বাংলা ভাষার অন্যতম কবি, লেখক ও নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হকের প্রয়াণ দিবস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে ‘প্রাঙ্গণেমোর’ নাট্যদলের ৮ম প্রযোজনা সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাটক ‘ঈর্ষা’ নাটকটি মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে।
‘ঈর্ষা’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। এতে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু ও অনন্ত হিরা। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন শাহীনুর রহমান, আলো জিল্লুর রহমান, সংগীত রামিজ রাজু ও পোশাক নূনা আফরোজ।
বলিউডের শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাই আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সোশ্যালে সেই রিকমেন্ডেশন লেটার শেয়ার করে এমনটাই জানালেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, প্রথম বারের মতো ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেল মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।
সেই সঙ্গে তিনি আরও লিখেন, আরব আমিরাত সাধারণত কিছু বিশেষ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে। ব্যবসা ও এ ক্যাটাগরি জব ছাড়া শুধুমাত্র সরকারিভাবে রিকমেন্ডেশন দিয়ে ট্যালেন্টেড পেওনির হিসাবে ভিন্ন দুইটা ক্যাটাগরিতে তারা সম্পূর্ন বিনা খরচে সম্মান সরূপ গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে।
বিভিন্ন সময় বলিউডের অনেক সেলিব্রিটিকে ক্রিয়েটিভ কালচারাল ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, সন্জয় দত্তসহ অনেক বড় তারকারা ইতিমধ্যেই এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। এবার সেই একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার পেলেন বাংলাদেশের একমাত্র মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।
এ বিষয়ে আমার টিম দিন রাত কাজ করেছে। সম্প্রতি বাংলা ভাষার সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে বড় আকারে তুলে ধরার যে মিশন নিয়ে আমার টিম কাজ করছে যাচ্ছে, তারই ক্ষেত্র তৈরী করতে এটি একটা মাইলফলক।
এখন বাকি সব শিল্পীদের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করবো। আমরা বাংলাদেশি এটাই আমাদের বড় পরিচয়।
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সামলোচিত নায়িকা পরীমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব। মনের ভাব একেবারে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করার জন্য ফেসবুকই তার সবচেয়ে নির্ভরতার জায়গা।
জীবনের ছোট বড় ঘটনা, দুঃখ বেদনার কথা, সুখস্মৃতি কিংবা প্রাপ্তির উদযাপন- সবটাই তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে ফলোয়ারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন। আর তার প্রতিটি পোস্ট নিয়েই বেশ আলোচনার জন্ম হয়। কারণ এই নায়িকার ফেসবুকে রয়েছে দেড় কোটি অনুসারী!
তেমনি একটি ফেসবুক পোস্ট আজ শেয়ার করেছেন এই নায়িকা। ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পরীকে দেখা যাচ্ছে ছবিতে। আর ক্যাপশনে তিনি যা লিখেছেন, তাতে যেন নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। কথাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে পরী কারও অপেক্ষায় বসে আছেন। সে না আসলে তার দিনগুলো যেন ধূসর, রঙহীন।
পরী ধার করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর কালজয়ী একটি গানের তিনটি লাইন। লিখেছেন, ‘তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি এখনো হয়নি/ তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝরে যায়নি / তুমি আসবে বলেই...’।
কিন্তু কার জন্য নায়িকার এ ব্যাকুলতা সেকথা তিনি উল্লেখ করেননি।
এদিকে, প্রথমবার কলকাতার ছবিতে কাজ করলেন পরীমনি। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত ‘ফেলুবকশী’ নামে সেই সিনেমার শুটিং গত সোমবার শেষ করেছেন তিনি।
কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘যে কোনো নতুন ছবি, নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন জায়গা, নতুন সহশিল্পী কিংবা নতুন পরিবেশে একধরনের আনন্দ নিয়েই কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে পারলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়। নতুন জায়গা হলেও আমরা একই ভাষাভাষীর। শুধু মাঝখানে একটা কাঁটাতারের দেয়াল। ফলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগেনি। প্রায় ১৪ দিন কাজ করলাম, পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়, আমরা বেশি আবেগপ্রবণ, তারা বেশি পেশাদার।’
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন গায়ক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে নিজেই অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন নিক। সঙ্গে জানালেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে তার। ফলে আগামী কয়েকটা কনসার্টে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। ভিডিওতে অনুরাগীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এই গায়ক।
ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে নিক জোনাস বলেন, ‘খুব একটা খুশির খবর দেব না আপনাদের। কেননা কয়েক দিন ধরে আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। গলা প্রচণ্ড ব্যথা। যত দিন এগোচ্ছে, গলার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। শরীরে জ্বর ও ব্যথা আছে। সত্যি খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে। তাই কনসার্ট আপাতত বাতিল করলাম।’
কয়েক মাস আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে মুম্বাই এসেছিলেন নিক জোনাস। মুম্বাইয়ের লোলাপালোজায় পারফর্ম করেছিল নিক ব্রাদার্স। পারফরম্যান্সে মেতে উঠেছিল গোটা মুম্বাই।
উল্লেখ্য, নিকের সঙ্গে ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান প্রিয়াঙ্কা। অল্প সময়েই প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নিক। বিয়ে করতে দেরি করেননি প্রিয়াঙ্কাও। ভারতে এসেই বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী। রাজস্থানের উমেদ ভবনে জমকালো আয়োজন হয়। সেখানেই হিন্দু ও খ্রিষ্টান রীতি মেনে নিককে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিয়াঙ্কা। ২০২২ সালে জন্ম হয় প্রিয়াঙ্কা ও নিক জোনাসের মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনাসের।
এর মধ্যে একাধিক হলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন। এই মুহূর্তে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ব্যস্ত আছেন ইলিয়া নাইশুলারের পরিচালনায় ‘হেডস অব স্টেট’ সিনেমা নিয়ে। সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ইদ্রিস এলবা ও জন সিনা। ফারহান আখতারের পরিচালনায় ক্যাটরিনা কাইফ ও আলিয়া ভাটের সঙ্গে ‘জি লে জারা’ সিনেমায়ও দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকে। এ ছাড়া এবারের অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া তথ্যচিত্র ‘টু কিল আ টাইগার’-এর নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
সম্মানজনক ‘দাদা সাহেব ফালকে উৎসব’-এ সেরা অভিনেত্রী মিথিলা
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
ভারতের ভারতের সম্মানজনক ‘দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর চতুর্দশ আসর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো সম্প্রতি। এবারের উৎসবটি বাংলাদেশিদের জন্য স্পেশ্যাল। কারণ এতে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
অনেকেই জানেন, তিনি এখন বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও নিয়মিত কাজ করছেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা ‘ও অভাগী’। কালজয়ী সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘অভাগীর স্বর্গ’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তীর। ছবিতে নাম ভূমিকাতেই অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আর সেই চরিত্রই তাকে এনে দিল এ পুরস্কার।
পুরস্কার পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মিথিলা। ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি পুরস্কার পেয়ে। আমার গোটা টিমকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে প্রযোজক এবং পরিচালককে সাধুবাদ জানাই।’
ও অভাগী সিনেমার পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং প্রযোজক ড. প্রবীর ভৌমিকও খুব খুশি। প্রবীর ভৌমিক গণমাধ্যমকে বলেন, মিথিলার এই পুরস্কারটি প্রাপ্য ছিল। ও এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য।
পরিচালক আগেই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যেকোনো লেখা পড়েই মনে হত যেন সিনেমা দেখছি। ‘ও অভাগী’ হল ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটির অ্যাডাপ্টেশন। মূল গল্পকে বিকৃত না-করে নতুন এবং ইউনিক কিছু তৈরি করা হয়েছে এই ছবিতে।
ছবিটি দেখে কলকাতার মেগাস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপধ্যায় বলেছিলেন, ‘শরৎচন্দ্র’র গল্প বড়পর্দাতে কখনোই ফেল করে না।’