পাকিস্তানপন্থি সাম্প্রদায়িক শক্তি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪

বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চর্তুথবারের মতো ক্ষমতায় আসায় পাকিস্তানপন্থি সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি মেনে নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এই অশুভ শক্তি সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বড় ধরনের ভয়ঙ্কর কোনো হামলা পরিচালনার জন্য।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উদ্বোধন করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে। সেই সময়কার চেতনা বিরোধী শক্তি এখন খুবই দুর্বল এ কথা বলার কোন কারণ নেই। এখন সাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চেতনাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি। এই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি জঙ্গিবাদে আজও আর্বিভূত হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘হলি আর্টিজেন, শোলাকিয়ার সেই ট্রাজিডির পর আমরা যদি মনে করি- এই সাম্প্রদায়িক শক্তির পতন হয়েছে তাহলে আমরা শ্রীলঙ্কার মতোই ভুল করব। আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এখনও ষড়যন্ত্র আছে।’

কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার আজকে নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। এটা পাকিস্তানপন্থি

কিছু সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি এটা মেনে নিতে পারছে না।’

‘এই অশুভ শক্তি সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে, সাম্প্রদায়িক শক্তি ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বড় ধরনের ভয়ঙ্কর কোনো হামলা পরিচালনার জন্য।’

এসময় সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণকে নিয়ে অসম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী এ্যালায়েন্স নিয়ে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি অঙ্গনে একটা বিভ্রান্তি আছে যে- ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনী এ্যালায়েন্সের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে চেতনার পরিপন্থী কাজ করছে।’

‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই- ‘কৌশলগত কারণে পলিসির পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু আদর্শিকভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা থেকে এক চুলও সরিনি। আমরা শিকড়ের সঙ্গে আছি, থাকব।’

অনুষ্ঠানের উপ কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর খান, সদস্য সচিব আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার ও তার দল দলছুট, কিরণ চন্দ্র রায়, বাউল শিল্পী রিজু বাউল, আবৃত্তি শিল্পী ভাস্কর বন্দোপাধ্যানসহ আরও অনেকে।

   

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। 

শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ মে) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোন সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। 

;

হায়দার আকবর খান ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১১ মে) এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

শোকবার্তায় বলেন, হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। গণমানুষের দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিলেন আজীবন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম

আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের শক্তির কাছে অচিরেই এই সরকারকে মাথানত করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন

এসময় শামীম বলেন, দেশের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিল আওয়ামী লীগ। তার অন্যতম শিকার হচ্ছে বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী। তিনি মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন করতে গিয়ে আজকে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি। এই অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষকে গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সারাদেশকে বদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাজনীতি করলে গ্রেফতার হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।

তিনি অবিলম্বে বিএনপি নেতা দিদারুল আলম মিয়াজীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

এর আগে, বিএনপি নেতা মিয়াজীর বাস ভবনে গিয়ে তার স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে দেখা করে তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। মামলা পরিচালনার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিনসহ বিএনপি নেতারা।

;

জনগণকে নয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চারদিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না। তিনি বলেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি দেশের জনগণকে স্বচ্ছল করছেন আসলে তিনি জনগণকে নয় তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন এখন বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে না, ভারতের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। এক আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ খাতকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা আগে ছিল সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এখন তারা বৈশিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ডামি উপজেলা ভোট বর্জন করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের চিত্রও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন ‌এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ সকল বন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে মিছিলটি আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

;