রুশ রূপকথা ফুরালো, ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া ২ (৩) : ক্রোয়েশিয়া ২ (৪)

সবকিছুই গল্পের প্লটের মতই চলছিল। রাশিয়া প্রথমে গোল পেল। জয়ের সুবাস ছড়াল। গল্পের বাঁক বদলে গেল ক্রোয়েশিয়ার সমতাসূচক গোলে। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। যেটা রাশিয়া প্রাণপনে চাচ্ছিল। স্বপ্ন দেখছিল আরেকটি টাইব্রেকারের। অপেক্ষায় ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের পথচলার রূপকথাকে আরও রঙিন করতে। তবে রাশিয়ার সেই রূপকথার গল্পের সমাপ্তি টেনে দিল ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় আছে ইংল্যান্ড।

আর রাশিয়ার বিশ্বকাপ রূপকথার গল্প ফুরালো চোখের জলে। তবে কান্নায় বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও বীরত্ব বন্দনাও কম পাচ্ছে না রাশিয়া!

সত্যিকার অর্থেই এই কোয়ার্টার ফাইনাল হয়েছে দারুণ উপভোগ্য এক ম্যাচ। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের গতি বদলেছে। বাঁক বদলেছে। কখনো টেনশনে ক্রোয়েশিয়া। কখনো গ্যালারিতে কাঁদছে রাশিয়া। খানিকবাদেই আবার ভিন্ন রূপ। হতাশায় টেনশন। আনন্দে ফেটে পড়ছে রাশিয়া। শেষমেষ হাসি নিয়ে ফিরল ক্রোয়েশিয়াই।

কি দারুণ সমতায় শেষ হল নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই সময়ের প্রথম অর্ধেই ভিদার গোলে এগিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া। কর্নার থেকে আসা হেডে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে জয়ের স্বপ্ন দেখান ভিদা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য রাশিয়া উঠে পড়ে লাগে। ডাগআউটে দাড়িয়ে ক্ষ্যাপাটে সেনাপতির মতো দু’হাত উঁচিয়ে গ্যালারির দর্শকদের গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিতে বলেন রাশান কোচ। সেই সমর্থনের জোরেই যেন ম্যাচে ফিরে রাশিয়া। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বলে হেড করেন ফিগুয়েরা ফার্নান্দেজ, গো..ও..ল! এবং ম্যাচে ২-২ গোলে সমতা। শিহরণ জাগানো ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

/uploads/files/zCfFOdvKk5BRlLXb1OiyAg84SloV07dGyZqmIGgw.jpeg

যে লটারিতে ক্রোয়েশিয়া হাসল। তবে রাশিয়াও জানিয়ে দিল বিশ্ব ফুটবলের বড় শক্তি হয়ে উঠছে তারা। বিপ্লব মাত্র শুরু হয়েছে কমরেড!

ফুটবলের মোটিভেশন ক্লাসে একটা কথা প্রায় বলা হয়ে থাকেÑ যদি জিততে চাও, তবে প্রতিপক্ষকে মাঠে চমকে দাও। ঠিক সেই প্রেরণা নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে নামে রাশিয়া। স্পেনের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ দেখে ক্রোয়েশিয়া ভেবেছিল এই ম্যাচেও রক্ষণাত্মক ভঙ্গির রাশিয়ার দেখাই মিলবে। কিন্তু ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সোচিতে নামল রাশিয়া। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই মাঝ-মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্যুৎগতিতে আক্রমণে উঠে এল। এমনকিছু হতে পারে এটার জন্য ক্রোয়েশিয়া প্রস্তুত ছিল না। রাশিয়ার আক্রমণের তেজে এলোমেলো হয়ে পড়ে ক্রোয়াটদের রক্ষণ। বিশালদেহী ষ্ট্রাইকার জুবা ও চেরিসেভ বল পায়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছিলেন। প্রথমার্ধে রুশদের এই গতিময় ফুটবল জানিয়ে দিল এই ম্যাচে লিড নিয়েই সামনে বাড়তে চায় তারা। সেই ইচ্ছেটা তাদের পুরো হল। ম্যাচের ৩১ মিনিটের সময় মাঝমাঠ থেকে চেরিসেভ ও জুবার দুর্দান্ত বিল্ড-আপ রাশিয়াকে মনে রাখার মতো গোল এনে দিল। সেন্টার থেকে একটু সামনের জটলা থেকে বল নিয়ে সামনে বাড়লেন চেরিসেভ। ডিফেন্সের ফাঁক গলে বামদিকে থাকা জুবার দিকে বল ঠেলে দিলেন। জুবা বল ধরে দু’কদম এগিয়ে ফের ডানদিকে চেরিসেভের দিকে পাস বাড়ালেন। চেরিসেভের দু’পাশে দুই ডিফেন্ডার দাড়িয়ে। কিন্তু তারা কিছু বুঝে উঠার আগে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাম পায়ে কর্নার পোষ্টে শট নিলেন চেরিসেভ। সেই শট এতই আচমকা এবং গতিময় যে গোলপোষ্টে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার সুভাসিচ শুধু চেয়েই থাকলেন এবং বল জালে, গো....ও...ল! টুর্নামেন্টে এটি চেরিশেভের চতুর্থ গোল।

ম্যাচে রাশিয়ার লিড। তাহলে বিশ্বকাপে রুশ রূপকথার নতুন অধ্যায় বুঝি শুরু হল!

/uploads/files/JDHV76IuSnUSQCpVufdiFwDOYgq9TzFmlI9kkpu2.jpeg

তবে সেই গোলের রোমান্টিক সময়টা বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি রাশিয়া। মরিয়া হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। আট মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা। জোনাল মার্কিং না করার শাস্তিটা পেল রাশিয়া। বামদিকে ফাঁকা জায়গা পেয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মানজুকিচ। বক্সে ক্রস আসছে এটা জেনে নিজেকে একটু আগেভাগেই তৈরি করে রাখেন ক্রামনিচ। অবাক করার বিষয় হল এই সময়ে ছোট ডি বক্সে রাশিয়ার পাঁচজন খেলোয়াড় থাকলেও একজনও ক্রামনিচকে পাহারায় না রেখে এলোমেলে ভঙ্গিতে দাড়িয়েছিলেন! মানজুকিচের ক্রসে বলা যায় দেখেশুনে আয়েশ করে হেড নিয়ে ক্রামনিচ বল জড়িয়ে দেন, গো...ও...ল! এবং ম্যাচে সমতা!

ডাগআউটে দাড়িয়ে রাশিয়ান কোচ একহাতের তালুতে আরেক হাত ঠুকে হতাশা প্রকাশ করেন, ‘আহা, লিডটা হাত থেকে ছুটে গেল!’

দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া গোলের জন্য বারবার আক্রমণে উঠে আসলেও রাশিয়া যেন ঠিক খোলসে ঢুঁকে পড়ে! গোল করার চেষ্টার চেয়ে গোল না খাওয়ার ইচ্ছেটাই বেশি দেখা গেল তাদের খেলায়, কৌশলে। বারকয়েক পাল্টা আক্রমণে উঠে এলেও বেশিরভাগ সময় রক্ষণ সামাল দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকল রাশিয়া এই অর্ধে। গোলের নায়ক চেরিশেভ এবং জুবাকে তুলে নিয়ে রাশিয়ান কোচ জানিয়েও দিলেন এই ম্যাচ তারা অতিরিক্ত সময় ছাপিয়ে টাইব্রেকারে নিতে চায়। ডান বাম এবং মাঝখান তিনদিক থেকেই ধনুকের আকার সাজিয়ে রাশিয়ার পোষ্টে আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। ৫৯ মিনিটের সময় পেরিসিচ পোষ্টের মাত্র ৮ গজ দুরে থেকে শট নেন। গোলকিপার পরাজিত। কিন্তু সাইড পোষ্টে লেগে বল গোললাইনের সাদা দাগের সামান্য বাইরে দিয়ে অন্যপ্রান্তের পোষ্টের দিকে চলে যায়। এমন গোলও কিভাবে মিস হয়? দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

সেই লড়াইয়ে ফুরিয়ে গেল বিশ্বকাপে রাশিয়ার রূপকথার গল্প!

   

জয় দিয়ে ডিপিএল শেষ করল রানার্স-আপ মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বের শেষটা জয় দিয়ে করেছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা।

সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডান-গাজী গ্রুপের ম্যাচটা ছিল লো স্কোরিং। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৩ ওভারে ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে। ৩৯ রান করে ওপেনার রনি তালুকদার। 

গাজী গ্রুপের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ওয়াসি সিদ্দিক। ৩ উইকেট যায় হুসনা হাবিব মেহেদীর ঝুলিতে।

জবাব দিতে নামা গাজী গ্রুপের হাল আরও বেহাল। নাঈম-নাসুম-মিরাজদের ঘূর্ণিতে ১২৩ রানেই ক্ষান্ত হয় তাদের ইনিংস। নাঈম হাসান তিনটি এবং নাসুম আহমেদ ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। দুই উইকেট পান পেসার মুশফিক হাসানও।

তাদের বোলিং তোপে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি গাজী গ্রুপের কোনো ব্যাটার। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে লেজের সারির ব্যাটার মাসুম খান টুটুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর পেছনে দ্বিতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে মোহামেডান। 

;

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদশের মেয়েরা। এখন চ্যালেঞ্জ সান্ত্বনার জয় তুলে নেয়ার। ধবলধোলাই এড়ানোর। ভারতের বিপক্ষ সে লক্ষ্য নিয়েই সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

সিলেটে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পর টস হয়। এর ফলে ম্যাচ শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ও ৪টা থেকে পিছিয়ে সোয়া ৪টায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশ একাদশ

দিলারা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, রুবাইয়া হায়দার, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), রিতু মনি, শরিফা খাতুন, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তার, হাবিবা ইসলাম ও স্বর্ণা আক্তার

ভারত একাদশ

স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি বর্মা, দয়ালন হেমলতা, হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), রিচা ঘোষ, এস. সজনা, দীপ্তি শর্মা, পূজা ভস্ত্রকর, আশা শোভানা, তিতাস সাধু ও রাধা যাদব

;

দুবাইয়ে ফাহাদের চমকের পর চমক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুবাইয়ে পুলিশ গ্লোবাল চেস চ্যালেঞ্জ মাস্টার্স ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফাহাদ রহমান। সেখানে একের পর চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক মাস্টার। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করেছেন তিনি। 

শুরুতে চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করেছেন ২৪৩১ রেটিং ধারী ফাহাদ। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডেও বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ। যুক্তরাষ্ট্রের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়েমান হ্যান্স মোককে রুখে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৮৮ রেটিং ধারী দাবাড়ুর বিপক্ষে ড্র করার পর ফাহাদের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। আজ (সোমবার) তৃতীয় রাউন্ডে ফাহাদের প্রতিপক্ষ মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার নুম্যান আলুয়া।

দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই ফর্মে খেলছেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ।

;

'দলের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে'



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। ক্রিকেটাররা ভালো ফর্মে থাকলেও দলের মধ্যে আরও উন্নতির জায়গা দেখছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

গতকাল রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করেছে বাংলাদেশ। আসন্ন বিশ্বকাপে ক্রিকেটাররা এরকম ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছুর আশা করাই যায়।

তবে এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তানজিদ তামিম। আরেক ওপেনার লিটন দাসও ছিলেন নিষ্প্রভ। অধিনায়ক শান্তও এদিন ইনিংস লম্বা করতে পারেননি, ১৫ বলে ১৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

টাইগার বোলাররা বেশ ছন্দে থাকলেও ব্যাটাররা অনেকদিন ধরেই রানখরায় ভুগছেন। গতকাল ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার অধিনায়ক জানিয়েছেন যে, দলের ব্যাটিং বিভাগে আরও উন্নতি প্রয়োজন। উন্নতির জায়গাও আছে, তবে এজন্য ব্যাটারদের নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত বোলাররা খুবই ভালো করেছে। তবে যেমনটা আগেও বলেছি, বৃষ্টির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই এবং ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। মূলত সেসব বিষয় আমাদের সামলাতে হবে। এমন অনেক জায়গা আছে (ব্যাটিংয়ে) যেখানে আমরা উন্নতি করতে পারি। এছাড়া ইনিংসের মাঝের দিকে জিম্বাবুয়ে আসলেই ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমি আমাদের বোলারদের নিয়ে চিন্তিত নই।‘

দলের ওপেনাররা সেভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন কিনা তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা আলোচনা-সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘তামিম ও লিটনের ৪০+ (৪১) রানের ওপেনিং জুটিতে ইনিংসে আমাদের ভালো শুরু এনে দিয়েছে। পরে হৃদয় ও রিয়াদ ভাই সেটি শেষ করে আসে। পরের ম্যাচটি দিনের আলোয়, তাই আমাদের সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে।’

;