কানাডার জাতীয় নির্বাচন

দলীয় গরিষ্ঠতা নয়, ঝুলন্ত সংসদের সম্ভাবনা



সৈকত রুশদী, টরন্টো থেকে
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে জরিপ

কানাডার জাতীয় নির্বাচনে জরিপ

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের নিম্ন কক্ষ 'হাউস অব কমন্সে'র নির্বাচন আজ সোমবার (২১ অক্টোবর)।

৩৩৮ আসনের কমন্সসভায় বর্তমানে ১৭৭ আসনের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির। বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির আসন ৯৫টি।

কিন্তু ভোট গ্রহণের আগের দিন রোববার প্রকাশিত শেষ মুহূর্তের একাধিক জরিপের ফলাফলে কোনো দলেরই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি ঠিক কোন দল বেশিসংখ্যক আসনে জয়ী হবে এবং সরকার গঠন করবে তা' আগাম বলা সম্ভব নয়।

প্রায় সুস্পষ্ট যে ঝুলন্ত সংসদ হতে যাচ্ছে কানাডার ৪৩তম কমন্সসভা।

একাধিক জরিপের ফলাফলে কোনো দলেরই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না

রোববার প্রভাবশালী সাপ্তাহিকী 'ম্যাকলিন'স'-এর জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের সমর্থনের দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি (৩২.২%) সাবেক স্পিকার এন্ড্রু শিয়রের কনজারভেটিভ পার্টির (৩১.৬%) চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে ব্যবধান এক শতাংশের (০.৬০%) কম।

সমর্থনের ক্ষেত্রে তৃতীয় মধ্য-বাম ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি (১৮%), আর চতুর্থ পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি (৭.৭০%)।

প্রায় নির্ভুল জরিপের জন্য খ্যাত ন্যানোস্ রোববার যে জরিপ প্রকাশ করেছে, এতে বর্তমান বিরোধী দল মধ্য-ডান রক্ষণশীল কনজারভেটিভ পার্টি (২৩.৫%) ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির (৩১.৭%) চেয়ে এক শতাংশের কম (০.৮০%) ব্যবধানে এগিয়ে গেছে।

তৃতীয় স্থানে এনডিপি (২০.৮%), চতুর্থ ফরাসিভাষী প্রদেশ ক্যুইবেক ভিত্তিক ব্লক ক্যুইবেকোয়া (৭.২%), পঞ্চম গ্রিন পার্টি (৬%) ও সপ্তম নবাগত রক্ষণশীল পিপলস পার্টি (১.৫%)।

কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে তৃতীয় দল এনডিপি'র সমর্থন নিয়ে লিবারেল পার্টি বা কনজারভেটিভ পার্টির একক অথবা কোয়ালিশন সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশ জোরেসোরেই আলোচনা হচ্ছে কয়েকদিন ধরে।

প্রায় সুস্পষ্ট যে ঝুলন্ত সংসদ হতে যাচ্ছে কানাডার ৪৩তম কমন্সসভা

লিবারেল পার্টি বা এনডিপি কোয়ালিশন গঠনের পক্ষে সরাসরি মত না দিলেও সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়েও দেয়নি। আর কনজারভেটিভ পার্টি কোয়ালিশনের ধারণাটি কানাডার সাংবিধানিক প্রথার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে দাবি করে আসছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিবারেল পার্টির সরকার গঠন করার চার বছর পরও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কানাডার ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বেশি আকাঙ্খিত ৩০.৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে।

এরপর রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির এন্ড্রু শিয়র (২৬.৪%), এনডিপির শিখ নেতা জাগমিত শিং (১৯.৭%), গ্রিন পার্টির নেত্রী এলিজাবেথ মে (৪.৬%), ব্লক ক্যুইবেকোয়া নেতা ইভ্স ফ্রাঁসোয়া ব্লাশে (৪.১%), পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ের (১.৫%) এবং মন স্থির করেননি এমন ভোটার ১৩.২ শতাংশ।

কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওর ১২১ টি ও ক্যুইবেকের ৭৮টি আসন এবারের নির্বাচনে সরকার গঠনে নির্ণায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ মোট ২ কোটি ৭৪ লাখ ভোটারের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ ভোটার ইতোমধ্যেই আগাম ভোটের চার দিনে ভোট প্রদান করেছেন।

ভোটাররা আজ ২০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। আর তিন লাখের বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ করবেন।

আঠারো বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের কানাডীয় নাগরিকদের প্রত্যেকেই ভোটার। তালিকায় নাম না থাকলে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র নিয়ে ভোটের দিনও ভোটার হিসেবে নাম তালিকাভুক্ত করে ভোট প্রদান করতে পারবেন।

কানাডার সংসদের উচ্চ কক্ষ সিনেটের আসন সংখ্যা ১০৫। নির্বাচনের পরিবর্তে মনোনয়নের মাধ্যমে এসকল আসনে সদস্য নির্ধারণ করা হয়।

   

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে হামাসের ‘হ্যা’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে জানানো হয়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও একই কথা জানিয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।

এদিকে যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৭৩৭ জন নিহত এবং ৭৮ হাজার ১০৮ জন আহত হয়েছে। আর ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১৩৯ জন।

;

রাফাহ ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিশর সীমান্তবর্তী গাজার  দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় স্থল অভিযান চালানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলি অভিযান সত্ত্বেও রাফাহ ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনআরডব্লিউএ এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে- ইসরায়েল রাফাহতে অভিযান চালালেও সেখান থেকে সরে যাবে না ইউএনআরডব্লিউএ। 

সংস্থাটি জানায়, রাফাহতে অভিযান চালানো হলে তা বেসামরিক লোকদের জন্য দুর্ভোগ ডেকে আনবে। এতে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে।

সংস্থাটি আরও জানায়, যতদিন সম্ভব ইউএনআরডব্লিউএ রাফাহতে নিজেদের উপস্থিতি বজায় রাখবে। ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

;

পশ্চিমাদের হুমকির পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিল রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী সামরিক সমর্থনের হুমকির কয়েক দিন পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া বলছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলন করতে এ মহড়া দেওয়া হবে।

সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালযয়ের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমা এবং ন্যাটো-সদস্য দেশগুলির উস্কানিমূলক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ার কারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক মহড়া ও সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমা কিছু কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি এবং হুমকির পরে প্রস্তুতি বাড়াতে ... যুদ্ধের কাজগুলি পূরণ করার উদ্দেশ্যে অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি এবং স্থাপনার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ সামরিক জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র গঠন এবং নৌ বাহিনী মহড়ায় অংশ নেবে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে বলেন, কিয়েভ ব্যাকআপের অনুরোধ করলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। একদিন পরে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা উভয় বিবৃতির নিন্দা করেছেন এবং সতর্ক করে মস্কো এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে। মস্কো দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছে যে সামরিক জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধে তাদের সৈন্য পাঠালে ন্যাটোর সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান বাহিনী প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলি এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিলেওরাশিয়ার পারমাণবিক ভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি। দেশ দুটির কাছে বিশ্বের ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি রয়েছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পর চীনের কাছে তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

;

রাফাহ ছাড়ার নির্দেশ ইসরায়েলের, হামলা হবে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের শহরটির একটি অংশ খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। 

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফের এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা বেসামরিক মানুষদের নিকটস্থ সুনির্দিষ্ট ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যেতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। 

তবে পূর্বেঘোষিত ‘ব্যাপক পরিসরের স্থল অভিযানের’ প্রস্তুতি হিসেবে মানুষজনকে রাফাহর একাংশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে কি না, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত নয়। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চরম শক্তি প্রয়োগ করতে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজা উপত্যকার রাফায় লাখ লাখ উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের দাবি, রাফায় হামাসের অসংখ্য যোদ্ধা রয়েছে। তাদের নির্মূল করতে শহরটিতে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। 

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিশরের কায়রোয় শান্তি আলোচনা চলছে। এর মধ্য রাফাহ খালি করার নির্দেশনায় চলমান শান্তি আলোচনা এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।

;