রোহিঙ্গা ভোটার: নেপথ্যের চক্র ধরতে বিশেষ অভিযান



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা | ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা | ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যাতে কোনভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজের সঙ্গে জড়িত চক্রকে ধরতে নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে ইসি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে এ কাজে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রামে লাকী নামে একজন রোহিঙ্গা নারী স্মার্টকার্ড আনতে গেলে সার্ভার থেকে জানা যায় তার এনআইডি সঠিক নয়। এরপর সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তিনি রোহিঙ্গা। এরপর তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর সার্ভারে আরও ৪৬ জনের অসম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট ঠিক নেই, কারও ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি। তাই সেগুলো চিহ্নিত করে ব্লক করে রাখা হয়েছে। পরে এ ঘটনা তদন্তের জন্য ইসি সচিবালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) একটি বিশেষ টিম গঠন করে মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই টিম কাজ শুরু করে এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনকে শনাক্ত করে। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় দুই জনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ইসির চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা কার্যালয়ের অফিস সহকারী জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়। আটকদের তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চলছে, সেখানে নেপথ্যে থাকা চক্রের সদস্যদের সন্ধানও মিলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটকের সংখ্যা ও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।

সূত্র জানায়, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি প্রভাবশালী চক্র রোহিঙ্গাদের ভোটার করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এই চক্রকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সার্বিক সহযোগিতা করছেন ইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা।

এনআইডি উইং সূত্র জানায়, তথ্য সংগ্রহকারী দ্বারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ও কাগজপত্র সুপারভাইজার দ্বারা যাচাই করা হয়। সেসব তথ্য শনাক্তকারী দ্বারা শনাক্ত এবং যাচাইয়ের পর প্রুফ রিডিং, অ্যাডজুডিকেট, বায়োমেট্রিকসের দ্বৈততা পরীক্ষা করে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর বায়োমেট্রিকস প্রদানের সময় ছবি ও চার আঙুলের পরিবর্তে চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়।

তবে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ এলাকার নাগরিকদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ এলাকার নাগরিকদের নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত নিবন্ধন ফরমের অতিরিক্ত বিশেষ ফরম রয়েছে। সেখানে পিতা-মাতার পাশাপাশি চাচা-চাচি, মামা-মামি, ফুফা-ফুফুসহ আত্মীয়স্বজনের নাম দিতে হয়।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রমের পর ভোটার নিবন্ধনের আগে ইসির কাছে রক্ষিত ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার ডাটাবেজের সঙ্গে বায়োমেট্রিকসের দ্বৈততা পরীক্ষা সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ডাটাবেজ পরীক্ষার পর কমিশনের নিজস্ব ডাটাবেজ পরীক্ষা করা হয়, এরপর সব ঠিক থাকলে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চূড়ান্ত হয়। ফলে এসব ধাপ পেরিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকে না। তবে প্রভাবশালীদের সহায়তায় অনেক অসাধু চক্র এটি করার চেষ্টা করে, কিন্তু যখন রোহিঙ্গা ডাটাবেজে এটি পরীক্ষা করা হয় তখন সেটি অবশ্যই ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে ধরা পড়লে সেই ভোটার তথ্যটি সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বর্তমানেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রকে ধরতে অভিযান চলছে।

এদিকে নতুন করে যাতে কোন রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে পারে না পারে সেজন্য ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সাতদিন সার্ভারে নতুন ভোটারদের তথ্য আপলোড করার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তিতে সতর্কতা জারি করে সব আঞ্চলিক, জেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি দেবে কমিশন।

এ বিষয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় ঢোকানোর সুযোগ নেই। তবে যারা এটি করার চেষ্টা করেছে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে ওই তিনজনের বাইরে কে বা কারা আটক আছে, তার পরিচয় ও সংখ্যা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করতে চাই না। আমরা পুরো চক্রকে ধরতে বদ্ধপরিকর। যেহেতু কমিশনের একজন অফিস সহকারীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, তার পরিচয় আমরা সবাইকে জানিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহায়তা করছে, পুরো চক্রটিকে ধরতে প্রতিদিনই বিশেষ অভিযান চলছে।

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের আশপাশের ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করেছি। সেখানে গঠিত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে বার বার সতর্ক করেছি, যাতে বিদেশি বা রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় আসতে না পারে। অভিযুক্ত যাদের আটক করা হয়েছে তারা রোহিঙ্গাদের ভোটার করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কাউকে ভোটার করতে পারেননি এবং আইডি কার্ডও দিতে পারেননি। শুধু তারা উদ্যোগ নিয়েছে, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও কেউ এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে কি না, সেটাও আমরা দেখছি।

বিদ্যমান আইন অনুসারে বর্তমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০১৯ এর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি। ৩১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা, যার ভিত্তিতে বাংলাদেশি নাগরিক ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হবেন।

   

রাজধানীতে দুই হোটেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আওতাধীন নীলক্ষেত মোড়ে ২টি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

;

পটুয়াখালীতে সাড়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে ৩ হাজার ৭ শত ৫ পিস ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে পটুয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজারে অবস্থিত হোটেল ছোয়া-এর ৬ষ্ঠ তলার একটি রুম থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার আমতলী পৌরসভার সন্তু নাথ চ্যাটার্জির ছেলে সজল চন্দ্র চ্যাটার্জি (৩০), পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের
নুর মোহাম্মদ আকনের ছেলে মো. সবুজ আকন (২৫) ও গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন এর মৃত কাসেম হাওলাদারের ছেলে মো. মহসীন হাওলাদার।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, আমাদের একটি চৌকস টিম পটুয়াখালী পৌরসভার নতুন বাজারে অবস্থিত হোটেল ছোয়ায় অভিজান চালিয়ে ৩ হাজার ৭ শত ৫ পিস ইয়াবাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। তারা সকলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

;

স্বস্থির বৃষ্টিতে ভিজলো ময়মনসিংহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের পর ময়মনসিংহে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টির। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

জেলার অধিকাংশ এলাকা গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দা, ফুলপুর, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, মুক্তাগাছায় সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি পড়া শুরু করে। জেলার অন্যান্য উপজেলার আকাশ মেঘলা দেখা যায়।

এক পশলা বৃষ্টিতে নাগরিক জীবনে স্বস্তির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। অথচ গত সপ্তাহেও প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন জেলার মানুষজন।

অনেকেই আবার খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছেন মনের আনন্দে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে মনের আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট দেন।

গফরগাঁও পৌরসভার বাসিন্দা রাজীব আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে সেই সাথে প্রচন্ড রকমের বজ্রপাত হয়েছে।

মুক্তাগাছার বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, তীব্র তাপদাহের পর সন্ধ্যার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে শহরের মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে। তবে, গ্রামে কৃষকের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাদের কিছুটা অসুবিধা হবে।

ভালুকার মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ভালুকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরেছে।

চর ইশ্বরদিয়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, গত কয়েকদিন তীব্র গরম গরম ছিল। ধান কাটতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। এই বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমে আসবে।

;

তদন্ত কমিটি গঠন

সুন্দরবনে লাগা আগুনের কাছেই যেতে পারেনি দমকল বাহিনী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ারসার্ভিস বা দমকল বাহিনী এলাকায় গেলেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রোববার (৫ মে) সকাল থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহ ও দূর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যায়। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনো পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা নেমে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আগুন বেশিদূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে আগুন জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভব নাই।

কি করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও কাজী নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয়রা একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দিবেন এই কমিটি।

বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার (৪ মে) দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকেলে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।

;