ইসিতে অগ্নিকাণ্ড

শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, ক্ষতি ৩ কোটি ৭৭ লাখ



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের বেজমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। ইসির তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ ঘটনায় আর্থিকভাবে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত ছয় সদস্যদের কমিটির প্রধান ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রথম সভা, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার শেষে কমিটি ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আগুনে ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট ৫৯টি, ব্যাটারি ৪৭টি, ব্যালট ৭৮৯, মনিটর এক হাজার ২৩৩ হাজার, ক্যাবল ৫৫৭ সেট, মনিটরের ব্যাটারি ৬৪টি, ল্যাপটপ একটি ও বার কোড স্ক্যানার দুইটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, বেজমেন্টের যে কক্ষটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বারবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- কক্ষটির একাংশে বৈদ্যুতিক লাইনে স্পার্কিং হচ্ছে। বেশ কয়েকবার স্পার্কিং হয়ে আগুন ও ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সেখানে থাকা ইভিএমের ক্যাবল ও মনিটর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মেশিনগুলো আগুন নেভানোর সময় ছিটানো পানিতে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে, 'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। আমরা আজ কমিশনের সচিবের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। তদন্তে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের বিষয়টি উঠে এসেছে। আর্থিকভাবে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।'

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, 'বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত, সিসিটিভি ফুটেজসহ সব কিছু যাচাই বাছাই করে সেটিই উঠে এসেছে।'

ঘটনার পর ইসি সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ভবনটিতে সাড়ে চার হাজার ৫০০ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রয়েছে। বেজমেন্টেও কিছু ইভিএম ছিল। আগুন লাগার ফলে সেখানে থাকা কিছু ইভিএমের ক্ষতি হয়েছে। তবে বেজমেন্টে কত ইভিএম মেশিন ছিল, তা পরে জানা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন।

রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের জন্য আনা চার হাজারের বেশি নতুন ইভিএম ঘটনার আগের দিন বেজমেন্টে সংরক্ষণ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেখানে থাকা কিছু ইভিএমের মনিটর ও ক্যাবল পুড়ে যায়। আগুন নেভাতে ছিটানো পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিছু মেশিনেরও।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আরও রয়েছেন- জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, গণপূর্তের ই/এম বিভাগ-৮ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ ইয়ামিন-উল-ইসলাম ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন ইসির সহকারী সচিব (সেবা-২) খ ম আরিফুল ইসলাম।

কমিটিকে তিনটি বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। সেগুলো হলো- অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার কারণ ও উৎস নির্ণয়; অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ (আর্থিক মূল্যসহ) এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড যাতে না ঘটে সে সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন।

এর আগে মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ইসির বেজমেন্টে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইভিএম ও ব্যালট ইউনিট ছিল। এগুলো বিভিন্ন কক্ষে রাখা হয়। তবে বেজমেন্টে তালা লাগানো ছিল, এটি অতি সুরক্ষিত কক্ষ। সর্বক্ষণ মনিটরিং করা হয়। এখানে কোনো মানুষ অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা নিষিদ্ধ। সুতরাং এটা বলা যায়- বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই শুধু মাত্র আগুন লাগতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করে প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

   

বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টি, জনমনে স্বস্তি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র দাবদায়ের পর বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও।

বিকাল ৪টা থেকে আকাশে গুমোট ভাব দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায়। আধঘণ্টা পরই বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

পথচারী সিফাত রিমা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজারে এসেছি বাচ্চা নিয়ে তীব্র গরমে দোকানে বসে থাকাই ছিল দুঃসাধ্য। আজ হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা শীতল অনুভূত হচ্ছে।

ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সঙ্গে টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে সবখানে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছিল। বিকেলে আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

;

প্রয়োজনের তুলনায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এছাড়া, বিবিএসের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের মানুষ দৈনিক গড়ে জনপ্রতি ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) মাছ গ্রহণ করছে।

উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোনা অবমুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ২১৫.৪৩ মেট্রিক টন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০.২৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিল নার্সারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সারা দেশে ৯১৭টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৭৪টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি রোধ ও প্রাচুর্য রক্ষার্থে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৫০০টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সালে রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৮৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭ শত ৫৮ হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। খননকৃত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

;

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিলা পড়তে দেখা যায়। যার স্থায়ীত্ব ছিলো ২-৩ মিনিট।

জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে সিলেটে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ফলে নগরীর প্রায় সড়ক ফাঁকা দেখা যায়।

এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২.২ মিলিমিটার। সেখানে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিলিমিটার।

দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নিবাস দেবনাথ।

তিনি জানান, সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তন্মধ্যে সকাল ৬টা থেকে নয়টায় ২৮ মিলিমিটার ও নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১০ মিলিমিটার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাত, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার ভারী এবং এর বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত বলা হয়।

এরআগে, গত ৪ এপ্রিল ও ৩১ মার্চ সিলেটে কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ওই সময়ে শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরীর অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। যানবাহনেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

;

নওগাঁয় বাস চাপায় শিশু নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুরের নওহাটা মোড়ে বাসচাপায় বাঁধন হোসেন (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু বাঁধন হোসেন পার্শ্ববর্তী মান্দা থানার গোটগাড়ী গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বাধনের বাবা-মা দরিদ্র হওয়ায় নওহাটা মোড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত কফিল উদ্দিন রাইস মিলে শ্রমিকের কাজ করত। সেখানে বাবা-মায়ের সাথেই থাকত সে। এরমধ্যে আজ ঘটনার সময় নিহত শিশুটি রাইস মিলের সামনে দিয়ে যাওয়া নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় নওগাঁর উদ্দেশে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে রাস্তায় পড়ে গেলে তার উপর দিয়ে বাসটি চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে ঘাতকবাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি।

;