খাশোগির অন্তর্ধানে সুবিধা অসুবিধা



কাওসার আহমেদ
নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগি

নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগি

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্ক, ইজমির থেকে: তুরস্কে নিখোঁজ খাশোগি নিয়ে বিশ্ব রাজনীতির মোড়ল দেশগুলোর মধ্যে তাপ-উত্তাপের কূটনীতি চলছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, আপাতত সৌদ আরব এই ইস্যুতে বেশ বিপাকে পড়েছে। তুরস্ক তাদের দক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে ঘটনার ‍মুখোশ উন্মোচন করছে। অন্যদিকে সৌদি তার মিত্রদের কাছে এ নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনে পড়তে যাচ্ছে।

নিখোঁজ জামাল খাশোগি একজন পরিচিত সাংবাদিক। যিনি এক সময় বার্তা সংস্থা আল আরব নিউজ চ্যানেলের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান ছিলেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত থেকে সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন কঠোর সমালোচনা থাকতো তার লেখায়। বিশেষ করে সৌদি রাজতন্ত্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইয়েমেনে যুদ্ধ, কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে নিয়মিত সমালোচনামূলক কলাম লিখতেন ওয়াশিংটন পোস্টে।

২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে তাঁর সাবেক স্ত্রীর তালাক নামা ও নতুন তুর্কি বান্ধবীকে বিয়ের অনুমতিপত্র আনতে গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। তাঁর হবু স্ত্রী হাতিস চেঙ্গিস বলেন খাশোগি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন এই জন্য যে তাঁকে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে হচ্ছে। তিনি খাশোগি বের না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন। এমনকি পরদিন সকালে কনস্যুলেট খোলার পূর্বে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।  

ঘটনার কয়েকদিন পর তুরস্কের প্রভাবশালী জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি সাবাহ্’ ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাশোগির প্রবেশের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায় খাসোগী সেখানে প্রবেশ করছেন। এবং এর কয়েক ঘণ্টা আগে কয়েকটি ভিআইপি কালো গাড়ি কনস্যুলেটের সামনে আসে ও কিছু লোক ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু তিনি আর বের হয়ে আসেননি। এরপরই বিশ্ব মিডিয়ায় এ বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। 

তুর্কি কর্তৃপক্ষের দাবি, জামাল খাশোগিকে কনস্যুলেটে এর ভেতর হত্যা করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে প্রথম দিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিরব ছিল। কিন্তু এখন অভিযোগ অস্বীকার করে তুরস্কের দাবি প্রত্যাখান করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, খাসেগীর হাতে থাকা ‘অ্যাপল ওয়াচ’ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ফুটেজ-ই প্রমাণ করে খাশোগিকে ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। প্রকাশিত একটি অডিও রেকর্ডে স্পষ্টতই আরবি ভাষায় খাশোগির কথাবার্তা ও আকুতি শোনা গেছে।

তুর্কি কর্তৃপক্ষ এটাও দাবি করেছে যে, খাশোগিকে হত্যার জন্য সৌদির ১৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ স্কোয়াড ইস্তাম্বুল এসেছিল। তারা খুব তাড়াতাড়ি তুরস্ক ত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে চলে যায়। তারাই এ হত্যার কাজটি করে থাকতে পারে।

এদিকে গত কয়েক দশক ধরে বিশেষ করে কাতার সংকটের পর গত তিন বছরে তুরস্ক এবং সৌদি আরব, তাদের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত স্বার্থের জন্য দেশ দুটোর মধ্যকার সম্পর্ক  একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, সৌদি নাগরিক খাশোগি হত্যার পর যদি তুরস্ক তাদের দক্ষ জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হতো তাহলে সৌদি আরবই এ ঘটনায় তুরস্কের উপর দায় চাপিয়ে দিতো। কিন্তু বিধি বাম, হিতে বিপরীত। সৌদি আরবই মনে হয় তাঁদের জালে আটকা পড়ল। সু্যোগ পেল আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঝানু খেলোয়ার ‘এরদোয়ান’। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এর ক্ষেত্রে চিরশত্রুতা বলতে কিছু নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক উন্নয়নের সু্যোগ যেন হাতছাড়া করছে না তুরস্ক। এক্ষেত্রে এক ডিলে দুই পাখি। যাকে বলে আন্ডার মাইন ডিপ্লমেসি। আন্তর্জাতিক মহলে সৌদিকে কোনটাসা করা আর নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঁটকে থাকা সামরিক চুক্তির অগ্রায়ন করারও সুযোগ তুরস্কের। তাই দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করা ব্যর্থ ক্যু এর সাথে জড়িত আটক খ্রিস্টান ধর্ম জাজক পস্টার। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের নাগরিকের মুক্তি চাইল। মুক্তি পেল পস্টার আর খুব শিগগিরই ডলারের বিপরীতে তুর্কি লিরার মান বাড়তে শুরু করল। আঙ্কারা-ওয়াশিংটন যোগাযোগ বাড়ল।

প্রথম দিকে সৌদি আরবের মত ঘনিষ্ঠ মিত্রদের নিয়ে কথা বলতে নারাজ ছিলেন মার্কিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বিশ্লেষকদের ধারণা তুরস্কের সাথে বোঝাবুঝির পর থেকেই সৌদি ওপর ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন, এই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকলে সৌদিকে শাস্তি দেয়া হবে। অর্থনৈতিক অবরোধ আভাসও দিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। এমনকি মঙ্গলবার এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তদন্ত ও তথ্যাদি চেয়ে সৌদির বাদশার সঙ্গে আলাপও করেছেন।

এদিকে সৌদি আরবও নমনীয় হয়েছে। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন (সূত্রেঃ রয়টার্স)। টেলিফোনালাপে খাশোগীর নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনে সম্মত হওয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান সৌদি রাজা সালমান। বাদশাহ তুরস্কেকে ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আঙ্কারার সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী করতে চায় রিয়াদ। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

জামাল খাশোগি নিখোঁজের ঘটনায় যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসন ইতিমধ্যে সৌদি থেকে তার বিনিয়োগকৃত দু’টি পর্যটন প্রকল্প তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। জামালের সন্ধান চেয়ে ওয়াশিংটনসহ বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ হচ্ছে।

এমন অবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সৌদিকে বদলে দেয়া কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান দেশের কোম্পানিগুলোর। তবে জামাল খাশোগি ইস্যুতে ইতোমধ্যে সৌদির এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন বর্জনের ডাক দিয়েছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ও কোম্পানি। বিবিসি জানিয়েছে, সেই তালিকায় যোগ হতে পারে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এরই মধ্যে জামাল খাশোগি ইস্যুতে প্রকৃত সত্য তুল ধরার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, আইএমএফসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন।

আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তুরস্ক আন্ডার মাইন ডিপ্লমেসি ভালই খেলছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতির খেলার মাঠে কিছুটা হলেও সৌদি আরবকে বেকায়দায় ফেলেছে। নিজের দৃড় অবস্থান, সহযোগিতার মানসিকতা আর দক্ষ নিরাপত্তা, কৌশলী কূটনীতির সদ্ব্যবহার দেখালো তুরস্ক।  

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;