ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নপত্রে ভুল, বিড়ম্বনায় শিক্ষার্থীরা

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র

‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র

এ বছর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক)-এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সপ্তাহে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এ নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ভুল থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

বিজ্ঞাপন

সরাসরি প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের পদার্থ বিজ্ঞানের লিখিত অংশের ইংরেজি অনুবাদে আদিবেগ/initial velocity দেওয়া থাকলেও বাংলায় তা উল্লেখ করা হয়নি। যার কারণে বাংলা মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া অনেক শিক্ষার্থী এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।

প্রশ্নে শুধু দেওয়া আছে সমবেগে। যেখানে বাদ পড়েছে ‘আদিবেগ’ শব্দটি। বাংলায় পড়ে যারা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের অনেকে এ অংশের উত্তর দিতে পারেননি। ফলে সহজ এ প্রশ্নের মান ৩ হলেও উত্তর করতে গিয়ে সময় নষ্ট হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

বিজ্ঞাপন

অন্তর নামে এক পরীক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এর দায়ভার কে নেবে? ইংরেজি অনুবাদে আদিবেগ দেওয়া থাকলেও বাংলায় আদিবেগ দেওয়া নেই। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে এমন ভুল মেনে নেওয়ার মতো না। অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের এই ভুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর থেকে বঞ্চিত হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা ও এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের কোনো ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের যেন কোন ক্ষতি না হয়, তাতে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীবান্ধব হবে।

৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় পরীক্ষার্থীদের। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট। প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ১.২৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। লিখিত অংশে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ ও লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হবে। বিষয়ভিত্তিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের পাস করতে হবে।