আজ জিতলেই বাংলাদেশ ফাইনালে, হারলে বিদায় জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে অনুশীলনে ব্যস্ত টাইগাররা- ছবি: বিসিবি

কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে অনুশীলনে ব্যস্ত টাইগাররা- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সমীকরণটা পরিস্কার।

ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ ফাইনালে। আর জিম্বাবুয়ে হারলেই সিরিজ থেকে আউট। এমন হিসেব নিয়েই আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে উভয় দল।

এই ম্যাচে নামার আগে হিসেবের অঙ্কে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে। তিনজাতি টি- টোয়েন্টি সিরিজের ঢাকা পর্বে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারিয়েছিলো জিম্বাবুয়েকে। সিরিজে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচের দুটিতে জিতে একমাত্র অপরাজিত দল আফগানিস্তান। আর বাংলাদেশ দুই ম্যাচের একটিতে জয় এবং একটি হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। টানা দুই ম্যাচ হেরে জিম্বাবুয়ে এখন একেবারে খাদের কিনারায়। আজ হারলেই সিরিজ থেকে ছুটি।

 শেষ ম্যাচটা তখন তাদের কেবলই আনুষ্ঠানিকতা হবে।

সিরিজে পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে থাকলেও একটা বিষয়ে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে বেশ মিল। উভয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মুখ আঁধার! পারফরমেন্সই যে নেই। দুই দলের সিনিয়র পাঁচ ব্যাটসম্যান যেন একই সুরে গাইছেন-‘উই আর ইন সেম বোট, ব্রাদার!’

সিনিয়রদের এভাবে হঠাৎ করে নিস্প্রভ পারফরমেন্স বাংলাদেশ দলের সমস্যা ক্রমশ বাড়াচ্ছে। অনুশীলনে বাড়তি ঘাম ঝরছে। নেটে প্রশিক্ষনের সময়ও বাড়ছে। একে অন্যের সঙ্গে শলা-পরামর্শও করছেন। কিন্তু তারপরও মাঠের খেলায় সেটা অনুদিত হচ্ছে না। করতে পারছেন না।

অধিনায়ক সাকিব ঠিকই বলেছেন-‘চেষ্টার কেউ কমতি রেখেছে তা আমি বলবো না। কারণ যার যা করার উচিত ছিলো সবাই অনুশীলনে সেই চেষ্টা করেছে। তবে ম্যাচে সেই চেষ্টা এক্সিকিউট করাটা আসল কাজ। ওটাই আসল জায়গা। ওই আসল জায়গায় পারফর্ম করাই আসলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন পরিশ্রম কারো নজরে আসবে না, যদি না মাঠে সেই খেলোয়াড় পারফর্ম করে। আমিও যদি বিশ্বকাপে ভাল পারফর্ম না করতাম তাহলে আমার কঠিন পরিশ্রম নিয়ে কথা হত না। কঠিন পরিশ্রমের বিষয়টাকে আমরা যেন জায়গা মতো প্রমাণ করতে পারি সেটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’


টেস্ট সিরিজে হয়নি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও সিনিয়ররা ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে পারেননি। আজ কি সেই ব্যর্থতা ঘুচবে? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিনিয়রদের এই সমস্যার সমাধানও চায় বাংলাদেশ।

ওপেনিং জুটিতে আজও একটা বদল আসছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে দলে নতুন ডাক পাওয়া মোহাম্মদ নাঈমকে দেখা যেতে পারে ওপেনিংয়ে। চট্টগ্রাম পর্বে দলে পেস বোলিং বিভাগে শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনকে দেখা গেলে জিম্বাবুযের বিপক্ষে আজ বুধবারের ম্যাচে তাদের একাদশে থাকার তেমন সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গলবার দুপুরে দলের অনুশীলনে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েন মোসাদ্দেক। ফিটনেসে কোনো সমস্যা না থাকলে আজ খেলছেন তিনি। মোসাদ্দেক খেলতে না পারলে বিকল্প হিসেবে দলে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের খোঁজে জিম্বাবুয়েও এই ম্যাচের একাদশে বদল নিয়েই নামার পরিকল্পনা করছে। ঢাকা পর্বে রায়ান বার্ল নামের এক অলরাউন্ডার ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশকে চমকে দিয়েছিলেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বার্লকেও আজকের ম্যাচে ‘বিপদজনক’ তালিকায় রাখছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে নামার আগে আজকের ম্যাচে ফাইনালে উঠার টিকিট এবং খুঁইয়ে বসা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে চায় বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

   

মুস্তাফিজের পর পাথিরানাকেও হারাল চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলের অন্যতম সেরা এই পেসারকে হারানোর পর লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানাকে ঘিরে আশা ছিল তাদের। আইপিএলের বাকি অংশ তুরুরাজ গায়কোয়াড়েড় দলের তুরুপের তাস হতে পারতেন এই গতিতারকা। কিন্তু কীসের কী! হ্যামস্ট্রিং চোটে যে আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলে এই লঙ্কান পেসার।

ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, চোট থেকে সেরে উঠতে শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেছেন পাথিরানা। গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন এই পেসার, সেজন্য আইপিএলে চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচটিও মিস করেছিলেন।

বোলিং বিভাগ নিয়ে এবার বেশ ভাবনাতেই পড়তে হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইকে। একদিকে মুস্তাফিজ এবং পাথিরানাকে হারিয়েছে দলটি, অন্যদিকে দলের মূল ভারতীয় পেসার দীপক চাহারও চোট নিয়ে এখন মাঠের বাইরে। দলের একমাত্র বিদেশি পেসার হিসেবে আজ (রবিবার) পাঞ্জাবের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৩৬ বয়সী রিচার্ড গ্লিসনকে খেলাচ্ছে তারা। ভারতীয় আরেক পেসার তুষার দেশপান্ডে চোট থেকে সেরে উঠে এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরেছেন।

১০ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন আইপিএলের পয়েন্টে টেবিলের পাঁচ নম্বর স্থান দখল করে আছে চেন্নাই। প্লে-অফের টিকিট পেতে শেষ চারটি ম্যাচ তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সে সময়ই বোলিং বিভাগে একের পর এক দুঃসংবাদ চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে।

;

২২ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ইপসউইচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে যখন ইংলিশ প্রথম বিভাগ ফুটবল প্রিমিয়ার লিগের মোড়কে হাজির হয়, তখন ইপসউইচ টাউন প্রিমিয়ার লিগে খেলত। তবে এরপর দুইবার লিগ থেকে অবনমিত হতে হয় তাদের। সর্বশেষ ২০০১-০২ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলে তারা। ২২ বছর পর আবার প্রিমিয়ার লিগের দেখা পেয়েছে ‘ট্র্যাক্টর বয়েজ’ খ্যাত ক্লাবটি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) হাডার্সফিল্ড টাউনকে ২-০ গোলে হারিয়ে এবারের ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ বা ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের টিকিট কাটে তারা। এর আগে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত লেস্টার সিটি প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার যোগ্যতা অর্জন করে।

চ্যাম্পিয়নশিপে ৯৭ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লেস্টারের চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নিয়েছে ইপসউইচ। চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দলকে এখন  প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্লে-অফ টুর্নামেন্টে খেলতে হবে। সে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন তৃতীয় দল হিসেবে পাবে প্রিমিয়ার লিগের টিকিট।

কোচ নর্দার্ন আইরিশ কোচ কিয়েরান ম্যাককেনার অধীনে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে ইপসউইচ। ২০২১ সালে ক্লাবের দায়িত্ব নেয়া ম্যাককেনার অধীনে গত মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের তৃতীয় বিভাগ লিগ ওয়ান থেকে চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তীর্ণ। এবার ব্যাক-টু-ব্যাক প্রমোশন পেয়ে তারা পৌঁছে গেল প্রিমিয়ার লিগে।

;

মেসি-সুয়ারেজ জুটির তাণ্ডবে মায়ামির গোল বন্যা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ মার্চ নিউইয়র্ক রেড বুলসের মাঠে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই নেমেছিল ইন্টার মায়ামি। সেদিন মায়ামিকে এক হালি গোল হজম করিয়ে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এবার নিজেদের মাঠে সেই হারেরই যেন প্রতিশোধ নিল ইন্টার মায়ামি। লুইস সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক এবং লিওনেল মেসির রেকর্ড পাঁচ অ্যাসিস্টের রাতে নিউইয়র্ক রেড বুলসকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে ফ্লোরিডার দলটি।

এদিন মায়ামির মাঠে যেন বার্সেলোনার আগের সেই অপ্রতিরোধ্য মেসি-সুয়ারেজ জুটির ঝলক দেখল ফুটবল বিশ্ব। প্রথমার্ধে বেশ চাপেই ছিল ইন্টার মায়ামি, এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। তবে বিরতির পর যেন বিধ্বংসী এক দলের দেখা পেল ইন্টার মায়ামির সমর্থকরা।

মেসির অ্যাসিস্ট থেকে ৪৮ ও ৬২তম মিনিটে দলের হয়ে গোল করেন মাতিয়াস রোজাস। পুরোনো বন্ধু লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে ম্যাচে নিজের একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি। এরপরই শুরু হয় মেসির জাদু। মেসি-সুয়ারেজের এই তাণ্ডবের জন্য প্রস্তুত ছিল না রেড বুলসের ডিফেন্ডাররা।

৬৮, ৭৫ ও ৮১তম মিনিটে সুয়ারেজকে দিয়ে গোল আদায় করান মেসি। মায়ামির হয়ে এটিই ছিল সুয়ারেজের প্রথম হ্যাটট্রিক। সুয়ারেজের এই রেকর্ডের রাতে রেকর্ড গড়েন তার প্রিয় বন্ধু মেসিও। এই ম্যাচে মায়ামির ছয় গোলের পাঁচটিতেই অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি অ্যাসিস্টের বিরল রেকর্ড গড়লেন বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন।

চলতি মৌসুমে লিগে ৮ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন মেসি, সঙ্গে অ্যাসিস্ট মোট ১২টি।  বিশাল ব্যবধানের এই জয়ের পর মেজর লিগের ইস্টার্ন কনফারেন্স শীর্ষেই আছে মায়ামি, ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট তাদের।

;

রোনালদোর হ্যাটট্রিকে বড় জয় আল নাসরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়সের সঙ্গে যেন পারফরম্যান্সটা আরও ধারালো হয়ে উঠছে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। আল নাসরের হয়ে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। গতরাতে আরও একটি হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন এই ফরোয়ার্ড। সৌদি লিগে সাত ম্যাচের তিনটিতেই হ্যাটট্রিক আদায় করলেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।

গতরাতে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল ওয়েহদার বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে রোনালদোর দল আল নাসর। যেখানে তার হ্যাটট্রিক ছাড়াও বাকি তিনটি গোল করেন ওতাভিও, সাদিও মানে ও মোহাম্মদ আল-ফাতিল।

এদিন ঘরের মাঠে শুরুতেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। পরে দ্বাদশ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান। প্রথমার্ধেই চার গোলে এগিয়ে যায় আল নাসর। বিরতির পর আরও এক গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রোনালদো। শেষে আল-ফাতিলের গোলের মাধ্যমে বিশাল জয় পায় স্বাগতিকরা। 

চলতি মৌসুমে মোট চারটি হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন রোনালদো। এছাড়াও ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এই মহাতারকার মোট গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২টি। এদিকে আল নাসরের হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি হ্যাটট্রিক করেছেন রোনালদো। তার ২২ বছরের ক্যারিয়ারের ৬৬তম হ্যাটট্রিক ছিল এটি। 

২৭ ম্যাচ ৩২ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষে আছেন রোনালদো। বড় ব্যবধানের এই জয়ের পর ৩০ ম্যাচে আল নাসরের পয়েন্ট ৭৪। এদিকে এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা আল হিলালের পয়েন্ট ৮৩।

;