পহেলা নভেম্বর নিকুঞ্জের নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে ডিএসই

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএসইর নিজস্ব ভবন, ছবি: সংগৃহীত

ডিএসইর নিজস্ব ভবন, ছবি: সংগৃহীত

বহু জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে আগামী পহেলা নভেম্বর স্থায়ী ঠিকানায় যাচ্ছে দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

মতিঝিলের ভাড়া অফিস থেকে রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জে নিজস্ব জমিতে নির্মিত ১৩ তলা ভবনে যাচ্ছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। তবে মতিঝিলেও সাব অফিস থাকবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

তিনি বলেন, ‘সভায় ডিএসইর নিকুঞ্জে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১ নভেম্বর ডিএসই নিজস্ব ভবনে যাবে। সেখানে ডিএসইর অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ডিএসইর সদস্যরা যাবেন কিছু দিন পর।’

বিজ্ঞাপন

ডিএসইর ২০১৩-১৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, নিকুঞ্জ টাওয়ারকে স্থায়ী সম্পদ হিসেবে দাম দেখানো হয়েছে ৬৭২ কোটি টাকা। নিকুঞ্জ ভবনসহ অন্যান্য স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ মিলিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রাতিষ্ঠানিক মূল্য দেখানো হয় প্রায় চার হাজার ২০০ কোটি টাকা।

রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকার এ জমিতে ১৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জমিটি ১৯৯৬ সালে সরকারের কাছ থেকে চার কোটি টাকায় রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় (বিমানবন্দর সড়কের পাশে) চার বিঘা জমি বরাদ্দ পায় ডিএসই।

ডিএসইর ২০১১-২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুতল ভবনটির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩২ কোটি টাকার বেশি। নকশা অনুযায়ী, ভবনের আয়তন সাত লাখ ৪১ হাজার ১০৯ বর্গফুট। ভূগর্ভস্থ তিন তলা কার পার্কিংয়ের স্থান বাদে মূল ভবন হয় ১৩ তলা।

প্রথম দুই তলায় থাকবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাব-স্টেশন, লবি, মিডিয়া সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। চতুর্থ তলা ডিএসইর অফিসের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। পঞ্চম তলা থেকে ১১ তলায় ব্রোকারেজ হাউস ও শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকবে। অডিটরিয়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ তলার কিছু অংশ ও ১৩ তলা। ভবনে ওঠা-নামায় যাত্রীবাহী লিফটের সঙ্গে থাকবে একটি কার্গো লিফট।

২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। ওই বছর ২৮ মার্চ ডিএসইর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ভবন নির্মাণ, স্থাপত্য ও প্রকৌশল কাজের জন্য জিবিবি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১০ সালের ৩১ মার্চে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে মোট কাজের ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালের ১৫ জুলাই জিবিবি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ডিএসই। এরপর ভবন নির্মাণ কমিটি পুনঃদরপত্র আহ্বান করে। আটটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে খুশলি নির্মাতা লিমিটেড, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (এনডিই) ও রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর এনডিইকে কাজ দেওয়া হয়।

নিকুঞ্জের এ নতুন ভবনের অফিস স্পেস ডিএসইর পরিষদ ছাড়াও আড়াইশ’ সদস্যের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। লটারির মাধ্যমে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর এ স্পেসের জন্য ডিএসইকে নির্ধারিত হারে ভাড়া দিতে হবে প্রত্যেক সদস্যকে।