পাকিস্তানে পোলিও রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে
পাকিস্তানে পোলিও রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ রোগে আক্রান্ত দু’জনকে শনাক্ত করার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন সিন্ধ এবং অন্যজন বেলুচিস্তানে। এ নিয়ে ২০১৯ সালে পাকিস্তানে ৭২ জন পোলিও রোগী পাওয়া গেছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সিন্ধে পোলিও জরুরি অপারেশন সেন্টার নিশ্চিত করেছে যে ওড়ঙ্গি পাড়ায় এক পোলিও রোগী পাওয়া গেছে। এ বছর করাচিতে ১৭ মাসের একটি মেয়ে শিশুর পোলিও শনাক্ত করা হয়েছে। এখানে এ বছর তাকে নিয়ে চারজন রোগী পাওয়া গেল। এ প্রদেশের বাকিরা হায়দ্রাবাদ থেকে দু’জন এবং জামশোরো ও লারকানা জেলা থেকে একজন করে
শনাক্ত হয়েছেন।
কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিন্ধে গত বছর কেবল একজন রোগী পাওয়ার রেকর্ড ছিল। চলতি বছর পাকিস্তান জুড়ে ৭২ জন পোলিও আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৫৩ জন, সিন্ধে আটজন, বালুচিস্তানে ছয়জন এবং পাঞ্জাবে পাঁচজন শনাক্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের মার্চে বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ১১টি দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে। একটি অঞ্চলকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হয়, কোনো দেশকে নয়। পোলিওমুক্ত ঘোষণার জন্য একটি অঞ্চলের প্রতিটি সদস্য দেশকে পর পর তিন বছর পোলিওমুক্ত থাকতে হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অন্য দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, উত্তর কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিমুর লেসতে ও মিয়ানমার।
আমেরিকা অঞ্চলকে ১৯৯৪ সালে, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলকে ২০০০ সালে ও ইউরোপকে ২০০২ সালে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তিনটি দেশে পোলিও আছে। এ দেশ তিনটি হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নাইজেরিয়া।
পাকিস্তানে ১৯৮৮ সালের পর থেকে পোলিওর প্রকোপ কমেছে ৯৯ শতাংশেরও বেশি। ১৯৮৮ সালে যেখানে
সাড়ে তিন লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন, সেখানে ২০১৫ সালে ৫৪ জন এবং ২০১৬ সালে ১৯ জন এ রোগী পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশা করছিল, ২০১৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান থেকে পোলিও নির্মূল সম্ভব হবে। কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।