তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশে বাধা কোথায়?



কাওসার আহমেদ
তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

  • Font increase
  • Font Decrease

 

তুরস্ক,ইজমির থেকে: তুরস্কের ভৌগলিক অবস্থান ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে। ইউরোপীয়ান নেইবারহুড এনলারজমেন্ট পলিসি বা নীতির   ভিত্তিতে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে কোন বাধা বা অন্তরায় নেই। তাছাড়া তুরস্ক কাউন্সিল অফ ইউরোপ, ইউরোপীয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইট্‌স, ন্যাটো ও জি২০ এর সদস্য পদ লাভ করেছে। 

কয়েক দশক ধরে তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢোকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।নানা কারণে থেমে আছে তাদের ইইউ সদস্য পদ অর্জন। সেই ১৯৮৭ সালে ইউরোপীয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি যা আজকের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন তার সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে ছিল তারা।কিন্তু ইউরোপীয়ান কমিশন আবেদনটি খারিজ করেছিল এইমর্মে যে খুব শীঘ্রই আলোচনার ধাঁর খুলছেনা।কিন্তু ইউরোপীয়ান কমিশন আবেদনটি খারিজ করেছিল তার কারণ -খুব শীঘ্রই আলোচনার ধাঁর খুলছেনা।কারণ হিসাবে উল্লেখ করে তুরস্কের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নাজুক পরিস্থিতি,গ্রীসের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক এবং সাইপ্রাসের সাথে দন্ধের যু‌ক্তি দেখা‌নো।এরপর আরও বহু পদক্ষেপ নিয়েও সফলতার মুখ দেখতে পায়নি তুরস্ক। 

অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের সাথে আলোচনা করতে সম্মত হয় ও ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর আলোচনা শুরু করে। কয়েক দফা আলোচনার পর অ‌নেকটা ইতিবাচক দিকেই আগাচ্ছিল। ২০১৩ সালে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তুরস্কের তখনকার প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলুর সঙ্গে আঙ্কারায় বৈঠক করেন এঞ্জেলা ম্যার্কেল৷ ম্যার্কেল তুরস্কের ইইউ সদস্য হওয়ার দাবিকে সমর্থন করার আশ্বাস দেন৷ এছাড়া ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে দাভুতোগলু যে দু’টি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সেগুলো ইইউ বৈঠকেও আলোচিত হয়েছে৷ তুরস্কে অবস্থানরত সিরীয়দের জন্য তুর্কি সরকারকে ৩ বিলিয়ন ইউরোর অর্থ সহায়তা দেয়া এবং ইইউ অঞ্চলে তুর্কিদের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার সিদ্ধান্ত ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট মোটামুটি চূড়ান্ত করেছিল(সুত্রঃস্যমন্তক ঘোষ,ডিডাব্লিউ,১০.০২.২০১৮)৷ 

ইউরোপীয়ান অনেক রাজনৈতিক নেতা বহু দিন ধ‌রে সমালোচনা করে আসছিলেন যে, আধুলিক তুরস্কের স্থপ‌তি কামাল আতাতুর্কের স্যাকুলার নীতি থেকে দেশটি সরে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ইসলাম পন্থী নীতির দিকে ঝঁকুছে।তুরস্কের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু ক‌রে সব ক্ষেত্রে ইসলামীকরণ করছে।  

এরপর ২০১৬ সালে এক দল বিপথগামী সেনা অফিসারের ব্যর্থ ক্যু চেষ্টার পর তুরস্কে দেড় লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ও ৪০ হাজার জন‌কে জেলে ঢোকা‌নো হয়েছে – তাদের মধ্যে বহু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক ও আন্দোলনকারী ছি‌লেন। তখন গোটা ইউরোপ জুড়ে তুরস্কের মানবাধিকারের জন্য নিন্দার ঝড় উঠে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন এরাসবাই ব্যর্থ ক্যু সাথে জড়িত। 

তুরস্কের সংবিধানে প্রেসিডেন্টসিয়াল পদ্ধতি প্রবর্তনে গণভোট আয়োজনের প্রাক্কালে আবার তীব্রও সমালোচনার মুখোমুখি হন এরদোয়ান। তাঁকে অনেকেই ডিক্টেটর বা নতুন সুলতান বলেও সমালোচনা করেন।তবে সিএনএনকে তিনি জানিয়েছেন, গণভোট তাঁকে ‘ডিক্টেটর’ বানাচ্ছে না৷ বরং নতুন ব্যবস্থার জন্য নয়, তুরস্কের মঙ্গলের জন্যই৷ইইউর মধ্যেই ফ্রান্সে প্রেসিডেন্টসিয়াল পদ্ধতি রয়েছে। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/30/1535628387498.jpg   

২০১৬ সা‌লের ২৪ নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট তুরস্কে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের উপর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউতে প্রবেশের আলোচনা স্থগিতের জন্য সিংহভাগ সাংসদরা ভোট প্রধান করে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইইউ নীতি নির্ধারকদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন” ইইউ আমাদের চায় না, কারণ আমারা মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। আমরা এটি জানতাম কিন্তু আমরা আমাদের আন্তরিকতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করেছিলাম”(সুত্রঃ রাশা টুডে, ২৩ জুন,২০১৬-১৩:৪৭)।৫৪ বছর ধরে আমাদের অপেক্ষায় রেখেছেন, "আপনারা যদি সৎ হন, তাহলে আপনাদের বক্তব্য পরিষ্কার করুন।আমরা এটা বন্ধ করে দেব, আমাদের আর ইইউর দরকার নেই” (সুত্রঃ হুররিয়াতডেইলি নিউজ,১৩ অক্টোবর ২০১৭-১১:৩৪:০০)।

ইউরোপীয় আইন বিশেষজ্ঞ ড. হাজী জান, প্রফেসর ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডিপার্টমেন্ট অফ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ‘ল’, ডকুজ এইলুল ইউনিভার্সিটি, ইজমির,তুরস্ক। তিনি বলেন “ তুরস্ক মুসলিম রাষ্ট্র এটা তো আছেই তবে, এটা কোন মুখ্য বিষয় নয়, আসল কারণ তুরস্কের জনসংখ্যা ইউরোপের তুলনায় অনেক বেশি ও এখানে বেকারত্বের হারও অনেক এই মুহূর্তে তুরস্ক যদি ইইউর সদস্য হয় তাহলে এদের কর্মসংস্থানের জন্য ইইউ একটা সংকটের মুখোমুখি হবে।তাই এ বিষয় গুলোতে আগে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে“।

একরোখা ও কর্তত্বপরায়ণ আচরণের জন্য এরদোয়ান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচিত চরিত্র হলেও নিজের দেশের জনগণের মধ্যে তাঁর সমর্থন বেড়েই চলেছে৷ গণভোটে জয়, শেষ জাতীয় নির্বাচনে তাঁর ও তাঁর  দলের ল্যান্ড স্লাইড ভিক্টরি।এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছিল কার্যত জনগণ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পাশে থাকায়৷ 

সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পর এরদোয়ান আবারও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন।ইতালির প্রধান মন্ত্রীর সাথে বৈঠক পর ইইউতে প্রবেশের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন।বিশ্লেষকরা মনে করছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের আমন্ত্রণে জার্মানিতে গেলে এবিষয়ে কথা উটতে পারে।তবে আলোচনা যাইহউক না কেন তুরস্ক খুব শীঘ্রই ইইউ সদস্য হতে পারছেনা বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।  

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকান্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য : অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নিরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্দ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;