শান্ত ছাত্রলীগ, স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেপরোয়া আচরণের জন্য যে ছাত্রলীগকে নিয়ে দু:শ্চিন্তার অন্ত ছিলো না আওয়ামী লীগের, সেই ছাত্রলীগই এখন ‘স্বস্তি’ বয়ে আনছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘শৃঙ্খলা ফিরে’ এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটিতে।

সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তৃণমূলে পৌঁছানোর পাশাপাশি মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের দিকে মনোযোগ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের। হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধারে বর্তমান তাদের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড বিভিন্ন মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। ছাত্রলীগ ‘শৃঙ্খলিত’ থাকায় আওয়ামী লীগ তথা সরকারের মধ্যেও স্বস্তি বিরাজ করছে।

 

বিগত এক দশকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিদের কমিটি হওয়ার পরদিন থেকেই ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করতে দেখা গেছে। সেখানে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো হলের কক্ষেই থাকছেন।

শোভন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবেই হলে থাকছি। কেননা ছাত্রদের সংগঠনের নেতা হিসেবে যদি আমি ছাত্রদের সঙ্গে মিশি তবেই তারা আমাকে সম্মান করবে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন গোলাম রব্বানি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সবার আগে সংহতি জানিয়ে তিনি বিভিন্ন কলেজে ছুটে বেরিয়েছেন। সরকারের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আন্দোলনকে প্রশমিত করতে, বিএনপি-জামায়াতের পাতা ফাঁদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন পা না দেয় সে জন্য ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের কৌশল পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়ায়। দায়িত্ব পালনের অতীত অভিজ্ঞতা ও মানবিক গুণাবলির জন্য রব্বানিকে ছাত্রলীগের তৃণমূলের কর্মীরা ‘মানবতার ফেরিওয়লা’ বলেও ডাকে।

গোলাম রব্বানি বার্তা২৪কে বলেন, ‘নেতৃত্ব আমানতের মতো। দেশরত্নের দেওয়া আমানত রক্ষার চেষ্টা করব আমি। ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরূদ্ধারে কাজ করে যাব।’

ছাত্রলীগের এক নম্বর ইউনিট হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বলা হয়ে থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত থাকলে বাংলাদেশ শান্ত থাকে। নির্বাচনের বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্ত রাখার গুরু দায়িত্ব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের ওপর। তারা দু’জনেই আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। সৃজনশীল উপায়ে নিজেদের ‘ক্যারিশমা’ দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল টিএসসিভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠনগুলোকে এক ব্যানারে আনতে তারা গঠন করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ।’

এই ব্যানার থেকে সম্প্রতি ঢাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানাতে ৭ মার্চকে স্মরণ করতে ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ ও ৭ ফুট চওড়া আলপনা আঁকা হয়েছিল। দৃষ্টিনন্দন সে আলপনা অনেকের নজর কাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র ব্যানার ফেস্টুনের ব্যবহার, পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন উচ্চ শব্দসম্পন্ন মাইকের ব্যবহার তারা নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় আগত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর সুবিধার্থে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, ফ্রি বাইক সার্ভিস, মেডিকেল টিম, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নিয়েছে, যা আগত নবীনদের মাঝে সংগঠনের ইতিবাচক ইমেজকেই বৃদ্ধি করেছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় অন্যান্য ইউনিটেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষর্থীবান্ধব নানা কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রথম বোনস লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। ১৫ সেট বোনস এবং এনাটমির প্রায় ১৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘প্রফেসর ডাঃ মনসুর খলিল বোনস লাইব্রেরি’ চমেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালেয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ আপেলের উদ্যোগে স্থাপিত ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য নজর কেড়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভূমিধ্বসসহ প্রাকৃতিক দুযোর্গে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল দেখার মত।

সম্প্রতি মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে জেব্রা ক্রসিং একেঁছে, হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল চালানোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণে ‘স্বাক্ষরতা অভিযান’ শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অনলাইনে বিভিন্ন মহলের সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডার জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যে সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেড’ নামে একটি আইটি সেল গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।

গত দেড় মাস নেতিবাচক খবরের শিরোনামে ছাত্রলীগ না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝেও স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা চান ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরুদ্ধারের এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আলাপকালে বার্তা২৪কে বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অনেক যাচাই-বাছাই করে এবার ছাত্রলীগের কমিটি করে দিয়েছেন। তাই তাদের কাছে সবার প্রত্যাশা অনেকে। এখন ছাত্রলীগ যেভাবে চলছে তাতে ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশাই করা যায়।

তবে এই পথচলাতে শঙ্কার কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা বলেন, শোভন-রব্বানী কেবলমাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করাসহ যখন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করবে তখন তাদের মূল দক্ষতা কিংবা মুন্সীয়ানার পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন কমিটির প্রত্যাশায় সবাই চুপচাপ আছে। কমিটি হওয়া শুরু করলেই গ্রুপিং, ঐক্যে ভাঙ্গন, সংঘর্ষ, ব্লেমগেম মোকাবেলার নানা চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে আসবে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর নানা নাটকীয়তা শেষে ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। কেন্দ্রের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটিও ঘোষণা দেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা কথিত ‘সিন্ডিকেট’ সংগঠনটির কর্তৃত্ব হারায়।

   

ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির পেশাজীবী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে মাওলানা মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে মাওলানা কাজী আবুল হোসেন।

৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

ঘোষিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।

 

;

গাজায় যুদ্ধের উস্কানিতে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (ইসরায়েল) কারো কথা শোনেনা। আবার আমরা দেখছি, কংগ্রেস থেকে যে ফান্ড ইসরায়েলের অংশটা ইতিমধ্যে দিয়ে দিছেন। তার মানে যুদ্ধের উস্কানিতে সাহায্য করছেন। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এই ব্যাপারে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকারে কোন উন্নতি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের এমন রিপোর্টের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে যেভাবে মানবাধিকারের অবনতি হচ্ছে, আজকে যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছেন। তাদের ম্যাথিউ মিলার, জন কিডনি এরা এইসব নিয়ে কথা বলছেন হোয়াইট হাউসে। আমার বক্তব্য হচ্ছে তাদেরই পাশে গাজায় ইসরায়েল যা করছে সেটা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১৪ হাজার শিশু, ৩৫ হাজার মানুষ কে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে সিজ ফায়ারের কথা বলেও শোনাতে পারেননি। তারা কারো কথা শোনেনা। আবার আমরা দেখছি, কংগ্রেস থেকে যে ফান্ড ইসরায়েলের অংশটা ইতিমধ্যে দিয়ে দিছেন। তার মানে যুদ্ধের উস্কানিতে সাহায্য করছেন। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এই ব্যাপারে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর বহিষ্কার প্রত্যাহারে সেই নেত্রীর কাছ থেকে দপ্তর সম্পাদক ১০ লাখ টাকা চেয়েছেন, এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এইটার সত্যতা কি? তখন ফোন রেকর্ড আছে এমন জবাবে তিনি বলেন, তাহলে দিন, আমরা ব্যবস্থা নিবো।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা এটা কি আন্দোলনের উত্তাল হবার লক্ষণ? না আন্দোলন ধীরে ধীরে ফিজল আউট হচ্ছে এমন লক্ষণ।

মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা ছিলো তবে সে নির্দেশনা তেমন কেউ ই মানেনি। তাহলে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রত্যাহার করার এখনো সময় আছে। যে কোন সময় প্রত্যাহার করতে পারে। শেষ টা দেখেন। দলের নির্দেশ অমান্য হলে সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন কথা কিন্তু আমি বলেছি।

দল হিসেবে কাউকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াতে আওয়ামী লীগ বাধ্য করতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনটা করলে প্রশংসা করবেন? আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে সবসময় একটা উল্টা প্রশ্ন করতে অভ্যস্ত। আমাদের কৌশল নিয়ে আপনার কথা বলার দরকার নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে তো অন্য কোন বিরোধী দল অংশ নেয়নি শুধু আওয়ামী লীগই আছে। তারপরও সংঘাতের শঙ্কা প্রকাশ কিভাবে দেখেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো করতে পারেন। সংঘাত যেনো না হয় আমাদের দায়িত্ব আছে, আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ জন অংশ নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে। এই বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখানে সমর্থনও করছি না, বিরোধীতাও করছি না। বিএনপির ব্যাপার বিএনপি দেখবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক।

ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে আপনাদের বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য। কারণ বাংলাদেশের মানুষ একাত্তর সালে খালি পায়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাওয়াল পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।

শুক্রবার (২৬ এ‌প্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে সীমান্তে বাংলা‌দেশী নাগ‌রিক হত‌্যা ও ভারতীয় আগ্রাস‌নের প্রতিবা‌দে এক অবস্থান কর্মসসূচি‌তে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবেদিন ফারুক আরও বলেন, আমি একটি পত্রিকায় দেখেছি, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। আরেকটি পত্রিকায় দেখালাম, তাদের দুইটি ওষুধে ক্যান্সারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

আজকেও সীমান্তে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রিয় ব্যক্তি হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার কর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনদিন গ্রহণ করবে না।

এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, লজ্জা হয় না আপনাদের? ক্ষমতাসীন দল হিসেবে বলেন, সব ক্ষেত্রে নাকি বিএনপির ষড়যন্ত্র আছে। আমারা নাকি ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চাই। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আপনারা (আওয়ামী লীগ) গেছেন। ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করেছেন আপনারা। মঈন-ফখরুদ্দিনের সাথে রাতের অন্ধকারে আঁতাত করেছেন আপনারা। আমরা (বিএনপি) ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করি না। আমার নেত্রী ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করে না। আমার নেতা তারেক রহমান ক্ষমতায় যেতে চায়, এক মাথা এক ভোটে, জনগণকে নিয়ে, ষড়যন্ত্র করে নয়।

বিএন‌পির সাংগঠ‌নিক সম্পাদক আবাদুস সালাম ব‌লেন, প্রতিবছর আমরা বর্ডার থেকে দুই তিনটা লাশ উপহার পাই। মোদি সরকার হচ্ছে একটি জংলি সম্প্রদায়ের নেতা। এই মোদি ভারতে হাজার হাজার মুসলমানদেরকে খুন করেছে। এই মোদি সরকারের সাথে বন্ধুত্ব করেছে আমাদের সরকার। ২০০৮ সালে এসরকারের নেতৃত্বে আমাদের দলের প্রায় ৬৬০০ নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করা হয়েছে। বর্ডারে হত্যা করছে মোদি সরকার আর অভ্যন্তরে আমাদের খুন, গুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলা সবকিছু করছেন শেখ হাসিনা।

বিএন‌পির নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস‌্য আবু না‌সের মো. রহমতুল্লাহ বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তথাকথিত সহযোগিতার কথা বলে আর সিমা‌ন্তে মানুষ হত‌্যা ক‌রে। বাংলা‌দে‌শের বর্তমান সরকার দে‌শের গণতন্ত্র হত‌্যা ক‌রে‌ছে আর ভারত তা‌তে সমর্থন ক‌রে‌ছে। বাংলা‌দে‌শের মানুষদের ভারতীয় মানুষের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই ভারতীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কারণ তারা আমাদের বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সমস্যাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। ভারত আমাদের দে‌শের গণতন্ত্র বিরোধী যে মানসিকতা পোষণ করে সেই মানসিকতার আমরা বিরোধিতা করি, ভারতের জনগণকে না।

গণতন্ত্র ফোরা‌মের সভাপ‌তি আলহাজ্জ ভি‌পি ইব্রা‌হিম এর সভাপ‌তি‌ত্বে অবস্থান কর্মসূচি‌তে আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন সংগঠ‌নের সাধারণ সস্পাদক ব‌্যা‌রিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, ওলামা দ‌লের নব‌নির্বা‌চিত সদস্য সচিব এ্যাড. মাওলানা কাজী আবুল হোসেন,তাতী দ‌লের যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী ম‌নিরুজ্জামান, মৎস্যজীবী দ‌লের সদস‌্য ঈসমাইল হো‌সেন সিরাজী, কৃষকদ‌লের সহ সাধারণ সম্পাদক ম‌ফিজুর রহমান লিটন, শিল্প কু‌টি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, যুব জাগপার সভাপ‌তি আমির হো‌সেন আমু প্রমুখ।

;

বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এত হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বুঝা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি, উচ্চতা এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লজ্জিত হন। তখন পূর্ব পাকিস্তান কে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝা অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছু আছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাফায় আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের সকল নেতাদের আহ্বান  জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;