উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীনামা: বহিষ্কার নাকি সাধারণ ক্ষমা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোট করেন/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

উপজেলা নির্বাচনে দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোট করেন/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সংগঠন গোছাতে বেশি মনোযোগী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলকে সামনে রেখে সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে দলের চেইন অব কমান্ড ঠিক রেখে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নানা কৌশল হাতে নিয়েছেন দলটি। এর মধ্যে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান যেমন আছে তেমনি আলোচনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শাস্তি প্রদান।

গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চলছে নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন, কাটা-ছেঁড়া ও বিশ্লেষণ।

বিএনপিবিহীন সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মূল প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগই। যাদেরকে দল বলছে 'বিদ্রোহী প্রার্থী'। দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা, হাইকমান্ডের রক্তচক্ষু ও সাংগঠনিক শাস্তির ভয়কে পাশ কাটিয়ে অনেক উপজেলায় নৌকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এই বিদ্রোহীরা।

অনেক মন্ত্রী, এমপিও বিদ্রোহী এসব প্রার্থীর সমর্থনে সরাসরি নৌকার বিপক্ষে হাল ধরেছিলেন। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার জন্য শুরুতে এ বিষয়ে নীরব ছিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক স্থানীয় পর্যায়ের এই কোন্দল যাতে ভবিষ্যতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেজন্য এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের কাঠগড়ায় থাকা এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে দল শাস্তি দেবে নাকি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে- তাই নিয়েই চলছে গুঞ্জন, আলোচনা।

গত ১২ গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের শোকজ ও সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতা কাজ করেছেন, তাদেরও কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। শোকজের জবাব যথার্থ না হলে অপরাধের মাত্রা অনুসারে তাদের শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

সেই সভার সিদ্ধান্ত মূল্যায়নে শনিবার (২০ জুলাই) দলের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হয়।

সভায় নতুন করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নেতৃত্বে গঠিত আট বিভাগের আটটি টিমকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘২৭ তারিখ পর্যন্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ২৮ তারিখ থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকরের দিকে যাব।’

দলীয় সূত্রে জানা যায়, শর্ত সাপেক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করতে পারে। সেজন্য শোকজ নোটিশকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাহয্যকারী মন্ত্রী, এমপি, সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও সাধারণ ক্ষমার স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। আত্মপক্ষ সমর্থনে করে শোকজের জবাব প্রস্তুত করছেন। তারা চান, কেন্দ্রীয়ভাবে সুষ্ঠু তদন্ত শেষে যেন শাস্তি কার্যকর হয়।

দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তারা সকলেই স্থানীয় পর্যায়ে কম বেশি জনপ্রিয়। জন সমর্থনের জোরেই নৌকার বিপক্ষেও পাস করেছেন। তাই তাদেরকে দল থেকে বাদ দেওয়াটা সহজ নয়।
অন্যদিকে যোগ্যদেরকে মনোনয়ন না দিয়ে দুর্বল ও বিতর্কিত প্রার্থীকে যে নৌকা প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সেই দুর্বলতাও তখন আলোচনায় উঠে আসবে। সব মিলিয়ে তাই দলীয় সভাপতি এবার সাধারণ ক্ষমার কথাও বিবেচনা করতে পারেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র জানায়, আট বিভাগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল কমপক্ষে ২০০। এদের মধ্যে রংপুরে ২৬, বরিশালে ১৭, ময়মনসিংহে ২০, খুলনায় ৪১, রাজশাহীতে ২০, সিলেটে ৩২, ঢাকায় ৪৫-এর অধিক, চট্টগ্রামে ১৭-এর অধিক।
নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে ভোট করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৩ জন। তাদের মদতদাতা হিসেবে ৬০ জন মন্ত্রী, এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সেই খসড়া তালিকা প্রস্তুতও হয়েছে।

   

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

;

‘শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মানুষ আবারও জেগে উঠেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ আবারও জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু ডান আর বাম নয় সব পন্থির মানুষই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ আজ দানবের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। যা বুঝেও না বুঝার ভান করে সরকার। শুধু ডান বা বাম নয় সব পন্থির মানুষ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের অপরাধ, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশটাকে তামাশায় পরিণত করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে। শুধু বিএনপি নয়, সব গণতান্ত্রিক মানুষ আবারও জেগে উঠছে। তারা আন্দোলনের বিপ্লব করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

;

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

বুধবার (০১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পর্কে ভিতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চায় না, বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরম নাই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, আর বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পিছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আদমজীর মত জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে শ্রমিকের ওপর কোন নির্যাতন নাই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

;

নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে আ. লীগকে আমন্ত্রণ জানাল বিজেপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সাতটি ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

সায়েম খান জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

তিনি জানান, বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

আরও জানান, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

;