বায়রা লাইফে অবৈধ উদ্যোক্তা-পরিচালক



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই শতাংশ শেয়ার ধারণ না করেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে উদ্যোক্তা-পরিচালক পদে বহাল থাকার পাশাপাশি লাইফ ফান্ডের বিনিয়োগেও অনিয়ম করছে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া হাজার হাজার বিমা দাবি পরিশোধ না করা এবং শেয়ারহোল্ডারদের টাকা লোপাট করছে কোম্পানিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমা আইন ২০১৩ অনুসারে বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের নূন্যতম দুই শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। বায়রা লাইফের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ লাখ ২১ হাজার ৬০০টি। আর সেখানে কোম্পানির ছয়জন পরিচালকের দুই শতাংশ শেয়ার নেই।

এদের মধ্যে পরিচালক মীর মারফত উল্লাহর এক দশমিক ২৪ শতাংশ, ফজলে আকবর চৌধুরীর এক দশমিক ৫৯ শতাংশ, আবুল বারাকাত ভুঁইয়ার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ, অলিউল্লাহর দশমিক ৫৯ শতাংশ, সিরাজ মিয়ার দশমিক ১১ শতাংশ এবং নাছির উদ্দিনের এক দশমকি ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

শুধু তাই নয়, ১২ জন উদ্যোক্তা-পরিচালকের জায়গায় অবৈধভাবে ১৮ জন পরিচালক হিসেবে বহাল রয়েছেন। অর্থাৎ ছয়জন শেয়ার গ্রহীতা পরিচালকের জায়গায় উদ্যোক্তা-পরিচালক রয়েছেন। এছাড়াও দু’জন নিরপেক্ষ পরিচালক এবং চারজন উপদেষ্টা পরিচালক রয়েছেন। অথচ বিমা আইন ২০১০ এর ৭৬ ধারার অনুসারে পর্ষদে মোট ২০ জন পরিচালক থাকার বিধান রয়েছে। অর্থাৎ বিমা আইন লঙ্ঘন হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৬৬২৭ গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধ করছে না বায়রা লাইফ

মূলধন ও শেয়ার ধারণ বিধিমালা ২০১৬ এর উপবিধি তিন অনুযায়ী কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ৪০ ধাপ নিবন্ধনের দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর পর‌্যন্ত জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু কোম্পানিটি ২০০০ সালে বিমা ব্যবসার নিবন্ধন দেওয়ার পর থেকে এখনও পরিশোধিত মূলধন বাড়ায়নি। এছাড়া তিন বছরের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে আসার বিধান রয়েছে, কিন্তু আসেনি। জরিমানাও দিচ্ছে না।

বিমা আইনের ১৯৩৮ এর ২৭ ধারা এবং বিমা বিধিমালা ১৯৫৮ এর বিধির ১০ এ অনুসারে লাইফ ফান্ডের ৩০ শতাংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটি বিনিয়োগ করছে ৩০ শতাংশের নিচে। বিমা আইন ও বিধিমালা মানছে না। শুধু তাই নয়, বিমা বিধিমালা ১৯৫৮ এর ১০এ বিধান অনুসারে সরকারি সিকিউরিটিজ ব্যতীত অন্যান্য খাতে ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ করার বিধান থাকলেও তা পূরণ করা হয়নি। যা বিমা আইন ও বিধিমালার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। এতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিয়মাণ হয়।

Baira
বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচলনা পর্ষদ, ছবি: সংগৃহীত


সার্বিক বিষয়ে আইডিআরএ’র সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিমা দাবি পূরণ না করা, অবৈধভাবে পরিচালক পদে থাকাসহ বেশ কিছু বিষয়ে অনিয়মের বেশকিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

মোবাইল ফোনে বায়রা লাইফের ভারপ্রাপ্ত এমডি ওমর ফারুক ভূইয়ার সঙ্গে একাধিকরার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা হয়েছে। এগুলোর সমাধানের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: গ্রাহকের ৫০ কোটি টাকা লোপাট করেছে বায়রা লাইফ

উল্লেখ্য, সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও নোয়াখালীর ছয় হাজার ৬২৭ জন গ্রাহকদের বিমা দাবি পরিশোধ করছে না বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২২ কোটি সাত লাখ টাকা। উল্টো অবৈধ ব্যয় দেখিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকাও লোপাট করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের এ টাকায় চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহীসহ কর্মকর্তারা দামি ‘লেক্সাস গাড়ি’ ব্যবহারসহ বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন।

   

নগদ ইসলামিকে লেনদেন করে মক্কা-মদিনা যাচ্ছেন মুন্না



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ ইসলামিকে লেনদেন করে মক্কা-মদিনা সফরের জন্য প্রথম উপহার বিজয়ী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের মোহাম্মদ মুন্না। ব্যাংক থেকে নগদ ইসলামিকে অ্যাড মানি করে এই উপহারজয়ী হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি মুন্নার বাড়ির সামনে তাঁর হাতে এই উপহারের কাগজপত্র তুলে দেন হলি টিউন-এর সিইও ইসলামি ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

যাত্রা শুরুর পর থেকেই নগদ ইসলামিক নানারকম আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন এনেছে ইসলামপ্রিয় মানুষের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পবিত্র রমজান মাসে মক্কা-মদিনা সফরের এই ক্যাম্পেইন আনা হয়। নগদ ইসলামিক অ্যাপ বা *১৬৭# ডায়াল করে যেকোনো পরিমাণ টাকা লেনদেন করলেই নির্বাচিত হওয়া যাচ্ছিল মক্কা ও মদিনা সফরের জন্য। এ জন্য লেনদেনের কোনো সর্বনিম্ন সীমা ছিল না। যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করলেই এই সুযোগ পাওয়া যেতে পারত।

এমনকি কোনো নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপরও নয় এই অফার। নগদ অ্যাপ বা *১৬৭# ডায়াল করে যেকোনো লেনদেন করলেই এই সুযোগ পেতে পারতেন গ্রাহকেরা। মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ব্যাংক বা কার্ড থেকে অ্যাড মানিসহ যেকোনো লেনদেনই বিবেচ্য হয়েছে। কেবল শর্ত হচ্ছে যে, নগদ ইসলামিকের ব্যবহারকারী হতে হবে এবং পরিপূর্ণ সক্রিয় একটি নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

এই ক্যাম্পেইনে বেশ কয়েক জন মক্কা-মদিনা সফরের উপহার পাবেন। তারমধ্যে প্রথম উপহার পেলেন শ্রমিক মুন্না। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছোট ছেলে এই মুন্না। পারিবারিকভাবেই কাঠের কাজের সাথে জড়িত মুন্না।

তাদের পরিবারের কেউ সুদ জড়িত আছে, এমন কোনো লেনদেন করেন না। ফলে শুরু থেকেই পরিবারের সবাই একমাত্র শরিয়াহসম্মত মোবাইল লেনদেন সেবা নগদ ইসলামিক ব্যবহার করেন। এই ব্যবহার করতে গিয়েই ব্যাংক থেকে অ্যাড মানি করেন মুন্না।

মক্কা-মদিনা সফরের উপহার পাওয়ার কথা শুনে আবেগ আপ্লুত মুন্না বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকেই ইসলামসম্মত জীবনযাপন করি। সে জন্য আমি কেবল নগদ ইসলামিক অ্যাপ ব্যবহার করি। এখান থেকেই আমি সব পেমেন্ট দেই, কেনাকাটা করি। সেভাবে অ্যাড মানি করে এই উপহারের জন্য নির্বাচিত হয়েছি।’

মুন্না আরও বলেন, ‘আমার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল মক্কা-মদিনা সফরের। আল্লাহ নগদের মাধ্যমে আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। নগদের প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ চাইলে এরপর বাবা আর মাকে ওমরাহ করতে পাঠাব।’

দেশের প্রথম ও একমাত্র মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আলাদা ইসলামিক এমএফএস চালু করে নগদ। প্রতিষ্ঠানটির ইসলামিক অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ শরিয়াহ পর্যবেক্ষক কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। ‘নগদ ইসলামিক’মোবাইল অ্যাকাউন্টটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা খুব সহজেই সুদমুক্ত ও শরিয়াহসম্মত উপায়ে নিজস্ব তহবিল পরিচালনা করতে পারছেন, যা তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিধানকে সংরক্ষণ করছে।

এই অ্যাকাউন্টের অর্থ সবসময়ই কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিংয়ে রক্ষিত থাকে। ফলে গ্রাহককে কোনোরকম সুদ গ্রহণ বা ইসলামে অননুমোদিত লেনদেন করতে হয় না।

 

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ক্যাম্পেইন উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে গ্রাহকদের ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগিয়ে নিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে তিনমাসব্যাপী ক্রেডিট কার্ড ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।

প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধানগণ, শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ ও উপশাখা ইনচার্জগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এবং অনেকে আলোচনায় অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম বলেন, ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের বিকল্প নেই। আমাদের কার্ড শরী’আহভিত্তিক ব্যাংকের কার্ডগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে। আমাদের কার্ডের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সকলের কাছে আমাদের কার্ডকে জনপ্রিয় করে তোলাই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ।

;

টাকা ছাপানোর কথা ঠিক নয় : গভর্নর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘বিভিন্ন পর্যায় থেকে টাকা ছাপানোর কথা বলা হচ্ছে। এটা ভুল ধারণা। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারকে কোনো ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি ঋণের পুরোটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক সরবরাহ করছে। এর ফলে এখন টাকা ছাপানোর নিট প্রভাব শুন্য।’

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও বণিক বার্তা যৌথভাবে ‘বিতর্কিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পন্থা খাপ খাওয়ানো’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন আয়োজন করে। সম্মেলনের প্রথম দিনের প্লেনারি-২ অধিবেশনটি হয় মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির সমন্বয় বিষয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থসচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

আলোচনায় শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সুদহার, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, তারল্য সঙ্কটসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। আর স্বাধীনতা কেউ দেয় না। লোকবল, দক্ষতার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। আবার বাইরের চাপ থাকে সেটা মোকাবিলার দক্ষতা থাকতে হয়।’

সাবেক এই গভর্নর জানান, তিনি গভর্নর থাকা অবস্থায় সবাই ফেরেস্তা ছিল তেমন নয়। নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার চাপ ছিল। তবে তিনি নানাভাবে সময় ক্ষেপন করে শেষ পর্যায়ে গিয়ে বলে দিয়েছেন ব্যাংক দিলে অর্থনীতির জন্য ক্ষতি হবে।

তিনি বলেন, আর্থিক খাতের বর্তমান বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্ত হওয়ার সময় এসেছে। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে না। এখানে সবাই সহজ পন্থায় হাটতে চায়। পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর আদায় সহজ- সেদিকেই সবার দৃষ্টি। এখানে এক পাউরুটিতে ধনী, দরিদ্র সবাইকে একই হারে কর দিতে হয়।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর কথা বলে শুধু মুদ্রানীতি সংকোচন করলে হবে না। কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এসব না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কার জন্য আবার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিলে প্রথম প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিনিয়োগে।

সাবেক অর্থ সচিব এবং এক সময়ের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কথা বলা হচ্ছে। আবার সার বিদ্যুতের ভর্তুকির বিপরীতে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছে। আবার ব্যাংকগুলো এই বন্ড রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে পারবে, এসএলআর সংরক্ষণ করতে পারবে। ফলে মানি মাল্টিপ্লায়ার প্রভাব ৫ গুণ ধরলে ২০ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতিতে এক লাখ কোটি টাকার প্রভাব ফেলছে। অবশ্য একটা ভালো খবর হলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ না দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সুদহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সময় চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারণের কথা বলা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে এটা ভালো নয়। কিছু প্লেয়ার অনেক সময় নিজের স্বার্থে এই টার্ম ব্যবহার করে।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য সরকারি ভর্তুকির বিপরীতে সরকার বন্ড ইস্যু করেছে। এই বন্ড ইস্যু না করলে দুই ধরনের সঙ্কট তৈরি হতো। প্রথমত, যারা সরকারের কাছে টাকা পায় তাদের কোনো সমস্যা না থাকলেও খেলাপি হয়ে যাচ্ছিল। আরেকটি হলো– ব্যাংক খাত এমনিতেই তারল্য সঙ্কটে পড়েছে। বন্ড না দিলে তারল্য সঙ্কট আরও বাড়ত। এখন প্রশ্ন হলো এতে ‘মানি ক্রিয়েশন’ হয়েছে কিনা। বন্ড ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানি ক্রিয়েশন হয়ে গেছে এটা ঠিক না।

দুদিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকে আয়েশা খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

;

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এবার ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। ।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, টানা আট দফা কমার পর শনিবার (৪ মে) দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তার আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;