে নতুন আশায় পথচলার অঙ্গীকার করেছেন সবাই। এজন্যই বিগত বছরের জীর্ণ মালিন্যকে পেছনে ফেলে নতুনকে বরণ করে নিয়েছে ময়মনসিংহবাসী। বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিন পহেলা বৈশাখে আজ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে হালখাতা। মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে ক্রেতাদের।

সিরাজগঞ্জ

‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনের বাঙালি, মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব পালিত হচ্ছে।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলা বর্ষবরণ পহেলা বৈশাখ পালিত হচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার আয়োজনে আজ রোববার ভোর ৬টার দিকে পৌর পুকুরে প্রদীপ নৌকা ভাসিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র আনোয়ার আলী।  মঙ্গল শোভাযাত্রা,  আনন্দ র‌্যালি  আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নৃত্য সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে পুরো জেলায় পালন করা হয় বাংলা নববর্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/14/1555242072521.jpg

বগুড়া

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বছরের নতুন দিনকে বরণ করে নিতে মঙ্গলপত্র পাঠ, পুতুল নাচ, লাঠিখেলা, লোকগীতি, পালাগান, মাছ কাটার গান, লালনগীতি, পান্তা  উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

‘বাংলার মুখ’ এর ব্যবস্থাপনায় শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন থাকছে বর্ণীল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, মোটরসাইকেল খেলা, লাঠিখেলা, সাপখেলা, পাতাখেলা, বানরখেলা, মোরগ লড়াই।

 একইভাবে রাজশাহী, লালমনিরহাট, নওগাঁ, ভোলা, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেটসহ সব জেলা উপজেলা শহরে নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় সর্বস্তরের মানুষ।

   

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার (১৭) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদরাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদরাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায় মাহিয়া। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে অনুভব করি- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগের ক্ষেত্রে এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।


শুক্রবার (২৬ এপিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে গভর্নমেন্ট হাউজে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে দুই নেতা সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে ১৫ মিনিটের জন্য একান্ত বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি- ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), সই করা হয়।

মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগসহ সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন ও তিনি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করতে এবং দু'দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনাকে উৎসাহিত করতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের প্রসার ও সুবিধার্থে আমাদের সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, শুক্রবার ঢাকা ও ব্যাংকক যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো প্রদান করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সফরটি 'প্রতিবেশী' নীতির বৃহত্তর ফোকাসের অংশ, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি আরও নবায়নের জন্য দুই দেশকে চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন- এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করবে।

তিনি বলেন, এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। আগামীর দিনগুলোয় আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতি বজায় রাখতে হবে।

মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

সূত্র- ইউএনবি

;

চট্টগ্রামে ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের মরদেহ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের নিচের ডাস্টবিন থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে ডাস্টবিনে নবজাতকের মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

চাঁদগাও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'কে বা কারা ওই নবজাতকের মরদেহ ফেলে গেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।'

;

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বরিশালে বেড়েছে ফ্যান-এসি বিক্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত সারাদেশের জনজীবন। গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে বরিশালবাসীর। এমন পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক পণ্যের মার্কেট, দোকান ও শো-রুমগুলোতে এসি, ফ্যান ও এয়ারকুলার বিক্রির ধুম পরেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ-উল ফিতরের পর থেকে তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

রোদের তাপে দিনের বেলা ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পরেছে। তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পেতে তাই বরিশালজুড়ে এয়ারকন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও কিছুদিন আগেও ক্রেতাহীন দেখা গেছে, এসি-এয়ারকুলার ও ফ্যানের দোকানগুলো। আর এখন এসব দোকানগুলোতে ক্রেতা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই তারা কিনছেন এয়ারকুলার বা ভালো মানের ফ্যান। এছাড়া গরম বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিং বাড়ায় চার্জার ফ্যানের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। একাধিক ক্রেতাদের দাবি, গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে এসি, এয়ারকুলার ও ফ্যানের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নগরীর পাইকারি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ ক্রেতাই সিলিং ফ্যান-স্ট্যান্ড ফ্যান ও এয়ারকুলার কিনছিলেন। বিক্রেতারা বলছেন, গরম বাড়ায় ফ্যান ও এসির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগানেও টান পরেছে। ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় দোকানগুলোতে ফ্যান দিচ্ছে না। এজন্য তাদের নন ব্র্যান্ড ও বিদেশী ফ্যান বিক্রি করতে হচ্ছে।

কাঠপট্টি এলাকার একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে স্ট্যান্ড ফ্যান দরদাম করা বিএম কলেজ শিক্ষার্থী রনি সরদার বলেন, ছোট নন-ব্র্যান্ডের টাইফুন ফ্যানগুলোর দাম চাইছে ৯০০ টাকা। অথচ গত মাসেও এগুলোর দাম ছিল ৫০০ টাকা।
ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১৬০০ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়।

এছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১৭০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, বিদেশী ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

একই ফ্যানের ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা বলেন, কেউ আগের বছরের অবিক্রীত ফ্যান বিক্রি করছেন, তারা কিছুটা কমে দিতে পারছেন। গরম বাড়লে ফ্যানের দাম আরও বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকার নানা ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে বেড়েছে এসি-এয়ারকুলার বিক্রি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ব্র্যান্ডের এসি ও এয়ারকুলারের দাম বেশি বলে মনে করেছেন ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, নানা অফার ও ইএমআইতে সাশ্রয়ী দামে এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বরিশাল নগরীর সদর রোডের ওয়ালটনের প্রধান বিক্রয় কেন্দ্রের সহকারি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুম্মান বলেন, গত কয়েক মাস এসি ও এয়ারকুলার একদম বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরম বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। নগরীতে ওয়ালটনের বেশ কয়েকটি শোরুম রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র প্রধান এই শোরুমেই এপ্রিল মাসে একশটির উপরে এসি বিক্রি হয়েছে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো ঘুরে জানা গেছে, ইনভার্টার এক টনের এসি ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দেড় টনের এসি ৬৫ থেকে ৮৩ হাজার টাকা এবং দুই টনের এসি ৭৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০ লিটারের এয়ারকুলার ১১ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা, ৬০ লিটারের এয়ারকুলার ২০ হাজার ৫০০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।

;