জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী এফবিসিসিআইয়ের টিম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই)একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।

বৃহস্পতিবার (১৯সেপ্টেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্ব প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ছেড়েছেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের অধিবেশন ও অন্যান্য অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন।

ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের বাকি সদস্যরা হলেন-এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ, সহ-সভাপতি হাসিনা নেওয়াজ, রেজাউল করিম রেজনু, দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, সিদ্দিকুর রহমান, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিজাম উদ্দিন রাজেশ।

পরিচালকরা হলেন- সুজিব রঞ্জন দাস, প্রবীরকুমারসাহা, আবু মোতালেব, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, শফিকুল ইসলাম ভরসা, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কে. এম আক্তারুজ্জামান, এস. এম জাহাঙ্গীর হোসেন,আতাউর রহমান ভূইয়া, নাজফারহানা আহমেদ, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, শমী কায়সার, সালাউদ্দিন আলমগীর, হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান, খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, ড. কাজী এরতেজা হাসান, হাসানুজ্জামান,  মেহেদীআলী, মুনির হোসেন, মোহাম্মদ আলী খোকন, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, ফেরদৌসওয়াহেদ, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

এছাড়াও এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক, ঢাকা চেম্বার অবকমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ওসামাতাসের, রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

ব্যবসায়ীরা প্রথমে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত ‘recognizing political leadership for immunization coverage: a success of Bangladesh’ বিষয়ক সভায় অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।

এরপরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআই সভাপতি Burson Cohn & Wolfe (BCW)-এর সঙ্গে এক সভায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর এদিন এফবিসিসিআই সভাপতির নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও তারা Bangladesh American Business Alliance (BABA)-এর আয়োজনে এক বিজনেস ডায়ালগে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আমেরিকান বাংলাদেশি বিজনেস এলায়েন্স আয়োজিত ‘11th Annual Business Summit 2019’এ অংশ নেবে ব্যবসায়ীদল।

২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ইউএস চেম্বার অব কমার্স নেতৃবৃন্দের আয়োজিত এক সভায় উপস্থিত থাকবেন ব্যবসায়িরা। একই দিন ‘US-Bangladesh Trade & Investment: Role of Bangladeshi Americans’ বিষয়ক সেমিনারে অংশ নেবেন ব্যবসায়িরা।

২৭ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িরা ‘Sustainable Universal Health Coverage ComprehensivePrimary Care inclusive of Mental Health & Disabilities coverage: a success ofBangladesh’ বিষয়ক সভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও ব্যবসায়িরা Non Resident of Bangladesh Immigrant Day (NRB Day)& Bangladesh Trade Fair 2019এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

২৮ সেপ্টেম্বর  প্রধানমন্ত্রী সম্মানে ইউনাইটেড স্টেটস আওয়ামী লীগের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্যবসায়িরা। Non Resident of Bangladesh Immigrant Day (NRB Day)& Bangladesh Trade Fair 2019উপলক্ষে আয়োজিত ‘Impact of Proposed US Tariff on China andopportunities for Bangladesh RMG sector for expansion” এবং “Legal Remittance Flow and Safe Investmentin Bangladesh” বিষয়ক দুটি সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

সফর শেষে প্রতিনিধিদল ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

   

৩২ বিলিয়ন ডলার লোকসানেও কেন টিকে আছে বোয়িং!



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৩২ বিলিয়ন ডলার লোকসানেও কেন টিকে আছে বোয়িং!

৩২ বিলিয়ন ডলার লোকসানেও কেন টিকে আছে বোয়িং!

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই অনুকূলে আসছে না বিশ্বখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের। একের পর এক দুর্ঘটনায় নাকাল প্রতিষ্ঠানটি ভাবমূর্তি যেমন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তেমনি আর্থিক অবস্থায় শোচনীয় পর্যায়ে গিয়েছে।

এক একটি দূর্ঘটনার পর বোয়িংকে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান দিয়েছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বোয়িং না হয়ে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এই লোকসানে পড়তো তাহলে ওই কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যেতো। বোয়িং বলেই এটি এখনো টিকে আছে।

সূত্র বলছে, এই পরিমান লোকসান সত্বেও বোয়িংয়ের ৫,৬০০টি উড়োজাহাজ বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারেনি, যার আর্থিক মূল্য ৫২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এত বিপুল সংখ্যক উড়োজাহাজের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন বোয়িং উড়োজাহাজ নির্মাণ কমিয়ে দিয়েছে। সমস্যা তাহলে কোথায়? খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, উড়োজাহাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতেই তারা এই সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র লাভের জন্য তারা ইচ্ছেমতো উড়োজাহাজ নির্মাণের দিকে নজর দিচ্ছে না।

মার্কিন অ্যারোস্পেস বিশেষজ্ঞ রন ইপেস্টিন বলেন, এই অবস্থা চিরদিনের জন্য চলতে পারে না। কারণ তাদের সামান্য বিচ্যুতি রয়েছে। কিন্তু এজন্য তারা আগামীকাল নতুন করে সমস্যায় পড়তে চাইছে না।

ঋণে নিমজ্জিত বোয়িং: 

বোয়িং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মুনাফার থেকে নিরাপত্তা ও গুণগত মানের দিকে বেশি মনোনিবেশ করছে। যেমন নাটবল্টু হয়তো নাই – এমন সব বিষয়ে সতর্ক থাকছি। কারণ এ ধরনের নাটবল্টু যদি না থাকে তাহলে আকাশে উড়োজাহাজের কাঠামো খুলে যেতে পারে। যেমনটি আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে ঘটেছিল গত জানুয়ারিতে। 

বোয়িংয়ের সদ্য বিদায়ী সিইও ডেভ ক্যালহাউন বলছেন, বোয়িংয়ের আর্থিক অবস্থা যতটা খারাপ মনে হচ্ছে ততটা নয়। বরং আমাদেও কাছে এটি বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদেও কর্মী ও স্টেকহোল্ডাররা বোয়িংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা আশাবাদী হচ্ছে। বরং আমাদেও পোর্টফোলিও জুড়ে চহিদা অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী রয়েছে। আমাদেও কর্মীরা বিশ্বমানের। আমাদেও সামনে অনেক কাজ আছে। তবে আমাদেও কর্মীদেও নিয়ে আমরা গর্বিত এবং আমাদেও ভবিষ্যতের ব্যাপাওে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী।

তার মানে এই না যে, বোয়িং তার সমস্যাগুলোর বিষয়ে সিরিয়াস না। গুণমান ও নিরাপত্তার বিষয়টি আকাশপথে ভ্রমণকারীদের আস্থা নষ্ট করেছে। তাছাড়া আলাস্কা এয়ারলাইন্সের ওই ঘটনার আগে ও পরেও বোয়িংয়ের অর্ডারের পতন হয়। কারণ বোয়িং প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার ও ২০১৯ সালে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন যাত্রী নিহত হন। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা সব থেকে বেশি বিক্রিত উড়োজাহাজটিকে ২০ মাস গ্রাউন্ডেড করে রাখতে হয়েছে। ম্যাক্স ৭৩৭ দুর্ঘটনার পর ২০১৮ সালের শেষে বোয়িংয়ের ঋণের পরিমান ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

যেখানে বোয়িং এগিয়ে: 

বোয়িং কোম্পানির দুটি সুবিধা রয়েছে, যা অন্য কোম্পানিগুলোর নেই। প্রথম, কোম্পানিটির সব গ্রাহক যদি বোয়িং থেকে এয়ারবাসে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও এয়ারবাসের ৮,০০০ এর বেশি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের অর্ডার রয়েছে এবং এ বছর প্রায় ৮০০টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করার টার্গেট করেছে তারা। তার মানে যেসব এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের অর্ডার দিয়েছে তা বাতিল করার সম্ভাবনা নেই। যদি নতুন কোনো উড়োজাহাজ নির্মাতা এই ব্যবসায় শুরু করতে চায়, তবে তাদের একটি প্রতিযোগী মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে আসতে কয়েক বছর এবং বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ লাগবে।

এয়ারলাইন্সের বৈমানিকেরা শুধুমাত্র একটি সুনির্দিষ্ট মডেলের উড়োজাহাজ উড়ানোর জন্য সার্টিফিকেট পান। তারা চাইলেই প্রতিযোগী মডেলের কোনো উড়োজাহাজে সুইচ করতে পারেন না। এছাড়াও এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজের পরিষেসা নিশ্চিত করতে খুচরা যন্ত্রাংশের সরবরাহ সরবরাহ রাখতে হবে। তাই একবার একটি এয়ারলাইন্স ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ বেছে নিলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য মডেলে যাওয়া খুবই ব্যয়বহুল।

তবে অন্য একটি দিকও রয়েছে। বোয়িং তার সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে না পারলে এয়ারবাসের নেতৃত্ব স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। তাহলে বোয়িংকে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

;

সোনার দাম বাড়ল ভরিতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বাড়ায়, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর বুধবার (৮ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, টানা ৮ দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২২৫ টাকা কমানো হয়। পরে তিন দফায় বাড়ানো হলো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।

;

ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট প্লাজায় হাইসেন্স এসি, টিভিতে বিকাশ পেমেন্টে ছাড়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিকাশ পেমেন্টে ছাড়

বিকাশ পেমেন্টে ছাড়

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বখ্যাত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হাইসেন্স-এর বাংলাদেশে উৎপাদক এবং পরিবেশক ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের স্মার্ট প্লাজায় এসি ও টিভি কিনে ন্যূনতম ১০,০০০ টাকার পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা রেগুলার ডিসকাউন্টের ওপর আরও ১,০০০ টাকা ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন। ৩১ মে পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক ইনভয়েস প্রতি একবার করে ডিসকাউন্টটি উপভোগ করতে পারবেন।

বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে ও ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে পেমেন্ট করতে পারবেন গ্রাহকরা। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/offer-at-fair-electronics লিংকটিতে।

;

ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ’ কর্মশালা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরকারের ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা এবং এ কার্যক্রমে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা। ওয়ালটন হাই-টেক পার্কের শতাধিক কর্মকর্তা এ কর্মশালায় অংশ নেন।

‘সুখে ভরবে আগামি দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এই স্লোগানে সোমবার (৬ মে) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈরের ইউএনও কাউছার আহম্মেদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস।

অতিথিরা ওয়ালটন কমপ্লেক্সে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) প্রকৌশলী লিয়াকত আলী এবং ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। এর মাধ্যমে সরকারি চাকুরীজীবী ছাড়াও দেশের সকল নাগরিক পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। পেনশনে মোট ৪টি প্যাকেজ বা স্কিম ঘোষণা করেছে সরকার। এগুলোর নাম দেয়া হয়েছে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা।

কর্মশালায় জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফল এই স্কিম। নাগরিকদের সুবধিার্থেই পেনশনের স্কিমগুলো ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি যত আগে স্কিমে যুক্ত হবেন; তিনি ততো বেশি সুবিধাভোগি হবেন। আমরা আশা করি দল-মত নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিক এই পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন। এতে উপকৃত হবেন সবাই। এ সময় তিনি পেনশন স্কিমের ওপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।

কর্মশালায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ওয়ালটনের অনেক কর্মকর্তা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সঙ্গে যুক্ত হন। রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের হাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রিন্ট কপি তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেন, সরকারের এই পেনশন স্কিম উদ্যোগ আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি সময়োপযোগি দারুণ এক সিদ্ধান্ত। আমরা এই পেনশন স্কিমকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই স্কিম জনমানুষের উপকারে আসবে। জনগণ নিজ দায়িত্বে এই উদ্যোগে সাড়া দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। সরকারের পাশাপাশি ওয়ালটনও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

সন্ধ্যায় অতিথিরা পর্যায়ক্রমে ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি, মোল্ড এন্ড ডাই ইত্যাদি উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সেও বিশাল উৎপাদন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত হন।

;