খেলল, জিতল এবং অনেক কিছু শেখালও আফগানিস্তান!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
টাইগারদের হৃদয় ভেঙে বিজয়ী আফগান ক্রিকেটারা, ছবি: সংগৃহীত

টাইগারদের হৃদয় ভেঙে বিজয়ী আফগান ক্রিকেটারা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিজ্ঞতা। নিজ মাঠ। হাতের তালুর মতো চেনা পরিবেশ। এবং সার্বিক শক্তি-সবমিলিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ এসব বিভাগে আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল।

কিন্তু সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটা তো জিতল আফগানিস্তান।

ম্যাচে খেলতে নামার আগে সেকি বিপুল তোড়জোড়! উইকেট কেমন হবে? দল কেমন হবে? ওপেনিংয়ে কে থাকছেন? সেঞ্চুরি হচ্ছে কার? চতুর্মাত্রিক এমন সব পরিকল্পনা নিয়ে শিরোনামে বেশি ছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্ট জিতল আফগানিস্তান ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।

নতুন কোচ। নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট। টেস্ট দলের কার জার্সি নাম্বার কতো হবে? কে কোন পজিশনে খেলবেন? তিনদিনেই তাহলে শেষ হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্ট! আরে আফগানিস্তানের ব্যাটিং অমন কিছু না! টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে এমন ‘গল্পই’ বেশি শোনা গেলো বাংলাদেশ দলের আশপাশ ঘিরে।

অথচ চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে গড়ানো প্রতিটি সেশনেই আফগানিস্তান টপকে গেলো বাংলাদেশকে।

এই টেস্ট ম্যাচের কোনকিছুতেই যে সামনে বাড়তে পারলো না বাংলাদেশ। শেষদিনের শেষ বিকেলে সময় নষ্ট করার যে অসুন্দর ও অশোভন চেষ্টা করলেন ক্রিকেটাররা সেটা হার বাঁচানোর কোনো কৌশল নয়; বরং ক্রিকেট স্পিরিটকে গলাটিপে ‘খুন’ করার সামিল। এই অসুন্দরের নাম অন্য নাম বেলেল্লাপনা!

উইকেটে এসেই গ্লাভস খুলে ঘাম মোছার কুটিল কসরত। স্ট্রাইক নেয়ার আগেই জুতোর ফিতে নতুন করে বেঁধে নেয়া। ঘাড়ের ঘাম মোছার জন্য মাঠের বাইরে থেকে টাওয়েল চেয়ে পাঠানো। একটা বল খেলার পর স্কয়ার লেগের দিকে হাঁটা ধরা। সেখান থেকে স্লো মোশন ভঙ্গিতে ফের স্ট্রাইক নেয়া। অহেতুক প্যাড ঠিক করা। সময় নষ্ট করার যতো তরিকা আছে, ভীষণ কদাকার ভঙ্গিতে সেই চালাকি মার্কা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা চলে।

এটাকে আর যাই হোক-ক্রিকেট বলে না। বলে পলায়ন মনোবৃত্তি! সাকিব আগের দিন বলছিলেন মন খুলে ভয় তাড়িয়ে খেলার। কিন্তু শেষদিনের শেষ বিকালে বাংলাদেশ খেলল ‘ডরপুক ব্যাটিং’!

সাধারণত এমনসব কুট-কৌশল তখনই মানানসই যখন সারাদিন ব্যাট করা কোনো দল শেষের ঘণ্টায় এসে সময় নষ্টের জন্য অমনটা করে। তখন সেটাকে না হয় ক্রিকেটীয় কৌশল হিসেবে হয়তো মেনে নেয়া যায়। কিন্তু আপনি যখন সারাদিনে খেললেনই মাত্র ১৩ বল! মিনিটের হিসেবে মোটে সাত মিনিট! আর ম্যাচ বাঁচাতে শেষ ঘণ্টায় যখন প্রয়োজন হলো ১৯ ওভারের কম খেলার, তখন প্রপার ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ না নিয়ে সময় নষ্টের অপকীর্তিতে নামলেন!

এই কৌশলকে আর যাই হোক-ক্রিকেট বলে না!

আর সত্যিকারের ক্রিকেট কাকে বলে সেটা মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা আফগানিস্তান করে দেখাল। এবং সেটা চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম বল থেকেই।

টেস্টে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়- সেটা দেখার জন্য রহমত শাহ, আসগর আফগান, ইব্রাহিম জাদরান ও আফসার জাজাইয়ের ব্যাটিংয়ের পুরো রিপ্লে দেখে নিতে পারে বাংলাদেশ। কোনো ধরনের তাড়াহুড়ো নেই। বলের গুণাগুণ বিচার করে খেলা। ঝুঁকিপূর্ণ শটস এড়িয়ে চলা। ব্যাটিং জুটি গড়া। বেশিরভাগ সময়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা। বোলারদের ক্লান্ত করে তোলা। আবার যখন দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন তখন সেই কাজটাও দুর্দান্তভাবে করা। দুই ইনিংসেই দ্রুত রান তোলার সেই দায়িত্ব পালন করেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

চট্টগ্রাম টেস্টে যে বিপদে পড়েনি আফগানিস্তানের ব্যাটিং তাও নয়। পড়েছিলো। কিন্তু এই দলটা জানে সঙ্কট কিভাবে কাটিয়ে উঠতে হয়। আর তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে ২ উইকেট হারানো দল ঠিকই ৯০.১ ওভার ব্যাট করে ২৬০ রান তুলে নিলো!

শেখাল তারা সমস্যায় পড়লেও ব্যাটিংয়ে কিভাবে ফিরে আসা যায়। জানালো কিভাবে বৃষ্টিকে হারানো যায়। সব প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে দলকে জেতানো যায়।

-আর বাংলাদেশের ব্যাটিং?

সঙ্কটে পড়ার পর আরো গভীর সঙ্কটে গেলো! কেউ উদ্ধারকর্তা হতে পারলেন না। উইকেটে এসেই ওপেনার লিটন দাস রিভার্স সুইপ খেললেন! ওয়ান ডাউনে নামা মোসাদ্দেকের মাত্র ১৭ বল খেলার পর ছক্কা মারার শখ চাপলো। তাতেই অক্কা! পরিষ্কার আউট জেনেও মুশফিক ও মিরাজ রিভিউ নষ্ট করলেন। মমিনুল হাফসেঞ্চুরি করেই ভাবলেন ইনিংসে তো ছক্কা পেলাম না-হাঁকাই একটু! সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ের নামে যা করলেন, তাকে আর যাই হোক ব্যাটিং বলে না-বলে আফগান স্পিন দেখে দৌড়ে পালানো!

শেষদিনের শেষ বিকালে সাকিব আল হাসান অমন পরিস্থিতিতে প্রথম বলেই যে কাট শট খেললেন তাতে ব্যাটিং বুদ্ধিমত্তার ছাপ নয়, যা ফুঁড়ে বেরুলো তার নাম-নার্ভাসনেস!

টেস্ট ক্রিকেট খেলছে আফগানিস্তান মাত্র বছর খানেক আগে থেকে। এটা তাদের তৃতীয় টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট খেলছে ১৯ বছর ধরে। এটা বাংলাদেশের ১১৫ তম টেস্ট।
জানা কথা-অভিজ্ঞতা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। কিন্তু শুধু অভিজ্ঞতা আপনাকে ক্রিকেট ম্যাচ জেতায় না। প্রয়োজন আরো উপকরণ-সামর্থ্য ও সাহস এবং তার যথাযথ প্রয়োগ।

চট্টগ্রাম টেস্টে আফগানিস্তানকে ভয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ! হারার ভয়। রশিদ খানের লেগস্পিন খেলতে না পারার ভয়! বৃষ্টির জন্য সাধারণত ব্যাঙ কাতর হয়। চট্টগ্রাম টেস্টে ক্রিকেটারদের গলায় সেই কাতর ডাক শোনা গেলো!

এই ম্যাচের স্কোরকার্ডে ২২৪ রানে বাংলাদেশের হারের পাশে ব্র্যাকেটে থাকা উচিত (ভয়ে হার)!

   

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ায় ছাপ রাখতে চান রাজা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ২০টি দল নিয়ে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে কানাডা-উগান্ডার মতো দলের জায়গা হলেও হয়নি জিম্বাবুয়ের। যা অধিনায়ক হিসেবে বেশ পোড়ায় সিকান্দার রাজাকে। সেই ক্ষতে প্রলেপ হতে পারে আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করতে চায় সফরকারীরা। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা বার্তা দিতে চায় তারা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রাজা জানিয়েছেন এমন কথায়।

নিজেদের মাটিতে উগান্ডার কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর সেটি যে বাকি জীবন পোড়াবে রাজাকে তা স্বীকার করে রাজা বলেন, ‘ওই ঘটনাটা সব সময়ই বেদনাদায়ক হয়ে থাকবে। শুধু এখন নয়, যখন আমরা অবসর নেব, তখনো। শুধু আমরা যারা খেলছি তাদের জন্য নয়, যারা ম্যানেজমেন্টে আছে, তাদের জন্যও বিশ্বকাপে না যাওয়াটা সমান বেদনাদায়ক। শুধু এখন নয়, এই অনুভূতি আমাদের আরও অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।’

রাজার বর্তমান বয়সটা ৩৮। তার মতোই বর্তমান দলের অনেকেই অবস্থান করছেন ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে। তবে ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগে সকলে মিলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎটা গড়ে দিয়ে যেতে চান তিনি। যা নিয়ে রাজা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে যাওয়া। সেটা হয়নি। তবে জিম্বাবুয়েতে যে ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট খেলে, যারা ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের প্রতি আমাদের বিরাট দায়িত্ব আছে। আমাদের বড় ক্যানভাসে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা। অনুপ্রেরণার কথা বললেন, ওই ছেলেমেয়েরা, ওই পরিবার, আমার দেশ এবং আমাদের দেশে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের অনুপ্রেরণার জন্য যথেষ্ট। আমরা চাইব আরও অনেক ক্রিকেটার তৈরি করতে এবং নিজেদের একটা ছাপ রেখে যেতে।’

;

সাকিবের ব্যাটে বঙ্গ’র স্টিকার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সময়ের বিবর্তনে এই নামটাই যেন পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ডে। দেশের অন্যতম এই তারকার ব্যাটের এবার স্টিকার পার্টনার হলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই চুক্তি হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্য সাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে থাকবে বঙ্গ’র স্টিকার।

আগামীকাল থেকে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দলে সাকিব না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে সব ঠিকঠাক থাকলে এই সিরিজ দিয়েই সাকিবের সঙ্গে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গ’র।

‘ব্যাট স্টিকার পার্টনার’ হলো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ। এই পার্টনারশীপ এর অংশ হিসাবে, জনপ্রিয় এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এর লোগো বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচের সময় শাকিবের ব্যাটে দৃশ্যমানভাবে ২ বছর পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আগামী জিম্বাবুয়ের সিরিজ, যা ৩রা মে থেকে শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আহাদ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটা গৌরবময় ইভেন্ট। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় তারকা । তার ব্যাটের ‘স্টিকার পার্টনার’ হিসেবে আমরা যুক্ত হতে পেতে আনন্দিত। বঙ্গ বরাবরই শ্রেষ্ঠত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় বিশ্বাসী। আমরা তাই সবসময় চেষ্টা করি

আমাদের সীমানা ভেঙে অভিনব কিছু আনতে যাতে আমরা দর্শকদের স্পেশাল ফিল করাতে পারি। দেশের সেরা খেলোয়াড়ের সাথে এই পার্টনারশিপ আমাদের সেই লক্ষ্যেরই একটি প্রতিফলণ।‘

অন্যদিকে এই পার্টনারশিপ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘বঙ্গ এই মুহুর্তে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। বিশেষ করে ওদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কন্টেন্টগুলো দেশের বিনোদন জগতের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আর আমরা সবাই জানি ক্রিকেট শুধুমাত্র একটি খেলাই নয়, কোটি কোটি মানুষের জন্য এক বিনোদনের মাধ্যমও। তাই বঙ্গ-এর মতো বিনোদন প্ল্যাটফর্মের সাথে আমাদের এই বন্ধুত্ব আশা করি এই বিনোদনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।‘

বঙ্গ বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারেরও বেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ডাবিংকৃত কন্টেন্ট, নাটক, টিভি শো, সিরিজসহ বিশাল তাদের লাইব্রেরি। সম্প্রতি তারা প্রথমবারের মতো বিশ্ববিখ্যাত বিজনেস রিয়ালিটি শো ‘শার্ক ট্যাংক’-এর বাংলাদেশি সংষ্করণ তাদের প্লাটফর্মে সম্প্রচার  শুরু করেছে।  

এছাড়া পার্টনারশিপ নিয়ে বঙ্গ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আরো কিছু আকর্ষনীয় খবর আসতে চলেছে।

;

জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিলো ২-১ ব্যবধানে। সেটাও অবশ্য ২০২২ এর আগস্টে। অর্থাৎ এক বছর নয় মাস আগে। তবে এই সময়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। মাঝে একটা বিশ্বকাপও গিয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।

বিশ্বকাপে না থাকলেও জিম্বাবুয়েকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্বাগতিক ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত। দুই দলের পার্থক্য দেখছেন না খুব একটা।

‘টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওই রকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ, তারাও অনেক ভালো দল।‘

বিশ্বকাপ না খেললেও জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে দেখছেন কয়েকজনের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা মজবুতের শক্ত ভিত্তি হিসেবে। তবে শান্ত মনে করছেন এই সিরিজে খুব একটা পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ছে না। সিরিজ জেতা আর ঠিকঠাক প্রস্তুতিটাই আপাতত শান্তর প্রধান লক্ষ্য।

‘প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখবো কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো তা–ও না। পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। এ কারণে যে ১৫টা প্লেয়ার এখানে আছে, সবার এই দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। প্রস্তুতি বলবো না। আমি বলবো সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেনো আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।‘

শান্ত জিম্বাবুয়েকে যতটা শক্তভাবে নিচ্ছেন রাজা-উইলিয়ামস-বার্লরা আসলেই কী তাই? বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উগান্ডার কাছে হেরে কাটতে পারেনি বিশ্বকাপের টিকিট। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে বরং সেটাই হবে অঘটন।

;

৭ উইকেটের সহজ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে তা পুরোদস্তুর মামুলি বানিয়ে দিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। বাকি ২৭ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারালেও সফরকারীদের জয়ের পথে সেটি তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ১০ বল হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত নারী ক্রিকেট দল। 

টানা তিন ম্যাচেই সহজ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীতের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। 

লড়াকু সেই সংগ্রহের ভিতে জ্যোতিদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই । সেখানেই বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে ফেলে শেফালি ও মান্ধানা। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিফটি পেরিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান তোলা শেফালিকে ফেরান রিতু মনি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৭৪ বলে স্রেফ ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। এতে আরও এগেই লক্ষ্য পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের কিছুটা লড়াই চালানো স্পেলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৯তম ওভার পর্যন্ত পাড়ি দিতে হয় সফরকারীদের। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  

দাপুটে জয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রান করা শেফালি জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১১৭/৮ (২০ ওভার) (দিলারা ৩৯, নিগার ২৮; রাধা ২/২২, শ্রেয়াঙ্কা ১/২৪)

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১১৮/৩ (১৮.২ ওভার) (শেফালি ৫১, মান্ধানা ৪৭; রিতু ১/১০, রাবেয়া ১/২৪)

ফলাফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: শেফালি ভার্মা

;