খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে যে পথে বিএনপি



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৯ মাস যাবৎ দুইটি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় বর্তমানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।

উচ্চতর চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দলটির নেতারা তার জামিনে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। ৩৬টি মামলার মধ্যে প্রায় সবগুলো মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি। কিন্তু জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে ৭ ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় জামিনের বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে একবার জামিনের আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দেয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে আবারো হাইকোর্টে ওই একই মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে।

কিন্তু এবারো খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিএনপিরই একজন আইনজীবী। তবে দলটির নেতারা মনে করেন, সরকার সরাসরি খালেদা জিয়ার জামিনে বাধা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ চায় না যে খালেদা জিয়া মুক্ত হোক। আর তাই আইনি ও আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সামনে অগ্রসর হতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। এজন্য সাংগঠনিকভাবে আগে শক্তিশালী হতে হবে বলে মনে করেন রাজনীতি বিজ্ঞরা।

এ ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে আদালতে জামিনের আবেদন এবং আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে দলটি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দলটির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে সারা দেশের জেলা ও সাংগঠনিক জেলাগুলোর কমিটি দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় অঙ্গ সংগঠনগুলোকেও চাঙা করতে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এ সকল কার্যক্রম দেখে এখন বিএনপি সঠিক পথে হাঁটছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে এখনো তেমন লক্ষণীয় কিছু ঘটেনি। কিন্তু তার মুক্তির জন্য পদক্ষেপ আছে। এখন বিএনপি যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে সংগঠিত হওয়া উচিৎ। সেটাই তারা করার চেষ্টা করছে। কারণ ছাত্রদল, বিএনপির জেলা কমিটিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো কমিটি দিচ্ছে। এভাবে এগুচ্ছে, এভাবেই এগুতে হবে। তারপরে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া ও আন্দোলন দুটোই এক সঙ্গে করতে হবে। মুক্তি তো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া হবে না। সরকার সব কিছু এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যে কিছু বলার নাই।'

এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দ্বিতীয়বার হাইকোর্টে জামিন না চেয়ে আপিল করলে ভালো হতো বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির আইনি বিষয়ে বলেন, 'এটা রাজনৈতিক মামলা, সরকার যদি না চায় তাহলে জামিন হবে না। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি হবে না। এখন হাইকোর্টে একবার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। আবার সেই কোর্টেই জামিনের আবেদন করা হলো। এখানে আবার খারিজ করে দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ একবার খারিজ হলে সাধারণত সে রায় পরিবর্তন হয়ই না। তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজ পথ উত্তপ্ত করতে হবে, তা না হলে সম্ভব না।'

অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা আইনিভাবে বার বার চেষ্টা করছি। এখানে কী বলার আছে? সরকার তার জামিন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় জামিন চাওয়া হয়েছে।’

এবারো যদি খারিজ করে দেয়া হয় তাহলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আপিল করব। আইনি যত প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করব।’

তারপরও যদি খালেদা জিয়া মুক্তি না পান তাহলে কী আপনারা আন্দোলনের পথে যাবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আমরাতো আন্দোলনেই আছি। পাশাপাশি আইনি লড়াইও করছি।'

বিএনপির এই নেতার সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করেন বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই মনে করি খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া উচিৎ। তার মুক্তিতে বিএনপিকে আরও দৃশ্যমান হওয়া উচিৎ। তাদের মিটিং, মিছিল করার অনুমতি দিচ্ছে না। কিন্তু সেটা করতে হবে। তাদের রাস্তায় নামতে হবে। তবে তারা কোনো আন্দোলনে নাই।'

'বিএনপি আন্দোলনেই আছে' খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এ কথার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'ওইটা কথার কথা বলেছেন। তবে এই কথা বলে আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নাই। তারা আন্দোলন করতে চায়, কিন্তু করতে পারছে না। তাদের ২৫-২৬ হাজার নেতাকর্মী জেলে আছে। আরও ২৫-২৬ হাজার জেলে যাবে। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।'

   

বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করে ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপির দুরভিসন্ধি: কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য। জনগনের সমর্থন কে তারা মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। তাদের এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।

বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোন নজির নেই। তারা গণতন্ত্র কে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোন দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ান কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। ৫০১ জনে জাম্বু জ্যাম মার্কা কমিটি। যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলা কে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদখোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি সে জন্য এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন।

আজকের দিনের অঙ্গীকার তাদের স্বপ্ন পূরণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে আমাদের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এর স্বপ্ন এবং সেটা আজকে আমাদের অঙ্গীকার।

;

দেশের জন্য কাজ করতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।


নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে অকালে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এজন্য আমি তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (তার দল) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে আগ্রহী। দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জবাবে এ বিষয়ে থাই সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র-ইউএনবি

;

আচরণবিধি না মেনে আ'লীগ নেতার প্রচারণায় কল্যাণ পার্টির এমপি ইবরাহিম



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচারণায় নেমেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আচরণ বিধি না মেনে একজন সংসদ সদস্যের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ওই উপজেলায়। এ প্রচারণার বেশ কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমপি ইবরাহিম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাঈদীকে বিজয় করার লক্ষ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন ইবরাহিম। চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন। এতে তিনি ছবিযুক্ত করে লিখেন- "চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী কে বিজয় করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওনের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

পরে তিনি ওই স্ট্যাটাস বেশ কয়েকবার সম্পাদনা করে আবার লিখেন- "ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকিত হোসেন সজীব। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উনার (ইবরাহিম) সংসদ নির্বাচনের সময় কাজ করেছিলাম, তাই তিনি খুশি হয়ে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভা করেছেন।

সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে সভাটিকে সাঈদীকে বিজয়ী করার জন্য করা হয়েছে বলে প্রচার করেছেন বলে জানান আকিত হাসান সজীব।

এরপর চকরিয়ার ঢেমুশিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীসহ উপস্থিত হয়ে তার পক্ষে ভোট চান এমপি ইবরাহিম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ওই সভায় উপস্থিত অনেকেই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ইবরাহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় সংযোগ স্থাপনের। কিন্তু তিনি সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের শলাপরামর্শেই দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে।

চকরিয়াতে কল্যান পার্টির সাংগঠনিক কোনো অবস্থান না থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সহযোগিতায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফজলুর করিম সাঈদীসহ প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। যেখানে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমও।

;

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান, নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস, মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু , মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয় ,আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ , মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু , জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব)। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিব। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমান কে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন, মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার
শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওলি, মো. সাজ্জাদ আলম, ইয়াজউদ্দিন মাহমুদ ইরাম, ফজলে রাব্বি।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সজিব হোসাইন। উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন পল্লব বিশ্বাস, অন্তু বাহাদুর ছেত্রী, হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, চন্দন মন্ডল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জিহাদ বিশ্বাস। উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান ফুলেল, আসেফ আমের চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম অভি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন মো. সজল দেওয়ান। উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন টি. এম. পারভেজ, মো. সাকিব আল জহির অনিক, জাহিদ হাসান শোভন ও মো. মশিউর রহমান স্বপ্নীল।

;