জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ১৯ সিনেটরের উদ্বেগ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জাবি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাবি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন সিনেটর।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট থেকে নির্বাচিত সিনেটররা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘এই মেগা প্রকল্প সম্পর্কে সিন্ডিকেট ও সিনেট সভায় উপস্থাপন করা হয়নি এবং তাদের কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি। মাস্টারপ্ল্যান করার সময় যথাযথ ধাপ অনুসরণ করা হয়নি এবং অংশীজনের সাথে আলোচনাও করা হয়নি।'

আরও পড়ুন: জাবিতে চলছে অবরোধ

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের কারো এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের যোগ্যতা নেই। উপাচার্য তার ব্যক্তিগত সচিবসহ অনুগত ও অদক্ষ ব্যক্তিদেরকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে রেখেছেন। এছাড়া, উপাচার্য তার অনুগত ব্যক্তিদেরকে নিয়ে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় আর্কিটেক্ট ফার্ম নির্বাচন করেন।’

এ সময় তারা ই-টেন্ডার না করার কারণে টেন্ডার ছিনতাই হওয়ার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সমালোচনা করেন। এ সব অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ও বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি করেন এ সব সিনেটররা।

আরও পড়ুন: জাবির পরিবহন অফিসে তালা, অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে যেসব সিনেটর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা হলেন, কায়কোবাদ হোসেন, ইবাদুল্লাহ তালুকদার, আশীষ কুমার মজুমদার, মহব্বত হোসেন খান, শামীমা সুলতানা, আনোয়ার হোসেন মৃধা, আবুল কালাম আজাদ, মনোয়ার হোসেন, শরীফ এনামুল কবির, খন্দকার মহিদ উদ্দিন, ইন্দু প্রভা দাস, সোহেল পারভেজ, কৃষ্ণা গায়েন, মেহেদী জামিল, শামছুল আলম, মোহাম্মদ কামরুল আহসান, শামীমা সুলতানা, শিহাব উদ্দিন, সাবিনা ইয়াসমিন।

এদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্যপন্থি সিনেট সদস্যরা।

এছাড়া, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিনদফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: ‘প্রশাসনিক মানববন্ধনে’ স্থবির জাবি

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।

এ সময় ভবন দুটিতে প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেন অবরোধকারীরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

   

সাপের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের কামড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাকিনুর রহমান সাব্বির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।

সাব্বিরের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পদ্মার পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাব্বির। এসময় বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ সাব্বিরকে কামড় দেয়। তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে দ্রুত সাব্বিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

;

জাবিতে প্রথমবারের মত গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর সহযোগিতায় 'নেভিগেটিং কমপ্লেসিটি: ইন্টার ডিসিপ্লিনারি পারসপেক্টিভস অন সোশ্যাল চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন গবেষক রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গৌরবের। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪- এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সাথে যৌথভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে।

এসময় তিনি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স আয়োজনকে প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগ একসাথে ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়গুলোর ওপর যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা যায়, এটাই আমাদের এই গবেষণা সম্মেলনের প্রয়াস। এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় একটি শুভ সূচনা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে আরো বেশি যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক ও গবেষকগণ। মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সোশ্যাল জাস্টিস, গ্লোবালাইজেশন, কালচারাল ডাইভারসিটি, গভার্ন্যান্স এবং টেকনোলজি ও ইনোভেশনের মত চমকপ্রদ কিছু বিষয়।

এদিকে বিকাল ৩টায় আয়োজনের দ্বিতীয় অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ৷

কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. দারা শামসুদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল হক ও আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রকল্পের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।

উল্লেখ্য, প্রথমবার আয়োজিত এই কনফারেন্সে ৯টি প্লেনারি সেশনে ৭০ টি গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার সারসংক্ষেপ করেন।

কনফারেন্স উপলক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রকাশিত বই এবং বিভাগের জার্নাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মে এবং ৭ মে দুইদিন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনে আয়োজনে বইমেলা চলছে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ইউপিএল তাদের সমস্ত বইয়ে শিক্ষকদের জন্য ৩০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ছাড় দিবে।

;

জবিতে বাড়ল একাডেমিক ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ডকুমেন্টস/সেবাসমূহের ফি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-তম সিন্ডিকেট সভায় সেবাসমূহের ফি বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদ, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ানো করা হয়েছে। মূল সনদের ফি ছিল ৪০০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৬০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদের সংশোধন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

অনার্স-মাস্টার্সের সাময়িক সনদ ও সংশোধন ফি পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ৫০ টাকা এবং দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাময়িক সনদ ও সনদের সংশোধনের ফি ছিল ২৫০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৩০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

অনার্সের ট্রান্সকিপ্টে পূর্বের নির্ধারিত ফি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টকা এবং মাস্টার্সের ফি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অনার্স-মাস্টার্সের সেমিস্টার গ্রেডশীট ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে তবে ফাইনাল গ্রেডশীটে ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। সেটি পূর্বের নির্ধারিত ২৫০ টাকা রয়েছে।

অনার্স-মাস্টার্সের নম্বরপত্র ও নম্বরপত্র সংশোধনের ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রবেশপত্রের দি-নকল ও সংশোধনের ফি যথাক্রমে পূর্বের নির্ধারিত ২০০ টাকা ও ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রত্যয়নপত্রের ফি পূর্বের নির্ধারিত ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকায় উন্নীত করেছে।

দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের ফি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সামরিক, আধাসামরিক প্রতিষ্ঠানের ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়।

বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন এবং ইমেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রেরণ করা যাবে বিনামূল্যে তবে ডাকযোগে প্রেরণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ ইউএস ডলার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে ডকুমেন্টস সিলগালা করণের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও সকল প্রকার জরুরি সেবার ফি পূর্বের নির্ধারিত ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে।

ফি বৃদ্ধির কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

;

হালনাগাদ হয় না জবির ওয়েবসাইট! পুরনো ম্যাপে বিভ্রান্তি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ম্যাপ দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামোর সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়া তথ্য হালনাগাদ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটের ম্যাপ বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

ম্যাপে দেখা যায়, নতুন ভবন (বিবিএ ভবন) এখনো ৭ তলা ভবন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি ১৬ তলা ভবন। ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে বাণিজ্য ভবন হিসেবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকা ইউটিলিটি ভবন ও জুলফা মাহমুদ ভবনের কোনো অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুরোনো ম্যাপে।

ম্যাপ বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গণিত বিভাগের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং কলা অনুষদে নির্মিত মুজিব মঞ্চও সংযোজিত হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও স্থান পায় নি ম্যাপে।

আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনকে উল্লেখ করা হয়েছে বাগান হিসেবে। বিজ্ঞান অনুষদে টেনিস গ্রাউন্ড ও বাস্কেটবল মাঠ নির্ধারিত থাকলেও সেখানে নেই মাঠের নির্ধারিত সীমানা, নেই বাস্কেট বলের নেট বা টেনিস কোর্টের জাল টানানোর খুঁটি। টেনিস গ্রাউন্ড এবং বাস্কেটবল মাঠ এখন ব্যবহৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের গ্যারেজ হিসেবে।

এছাড়াও পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ম্যাপে পোগোজ স্কুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি ২০২৪ সালের নতুন ডায়েরি।

ফরিদপুর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সিট পড়েছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের ৮ তলায়। জবির ওয়েবসাইটের ম্যাপে ঢুকে দেখি সেই বিল্ডিং ৭ তলা। এতে কিছুটা অবাক হই। পরে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে বুঝতে পারি ম্যাপ আপডেট করা হয় নি।

টাঙ্গাইল থেকে আগত আজিজুল হাকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সিট পড়েছিল ইউটিলিটি ভবনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপে ইউটিলিটি নামে কোনো ভবন নেই। এতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো ভুল করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে ইউটিলিটি ভবন আছে ক্যাম্পাসে। তবে সেটা ম্যাপে উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো জয়েন করেছি। জয়েন করেই নতুন ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছি। নতুন ওয়েবসাইটের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। নতুন ওয়েবসাইট আরও আধুনিক হবে এবং সেখানে সবকিছুই প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে। তখন আর এমন কোনো ত্রুটি থাকবে না।

;