গুহায় ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে উদ্ধারকারীরা
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে থাকা শিশুদের উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধার কর্মীরা। শিশুদের উদ্ধারে নানা উপায়ও বিশ্লেষণ করে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। শিশুদের জন্য খাবার, এনার্জি জেল, পোশাক, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এদিকে শিশুদের সঙ্গে তাদের পরিবারের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ তৈরি করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে উদ্ধার কর্মীরা।
থাইল্যান্ডের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল এখন গুহায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছেন। যাতে সেখানে আটকে থাকা শিশুরা তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।
দেশটির দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগের উপপরিচালক কোর্বচাই বুনোরানা বলেন, গুহায় আটকে থাকা ১২ সদস্য ও তাদের কোচকে বের করে আনার প্রক্রিয়ায় ভেতরে জমে থাকা পানি মাত্রা যেন আর বৃদ্ধি না পায় সেজন্য ভেতরে জমে থাকা পানি অনবরত বাইরে বের করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যত বেশি পানি বের করে আনা যাবে তত ভালো।’
চিয়াং রাই প্রদেশের সরকার জানায়, আটকে পড়া শিশুদের সবাইকে একসঙ্গে নয় বরং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে একে একে বের করে আনা হবে।
তিনি বলেন, ‘যেভাবেই উদ্ধার করা হোক, সেটি হবে ১০০ শতাংশ নিরাপদ।’
এদিকে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়া ১২ কিশোর ফুটবলারের নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে উদ্ধার কর্মীরা। এতে দেখা যায়, তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। গুহার ভিতরে তাদের হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। কিশোর ফুটবলারদের কোচ একে একে তাদের পরিচয় করে দেন। তারাও থাই ঐতিহ্য কায়দায় নিজের পরিচয় ও নাম বলেন। উদ্ধারকারী ডুবুরিদের কাছ থেকে তারা ১০ দিনের খাদ্য ও ওষুধ নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওয়াইল্ড বোয়ার ফুটবল দলের ১২ কিশোর ও তাদের কোচ ২৩ জুন বেড়াতে গিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং নং নন গুহায় আটকা পড়ে। কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। গুহাটি প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহার একটি। এখানে যাত্রাপথের দিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভারী বর্ষণ আর কাদায় থাম লুয়াংয়ের প্রবেশ মুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা আটকা পড়ে। নিখোঁজের পর গুহার পাশে তাদের সাইকেল এবং খেলার সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিখোঁজের নয় দিন পর সোমবার (২ জুলাই) দুইজন বৃটিশ ডুবুরি চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং নং নন গুহায় তাদের জীবিত সন্ধান পান। পরে থাইল্যান্ডে নৌ বাহিনী গুহায় আটকা পড়া কিশোরদের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন।
ডুবুরিরা তাদের টর্চলাইটের আলো ফেলে ১৩ জনকেই দেখতে পায়। সে সময় তারা খুব ক্ষুধার্ত ছিলো