দেশে ফিরেও আক্ষেপে পুড়ছেন যুবারা
বড়রা ঠিক তীরে এসে তরী ডুবিয়ে ছিল। একটুর জন্য ধরা দেয়নি এশিয়া কাপের শিরোপা। কিন্তু কে জানতো মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের মতোই আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়বে জুনিয়র টাইগাররাও। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে যুবাদের সামনে ছিল সেই ভারত। প্রতিপক্ষকে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট করার পর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সবাই। কিন্তু এবারও সঙ্গী আক্ষেপ। ৫ রানের হারে শেষ যুব এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন।
সেই হতাশা সঙ্গী করেই রোববার শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুবারাও উত্তর খুঁজলেন কেন বারবার ভারতের বিপক্ষে হারে দল? কেন ফাইনাল দুঃস্বপ্নের অন্য নাম হয়েই আছে?
উত্তরে যুব দলের অলরাউন্ডার শামিম পাটোয়ারি জানাচ্ছিলেন, ‘প্রতিবারই এমন হয়, ভারতের কাছে আমরা জেতা ম্যাচগুলো হেরে যাই। এটা আসলেই অনেক লজ্জার বিষয়। বারবারই জেতা ম্যাচগুলো হারছি আমরা।’
ফিনিশিংয়ের অভাবটাই সব শেষ করে দিয়েছে। ৭৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়েও দল জয়ের কাছাকাছিই চলে গিয়েছিল। কিন্তু শেষটাতে এসে হল না। শামিম দেশে ফিরে বলছিলেন, ‘ভেবেছিলাম, আমরা ভালো কিছু করতে পারব। আমরা ম্যাচটা ফিনিশিং করতে পারব। কিন্তু আসলে এটা আর হয় না। এটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি না। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য। সেরকম কিছু করতে পারিনি দলের জন্য। ব্যাটিংয়ে কিছুই দিতে পারিনি।’
দলের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন, পুরনো কথায় না গিয়ে এই অবস্থা থেকে বের হতে চাইছেন। জানাচ্ছিলেন, ‘খারাপ লাগা কাজ করছে। এতো কাছে গিয়েও আমরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি আনতে পারলাম না। এখান থেকেই আমাদের বের হতে হবে অবশ্যই।’
বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছে। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে অলআউট করেছে ১০৬ রানে। অবশ্য ব্যাট করতে নেমে আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তও ভুগিয়েছে দলকে। শামিম পাটোয়ারি বলছিলেন, ‘অসাধারণ বোলিং করেছে আমাদের বোলাররা। অনেক ভালো বোলিং করেছে। সবকিছুতেই ভালো হয়েছে আমাদের।
ভারতের সঙ্গে খেলা হলেই দুই-একটা বাজে আউট দিয়ে খেলাটা শেষ করে দেয়। জানি না আমাদের সাথে কেন এমন হয়।
দলের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন মনে করেন এই ধাক্কা ঠিকই এক সময় সামলে উঠবে দল। তখন ট্রফি নিয়েই মাঠ ছাড়বে টাইগাররা।