নার্ভাস ছিলেন সাকিব!
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের বাজে শট কয়টি?
এই প্রশ্নের উত্তরের তালিকাটা অনেক লম্বা। তবে ক্রিকেটে একেবারে সর্বশেষ বাজে টাই সর্বাগ্রে আলোচনা হয়।
ঠিক যেমনটা হচ্ছে দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের আউট নিয়ে। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো এই উইকেটে আফগানিস্তানের বোলারদের সবচেয়ে সহজ কায়দায় তিনিই সামাল দিতে পারছিলেন।
কিন্তু যে শটে সাকিব আউট হলেন সেটাই যে তার ৪৪ রানের সব মূল্যমান কেড়ে নিচ্ছে। শেষ বিকালে মাত্র ১৮.৩ ওভার টিকে থাকার প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। আর সেই প্রয়োজনীতা মেটাতে পারতো সাকিবের ব্যাটই। কিন্তু শেষ বিকালে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই তিনি যে কায়দায় আউট হলেন তাতেই এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারের পথচলা শুরু।
নিজের সেই আউট নিয়ে কোনো বাদ-প্রতিবাদে গেলেন না সাকিব। সাফ জানালেন-তিনি নার্ভাস ছিলেন।
সেই প্রসঙ্গে পুরোটা শুনি সাকিবের জবানিতে-‘মাত্র ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের খেলা বাকি। তখন আমি ব্যাট করতে নামি। আমার কাছে তখন নার্ভাসনেসটা বেশি কাজ করেছে। কিন্তু আমি যখন দুপুরবেলা ব্যাটিংয়ে নেমেছিলাম তখন সেই নার্ভাসনেসটা ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবে আমি চাচ্ছিলাম প্রথম বলটা যেন ভালোভাবে ফেস করতে পারি। কিন্তু প্রথম বলেই যে আউট হয়ে গেলাম। এটা পুরোটাই আমারই দোষ। যেহেতু আমি প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছি। তাই কাজটা আমাদের জন্য আরো কঠিন হয়ে যায় তখন। দায়িত্বটা তো আমার উপরই পড়ে। প্রথম বলেই হয়তো কাট শট টা না মারলেও হতো। আসলে ঐ শটটা খেলে আমি আউট হওয়ায় দল একটু বেশি চাপে পড়ে গেছে। আমি যেহেতু অপরাজিত ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে ছিলাম। আমার ওপরই প্রধান দায়িত্বটা বর্তায় যে ইনিংসটা টেনে নিয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে পারতাম তাহলে ড্রেসিংরুম অনেক বেশি কমফোর্ট ফিল করতো। হয়তো তখন আমরা ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম। অথবা ড্র করার একটা সম্ভাবনাও ছিলো। কিন্তু যেহেতু শেষ বিকালে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছি। দলের জন্য বাকি কাজটা অনেক কঠিন হয়ে গেছে।’
নিজের ভুল সবাই স্বীকার করতে পারে না। সাকিব এখানেও ব্যতিক্রম!