শেয়ারবাজার নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এমন বক্তব্যের পর এবার সংসদে বিনিয়োগকারীদের আশস্ত করলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে অতীতে। এটা যেনো স্থিতিশীল থাকে তার জন্য অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজেই শেয়ারবাজার নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।

শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শেয়ারবাজারে যারা যাচ্ছেন, তাদের জানা উচিত, লাভ যেমন হবে লোকশানও তেমন হবে। যেকোনো সময় লাভ হতে পারে, যেকোনো সময় লোকসান হতে পারে। লাভ করলেই খুশি আর লোকসান করলেই সরকারের দোষ, এটাতো ঠিক না। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনার যা যা করা দরকার, সেটা কিস্তু আমরা করে যাচ্ছি। হটাৎ উপরে না উঠুক, আবার পরে না যাক। এখানে কেউ যদি গেম খেলতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা তো জুয়া খেলার মতো, যারা বিনিয়োগ করে তাদের বিবেচনা করতে হবে কোন কোম্পানির শেযার কিনছেন, কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা কী, কিনলে লাভ হবে কিনা। তবে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা কিভাবে ঠিক করা যায় আমরা এই সংসদে বসেই কয়েকদিন আগে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত মিটিং করেছি। সেখানে আামাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী সচিব ছিলেন। সবাইকে নিয়ে বসে এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করেছি।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের মানুষের কাছে একটা ‍খুনি জাতি হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। হেয় প্রতিপন্ন হয়েছিল। যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা বাংলাদেশটাকে কখনো উন্নত করতে চায়নি। বরং বাংলাদেশ দরিদ্র থাকুক, খাদ্যে ঘাটতি থাকুক, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা অনেক দুরবস্থায় থাকুক আর এই ক্ষুধাভুক্ত জনগোষ্ঠীকে দেখিয়ে বিদেশ থেকে সাহায্যে এনে লুটেপুটে খাওয়া- এটাই ছিল তাদের কামনা।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল ক্ষমতায় আসতে পারলাম না, তখনই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি, বাংলা ভাই এর সৃষ্টি, গ্রেনেড হামলার শিকার আমরা। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার। জেল জুলুম মামলা হয়রানি ও অভাবে দুর্নীতি লুটপাট। এভাবে লুটপাট মানি লন্ডারিং থেকে বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। 

‘এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি। একটানা ধারাবাহিক ক্ষমতায় আছি বলেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছি। দেশের কল্যাণে সার্বিকভাবে কাজ করছি। এটা কিন্তু শহরে না, এটা আমরা গ্রামের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী মজবুত করছি।’ 

সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটা সমস্যা আছে নদী ভাঙ্ন। এই নদী ভাঙার ফলে অনেকে গৃহহারা হচ্ছেন। এমপিদের অনুরোধ নিজ নিজ এলাকায় খোঁজ নিন কারা গৃহহারা, কাদের ঘর নেই, কাদের জমি নেই, নি:স্ব, খুঁজে বের করুন। এবার সমস্ত অর্থ ব্যয় করব গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার জন্য।’

সম্প্রতি ওয়াসার পানিকাণ্ড নিয়ে বলেন, ‘ঢাকা শহরে পানির ব্যাপক অভাব ছিল। পানির হাহাকার ছিল। ওয়াসার পানিতে ময়লা পাওয়া যাচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন, তাদেরও বাড়িতে পানির ট্যাংকি আছে। সেই ট্যাংকিটা তারা নিয়মিত পরিষ্কার করে কিনা সেটাও দেখার বিষয় আছে। ওয়াসার একটা ফোন নম্বরও দেওয়া আছে। সেখানে অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নেয়। কাজেই পানির সরবত নিয়ে যাওয়ার থেকে নিজেদের পানির ট্যাংক পরিষ্কার করে কিনা সেই খবর নিতে হবে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিকাণ্ড নিয়ে বলেন, ‘সবুজ আমাদের পতাকার রঙ। কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হলে তখন একটা ড্রেস কোড আয়োজক সংস্থাই করে দেয়। জার্সির মধ্যে থাকা লাল রঙের অংশের মধ্যে বাংলাদেশ লেখা হয়েছিল। এতে আইসিসি আপত্তি জানিয়ে বলেছে, লালের মধ্যে দেশের নাম লেখা যাবে না। আইসিসির আপত্তি আমাদের মানতেই হবে। সেজন্য সেখানে সাদা দিয়ে লেখা হয়েছে। তাই জার্সি পাকিস্তানের মতো হয়ে গেছে, এটা কিন্তু ঠিক নয়।’

বিএনপির যারা সংসদে আসছেন তাদের স্বাগত জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ‘স্বাগত জানাচ্ছি বিএনপির সংসদ সদস্যরা যারা যোগ দিয়েছেন। বিরোধীদলকে ধন্যবাদ আমরা চাই বিরোধীদল গঠনমূলক ভূমিকা রাখবেন। সেটা রেখে যাচ্ছেন। যাতে এই সংসদের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়। গণতন্ত্রের গতি যেন অব্যাহত থাকে।’

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;