নজরুল জন্মজয়ন্তী

ত্রিশালে নজরুলপ্রেমীদের পদচারণায় প্রাণের ছোঁয়া



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্য, বিরহ, বিদ্রোহ, প্রেম; সব কিছুর কবিই কাজী নজরুল ইসলাম। ভারতের আসানসোল থেকে দারোগা রফিজ উল্লাহর হাত ধরে এসেছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে। নিজের শৈশব-কৈশোরের দুরন্ত সময় কাটিয়েছেন এখানে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন স্থানীয় দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

নিজের প্রিয় শিক্ষকের শ্যালিকার সঙ্গে প্রণয়, সুকনী বিলের প্রান্তরের সেই বটবৃক্ষের নিচে বাঁশি বাজানো বা ছোট্ট কবিতা লেখাসহ নানা কারণে নজরুল স্মৃতিময় ত্রিশাল। কবির প্রিয় বটতলা থেকেই যাত্রা শুরু করেছে তাঁর নামের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। নাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)।

সব সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষকদের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখর থাকলেও বিদ্রোহী কবির স্মৃতিকে অম্লান করতে উপজেলার নামাপাড়া বিচ্যুতিয়া বেপারী বাড়ি ও কাজির শিমলা দারোগা বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত দু’টি নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র গোটা বছরই খাঁ খাঁ করে। তবে জয়ন্তী এলেই এসব নজরুল স্থাপনা যেন প্রাণের ছোঁয়া পায়। হয়ে ওঠে নজরুল ভক্ত ও গবেষকদের তীর্থ ভূমি।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা

উপজেলার নামাপাড়া বিচ্যুতিয়া বেপারী বাড়ির নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে জন্ম জয়ন্তীর সময়টিতে। এখানকার নজরুলের থাকার ঘরটিতে গড়ে উঠেছে নজরুল আর্কাইভ। তিন তলার দেখার মতো এ স্মৃতি কেন্দ্রে রয়েছে ২০০ আসনের একটি অডিটরিয়াম।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আছে নজরুল জাদুঘর কাম পাঠাগার। বছরের অন্যান্য সময় স্মৃতিকেন্দ্রটির দিকে কারো খেয়াল থাকে না। তবে জয়ন্তীকে ঘুরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয় এ স্মৃতি কেন্দ্রটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ স্মৃতিকেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারী সঙ্কট প্রকট হলেও সেদিকে নজর নেই কারো।

উপজেলার কাজীর শিমলা গ্রামেই প্রথম এসেছিলেন কবি। এ মধুর স্মৃতিকে চির অমলিন করে রাখতে ২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে গড়ে তোলা হয় নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র। দুই তলা ভবনের এ স্মৃতিকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর ভাগ্যে জুটেছে অনাদর। এখানে যেমন জনবলের প্রকট অভাব তেমনি বই পুস্তুক ছাড়া দর্শনার্থী টানার মতোই কিছু নেই।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা

অথচ ১০০ আসনের এ মিলনায়তনটিকে কাজে লাগিয়ে নজরুল ভক্ত-গবেষকদের সারা বছরই ধরে রাখার সুযোগ ছিল। কিন্তু উদ্যোগ না থাকায় বছরের অন্যান্য সময় এখানকার পাঠাগার কক্ষের বইসমূহ ছুঁয়ে দেখার মতোও কেউ থাকে না। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই স্থানীয় কাজির শিমলার বাসিন্দাদের।

ত্রিশাল উপজেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ২০০৬ সালের ৯ মে সুকনী বিলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে এখানে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও সঙ্গীত বিভাগ থাকলেও এখন এখানে চার অনুষদে বিভাগ রয়েছে ২৩টি।

এখানে পড়াশোনা করছেন সাত হাজারের মতো শিক্ষার্থী। প্রতিটি বিভাগে আছে ‘নজরুল স্টাডিজ’ নামে ১০০ নম্বরের একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। কবির জীবন ও কর্মের ওপর গবেষণা এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য রয়েছে ‘ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ’। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কবির ম্যুরাল, ছবি, গান ও কবিতার বাণী।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা

এখানকার স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভের নাম ‘চির উন্নত মম শির’। ক্যাফেটেরিয়ার নাম ‘চক্রবাক’। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল দুটির নামও কবির সাহিত্যকর্মের ‘অগ্নিবীণা’ ও ‘দোলনচাঁপা’। উপাচার্যের বাংলোর নাম ‘দুখুমিয়া বাংলো’।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ত্রিশালে নজরুল কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিবর্তন গোটা এলাকার শিক্ষা ও যোগাযোগ অবকাঠামোসহ ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ নজরুল প্রেমিক ভক্ত অনুরাগী ও গবেষকদের কাছে ত্রিশাল এখন নজরুল গবেষণার চারণভূমি ও পর্যটনের নগরী।

এদিকে, কবি নজরুলের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে কবির স্মৃতিঘেরা এ ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল একাডেমি মাঠের নজরুল মঞ্চে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৫ মে) বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানকে ঘিরে উপজেলায় বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। কবির ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে বিরাজ করছে বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনা।

   

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বগা গ্রেফতার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আলোচিত সন্ত্রাসী সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডখ্যাত দেলোয়ার হোসেন ওরফে বগাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম আমিলাইশ এলাকা থেকে এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।

বগার বিরুদ্ধে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা গ্রামে ডাকাতি করতে গিয়ে শিশু হত্যা, অপহরণ, ইয়াবা, ছিনতাই, ডাকাতি ও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় সাতকানিয়ার সাবেক এমপির স্ত্রী-শ্যালকের ওপর হামলাসহ কমপক্ষে ১০টি মামলা রয়েছে।

বগাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার। তিনি বলেন, ইয়াবা মামলায় বগাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া ও বাকলিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

৩ মাসে বগার নেতৃত্বে ২২ হামলা:

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বগা। গত তিনমাসে সাতকানিয়ার চরতি-আমিলাইশ এলাকায় অন্তত ২২টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে এই সাইফুল বাহিনী। এরমধ্যে কমপক্ষে ১০টি ঘটনায় থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাকিরা ভয়ে মুখ খোলেননি।

নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যেতেই নির্বাচনের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় সাইফুল বাহিনীর অত্যাচার। দক্ষিণ চরতিতে নৌকার সমর্থকদের বাড়ি-ঘর ও দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায় সাইফুল বাহিনী। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াছ শাহীনের ফার্মাসি ও কৃষক লীগ নেতা ফারুকের বাড়ি ও ডেকোরেশনের দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়।

নির্বাচনের পরের দিন সোমবার খতিরহাট এলাকায় নৌকা সমর্থক জিল্লুর রহমানকেও মারধর করে সাইফুল বাহিনী। নির্বাচনের আগের দিন শনিবার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আমিন কে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী সাইফুলের বড় ভাই জসিম উদ্দিন।

এছাড়া নির্বাচনের পর ৫ ফেব্রুয়ারি চরতি ইউনিয়ন পরিষদ কার্য়ালয়ে ঢুকে বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে মারধর করে সাইফুল বাহিনী। পরে দক্ষিণ চরতি এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে পরিবারসহ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সাইফুল বাহিনী। নির্বাচনের পর থেকে এখনো ঘর ছাড়া নুর মোহাম্মদের পরিবার। চরতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাইনুদ্দিনকে অপহরণ করে মারধর দক্ষিণ চরতির আরাফাত সিকদারকে মারধর করে এই সাইফুল বাহিনী।

নির্বাচনের আগে ২১ ডিসেম্বর দক্ষিণ চরতি কাটাখালী ব্রিজের পাশে নৌকার পথ সভায় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায় সাইফুল ও তার বাহিনী। এই সময় নৌকা সমর্থক চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, মিছদাকুল বেসারত চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিক, রবিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফয়সালসহ কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হন।

এর দুইদিন আগে ১৯ ডিসেম্বরও নৌকার পথসভা শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াছ শাহীনকে মারধর করে সাইফুল বাহিনী। ওইদিনও ইলিয়াছ শাহীনের ফার্মাসি ও কৃষক লীগ নেতা ফারুককে বাড়ি-দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুর হোসেন কেও মারধর করে সাইফুল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এমন কোনো দিন নেই যে- সন্ত্রাসী সাইফুল ও তার বাহিনী দ্বারা এলাকার মানুষের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী সাইফুল কোনো পদ পদবিতে না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্য়াক্রম চালিয়ে আসছেন। এতদিন পর্যন্ত সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় তার পরিচিতি ছিল। গত বছর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে তখন থেকে এম এ মোতালেবের দিকে ভিড়েন সাইফুল মেম্বার। মোতালেব দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে তারপর থেকে আরো হিংস্র হয়ে উঠেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে সন্ত্রাসী সাইফুল বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিটে-মাটি ছেড়ে যায় দক্ষিণ চরতির ১০ পরিবার। নারী ও শিশুসহ এসব পরিবারের প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকজন দীর্ঘ এক বছর নিজেদের ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর উদ্ভাস্তুর মতো দিনযাপন করে। বাড়ি-ভিটে ফিরে পেতে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন উদ্ভাস্তু পরিবারসহ এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন।

সাইফুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার হিসেবে এসব মারধর ও হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (বগা)। ইতোমধ্যে দুই-তিন বার জেলেও গিয়েছে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাতকানিয়ার পশ্চিম অঞ্চল (চরতি, আমিলাইশ, কাঞ্চনা, এওচিয়া ও নলুয়া) সহ চন্দনাইশের বৈলতলী, আনোয়ারার হাইলধর ও বাঁশখালীর পুকুরিয়া অঞ্চলের অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে সাইফুল ও তার বাহিনী। এছাড়া রয়েছে খাল ও সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কেটে মাটি ব্যবসা।

সাইফুল বাহিনীর অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।

 

;

সিন্ডিকেট করে অনিয়ম দুর্নীতি

টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলী চুন্নুর বিরুদ্ধে



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলী চুন্নুর বিরুদ্ধে

টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ নির্বাহী প্রকৌশলী চুন্নুর বিরুদ্ধে

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদফতরের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নুর বিরুদ্ধে।

সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে সরকারি টেন্ডার ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওপেন প্ল্যাটফর্মে টেন্ডার উন্মুক্ত করান। তারপর তাদের মাধ্যমে টেন্ডারের দরপত্রের আহ্বান করে আবেদন গ্রহণ করেন এই কর্মকর্তা। তাদের টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারি কাজ পাইয়ে দিয়ে এর বিনিময়ে নিয়ে থাকেন মোটা অংকের অর্থ।

এছাড়াও রাজধানীর মিরপুর ডিভিশনের পূর্ত সার্কেলে আইভি বাংলো তৈরির সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে, এই নির্বাহী প্রকোশলী চুন্নুর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, ২০২২-২০২৪ অর্থবছরে মিরপুর পাইকপাড়া এলাকায় পিডব্লিউডি ট্রেনিং সেন্টারের পাশের অবস্থিত (রুম নম্বর ৭ ও ৮) এই দুটি রুমকে সংস্কার/ মেরামত ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে আইভি বাংলোতে রূপান্তরের কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত অর্থে কাজ শেষ না করে কমিশন নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দকৃত অর্থ পাইয়ে দেন তিনি।

তবে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর এই তদন্ত কমিটির চোখে ধুলো দিতে রাতের আঁধারে নামমাত্র নিম্নমানের কাজ করেন তিনি। একই সঙ্গে নানান ক্ষেত্রে দুর্নীতি, নিয়োগ, বদলি, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কমিশনের বিনিময়ে কাজ ভাগিয়ে নেওয়া, কাজ না করে বিল উত্তোলন করাসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নুর বিরুদ্ধে।

এর আগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইভি বাংলো তৈরির নামে প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, এসব অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে। গত বছরের আগস্ট মাসে এই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগের অভাব থাকে না। এটা নতুন কিছু না। আপনি আরিফের নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। তার কাছে সব তথ্য উপাত্ত দেওয়া আছে।

আরিফকে ফোন করে তার কর্মস্থলের পদমর্যাদা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (পিএ) হিসেবে আছেন।

এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নুর দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্যার আপনাকে কী বলেছেন, সেটা তো আমি জানি না। আমি একটু স্যারের সঙ্গে কথা বলে রবিবার আপনাকে ফোন দিবো’।

সেলফোনে কথা বলে জানাতে বলা হলে তিনি বলেন, ‘এখন তো আমি আমার নিজের কাজে একটু সচিবালয়ে আছি। এখন সম্ভব না’।

এসব দুর্নীতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয়, তদন্তের দায়িত্বে থাকা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ সোহেল হাসানের সঙ্গে। 

সোহেল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটা বেশ কিছুদিন আগের কথা। আসলে তদন্ত কমিটি না। প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল আমাকে’।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যেকোনো বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রথমে প্রাথমিকভাবে তার অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়। আমি তদন্ত করেছিলাম। সেই প্রতিবেদনও জমা দিয়েছিলাম’।

তদন্তে কী পেয়েছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারবো না। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া মিডিয়ার সঙ্গে আমাদের কথা বলার অনুমতি নেই’।

এরপর তিনি ফের বলেন, ‘তবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ হয়নি’।  

তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্য জানতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে জানা গেছে, এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত টাকায় নিজ এলাকায় সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু।

সূত্র বলছে, চুন্নু নিজ এলাকা পটুয়াখালীতে গড়ে তুলেছেন ‘নাহিয়ান ব্রিকস ফিল্ড’, পটুয়াখালীর কলেজ রোডে দুইতলা বাড়ি, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধারান্দি গ্রামে পাঁচ একর জমি, পটুয়াখালীতে ‘নেক্সাস’ নামে একটি গার্মেন্ট শোরুম, সাভারে ১০ কাঠার একটি প্লট, ঢাকার ধানমণ্ডিতে সেন্ট্রাল রোডে ও বেইলী রোডে দুটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও রয়েছে, নামে-বেনামে অসংখ্য সম্পদ।

;

ভোট ডাকাতি, কোনো দিন আর এই বাংলাদেশে হবে না: ইসি হাবিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি কোনো দিনই আর বাংলাদেশে হবে না। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আইনশৃঙ্খলার চাদরে ঘেরা থাকবে, কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল চারটায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিকে প্রার্থীদের সাথে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি হাবিব।

তিনি বলেন, এ ধরনের যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে—ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি, পূর্বের জিনিস পুনরাবৃত্তি কোনোদিন আর এই বাংলাদেশে হবে না। আমরা কমিশন যতদিন আছি।

প্রার্থীরা যে অভিযোগ করছেন তার প্রমাণসহ লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে ইসি হাবিব বলেন, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিশ্বাসী। সকলের জন্য সমান সুযোগ, কে কোন, কার প্রার্থী এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। যদি নেতা হয়, মন্ত্রী হয় অথবা কর্মী হয়, সে আমাদের কাছে সমান। আমাদের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা সর্বদা সকলের জন্য সচেষ্ট। যদি কোনো প্রকার কিছু হয়, সঙ্গে সঙ্গে সেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা আবার করব।

ইসি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তাদের লিখিত আকারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিতে বলেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর পরিবেশে করতে আমরা কাজ করছি। আমরা আগের চেয়েও একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেব।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

;

পাঁচ দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ- থাইল্যান্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: নথিতে স্বাক্ষর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি: নথিতে স্বাক্ষর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন এবং শুল্ক ও  মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। 

ব্যাংককে থাই গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্র প্রধানের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

জ্বালানি সহযোগিতা ও পর্যটন সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভিসা অব্যাহতি  সংক্রান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এলওআই নথিতে সই করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত আরেকটি এমওইউতে সাক্ষর করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে এবং দুই দেশ এ বিষয়ে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, দুই দেশ থাই ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে অফিসিয়াল পাসপোর্টহোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, থাই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে সুফল লাভের লক্ষ্যে শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং সর্বোত্তম পর্যটন অনুশীলন থেকে সুফল পেতে পর্যটন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, লেটার অফ ইন্টেন্ট আলোচনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির চুক্তি থাই ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের আরও বেশি সফর বিনিময়ের জন্য সুবিধা দিবে। জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক দুই দেশের সত্যিকারের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপদান  করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক কার্যকরভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের ফলে উভয় দেশ পর্যটন ক্ষেত্রে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা অনুশীলন বিনিময় করার  সুযোগ পাবে।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের লাল গালিচা বিছানো লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি এ সময় সেখানে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দলের দেয়া গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।

স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিল তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সরকারি সফরে এখানে আসেন।

;